Dhaka শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাচার অর্থ ফেরাতে আইএমএফের সহায়তা চাইলেন অর্থ উপদেষ্টা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০১:৪৭:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৯০ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ব্যাংকসহ আর্থিক খাত সংস্কার এবং পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাংলাদেশে আইএমএফ-এর আবাসিক প্রতিনিধি জয়েন্দু দে-সহ ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বেেলন।

তিনি বলেন, কীভাবে এবং কোন প্রক্রিয়ায় তারা সহায়তা করবে- আগামী অক্টোবরে আইএমএফের বোর্ড মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত হবে। ব্যাংকিং খাত সংস্কার, অর্থ পাচার রোধে সহায়তা, ট্যাক্স রিটার্ন জমার ক্ষেত্রে আধুনিকায়নের বিষয়ে আইএমএফের কারিগরি সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

ড. সালেহউদ্দিন বলেন, সরকার চায় নিজস্ব রিসোর্স ব্যবহার করে অর্থনৈতিক খাতে এগিয়ে যেতে। তবে আইএমএফ বড় উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বাংলাদেশের। তাই তাদের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো এগিয়ে নিতে চায় সরকার। শুধু আইএমএফ নয়, অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সঙ্গেও সংস্কার নিয়ে একই রকম আলোচনা হবে।

তিনি বলেন, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নানা সংস্কারের জন্য অর্থ প্রয়োজন। বৈঠকে এ বিষয়ে আইএমএফ মিশনকে জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কী কী সংস্কার করেছে, তাও তাদের জানানো হয়েছে। এক্ষেত্রে আইএমএফ এর আর্থিকসহ কারিগরি সহায়তা দরকার।

তবে আইএমএফের কাছে কী পরিমাণ সহায়তা চাওয়া হবে তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। অন্য দাতা সংস্থাগুলো কী পরিমাণ সহায়তা দেবে সেটা জানার পর আইএমএফের কাছে সহায়তার পরিমাণ উল্লেখ করা হবে।

বৈঠকের বিষয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নানা রকম সংস্কার ও পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রিসোর্স (সম্পদ) দরকার। আমরা যতটুকু পারি দেশীয় সম্পদ আহরণ করবো। কিন্তু কিছু কিছু জিনিস আছে বিদেশি সহায়তা লাগবে। এর মধ্যে অন্যতম আইএমএফ, ব্যালেন্স সাপোর্ট দেয়, ব্যাংকিং সেক্টর ও অন্যান্য সেক্টরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটা মিশন আসছে, আমাদের সম্ভাব্য কী কী দরকার। আমরা বলেছি সংস্কারের বিষয়ে আমরা মোটামুটি পদক্ষেপ নিয়েছি, ব্যাংকিং সেক্টরসহ অন্যান্য সেক্টরে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। সময় কিছু লাগবে।’

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাদের রিসোর্স গ্যাপ কী পরিমাণ লাগবে, সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। ওরা ডিটেলস আরও আলাপ করবে। আমার সাথে নীতি ও মূল উদ্দেশ্য নিয়ে আলাপ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বসবে। ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেট ও ব্যাংক রিফর্ম নিয়ে কী করবে, সেটা জানবে। এনবিআরের সাথেও বসবে।’

‘আমাদের ম্যাক্রো পলিসি টিম আছে। ডিটেইলস আলাপ করে তাদের নিজস্ব ভিউ দেবে। তারপর অক্টোবর মাসে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক মিটিংয়ে যাবো, সেখানে পলিসি মেকারদের সাথে আলোচনা হবে। তারপর প্রেজেন্ট প্রোগ্রাম নিয়ে আলাপ হবে। আমরা ফিউচার কিছু….রিকোয়েস্ট করেছি। আমরা এখনো সঠিক বলিনি। আমরা বলেছি দেখে নিয়ে আমাদের রিসোর্স গ্যাপ ফরমালি জানাবো। সেটা নিয়ে আলাপ হবে।’ বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।

তাদের কাছে কী চেয়েছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, রিসোর্স, কারিগরি সহায়তা যেটা ব্যাংক সেক্টর রিফর্মের জন্য, মানি লন্ডারিংয়ের জন্য, তারপর ট্যাক্স রিফর্মের জন্য, ইনকাম ট্যাক্স, ভ্যাট রিফর্মের জন্য। শুধু আইএমএফ না, অন্যদের কাছেও কিছু চেয়েছি। কারা কী সাহায্য দেবে, সেটা কো-অর্ডিনেট করে আইএমএফকে আমরা স্পেসিফিক বলবো ওদের কাছ থেকে আমাদরে কী কী সাহায্য দরকার। ডুপ্লিকেশন না করে সবাই যেন একযোগে এফোর্ড দিতে পারে অর্থাৎ দু-তিনটি সংস্থা একই কাজ করবে কিন্তু রিসোর্স লাগবে বেশি। সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বৈরী আবহাওয়ার কারণে আগৈলঝাড়ায় ছাতার কারিগরদের ব্যাপক কদর

পাচার অর্থ ফেরাতে আইএমএফের সহায়তা চাইলেন অর্থ উপদেষ্টা

প্রকাশের সময় : ০১:৪৭:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ব্যাংকসহ আর্থিক খাত সংস্কার এবং পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাংলাদেশে আইএমএফ-এর আবাসিক প্রতিনিধি জয়েন্দু দে-সহ ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বেেলন।

তিনি বলেন, কীভাবে এবং কোন প্রক্রিয়ায় তারা সহায়তা করবে- আগামী অক্টোবরে আইএমএফের বোর্ড মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত হবে। ব্যাংকিং খাত সংস্কার, অর্থ পাচার রোধে সহায়তা, ট্যাক্স রিটার্ন জমার ক্ষেত্রে আধুনিকায়নের বিষয়ে আইএমএফের কারিগরি সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

ড. সালেহউদ্দিন বলেন, সরকার চায় নিজস্ব রিসোর্স ব্যবহার করে অর্থনৈতিক খাতে এগিয়ে যেতে। তবে আইএমএফ বড় উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বাংলাদেশের। তাই তাদের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো এগিয়ে নিতে চায় সরকার। শুধু আইএমএফ নয়, অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সঙ্গেও সংস্কার নিয়ে একই রকম আলোচনা হবে।

তিনি বলেন, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নানা সংস্কারের জন্য অর্থ প্রয়োজন। বৈঠকে এ বিষয়ে আইএমএফ মিশনকে জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কী কী সংস্কার করেছে, তাও তাদের জানানো হয়েছে। এক্ষেত্রে আইএমএফ এর আর্থিকসহ কারিগরি সহায়তা দরকার।

তবে আইএমএফের কাছে কী পরিমাণ সহায়তা চাওয়া হবে তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। অন্য দাতা সংস্থাগুলো কী পরিমাণ সহায়তা দেবে সেটা জানার পর আইএমএফের কাছে সহায়তার পরিমাণ উল্লেখ করা হবে।

বৈঠকের বিষয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নানা রকম সংস্কার ও পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রিসোর্স (সম্পদ) দরকার। আমরা যতটুকু পারি দেশীয় সম্পদ আহরণ করবো। কিন্তু কিছু কিছু জিনিস আছে বিদেশি সহায়তা লাগবে। এর মধ্যে অন্যতম আইএমএফ, ব্যালেন্স সাপোর্ট দেয়, ব্যাংকিং সেক্টর ও অন্যান্য সেক্টরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটা মিশন আসছে, আমাদের সম্ভাব্য কী কী দরকার। আমরা বলেছি সংস্কারের বিষয়ে আমরা মোটামুটি পদক্ষেপ নিয়েছি, ব্যাংকিং সেক্টরসহ অন্যান্য সেক্টরে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। সময় কিছু লাগবে।’

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাদের রিসোর্স গ্যাপ কী পরিমাণ লাগবে, সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। ওরা ডিটেলস আরও আলাপ করবে। আমার সাথে নীতি ও মূল উদ্দেশ্য নিয়ে আলাপ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বসবে। ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেট ও ব্যাংক রিফর্ম নিয়ে কী করবে, সেটা জানবে। এনবিআরের সাথেও বসবে।’

‘আমাদের ম্যাক্রো পলিসি টিম আছে। ডিটেইলস আলাপ করে তাদের নিজস্ব ভিউ দেবে। তারপর অক্টোবর মাসে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক মিটিংয়ে যাবো, সেখানে পলিসি মেকারদের সাথে আলোচনা হবে। তারপর প্রেজেন্ট প্রোগ্রাম নিয়ে আলাপ হবে। আমরা ফিউচার কিছু….রিকোয়েস্ট করেছি। আমরা এখনো সঠিক বলিনি। আমরা বলেছি দেখে নিয়ে আমাদের রিসোর্স গ্যাপ ফরমালি জানাবো। সেটা নিয়ে আলাপ হবে।’ বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।

তাদের কাছে কী চেয়েছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, রিসোর্স, কারিগরি সহায়তা যেটা ব্যাংক সেক্টর রিফর্মের জন্য, মানি লন্ডারিংয়ের জন্য, তারপর ট্যাক্স রিফর্মের জন্য, ইনকাম ট্যাক্স, ভ্যাট রিফর্মের জন্য। শুধু আইএমএফ না, অন্যদের কাছেও কিছু চেয়েছি। কারা কী সাহায্য দেবে, সেটা কো-অর্ডিনেট করে আইএমএফকে আমরা স্পেসিফিক বলবো ওদের কাছ থেকে আমাদরে কী কী সাহায্য দরকার। ডুপ্লিকেশন না করে সবাই যেন একযোগে এফোর্ড দিতে পারে অর্থাৎ দু-তিনটি সংস্থা একই কাজ করবে কিন্তু রিসোর্স লাগবে বেশি। সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।