Dhaka শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাচারের জন্য পতনের আগেও ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাপায় হাসিনা সরকার : প্রেস সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশে মহাচুরির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে অর্থনৈতিক অনিয়মের শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদনে। ক্ষমতা হারানোর কিছুদিন আগেও শেখ হাসিনা সরকার ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাপিয়েছিল। মূলত এস আলমকে টাকা পাচারের সুযোগ করে দিতেই টাকা ছাপানো হয়।

রোববার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পতনের ছয় মাস আগেও আওয়ামী লীগ ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাপিয়েছিল। এস আলমকে টাকা পাচারে সাহায্য করাই এর আসল উদ্দেশ্য ছিল।

প্রেস সচিব বলেন, উন্নয়নের বয়ানের পোস্টমর্টেম করা হয়েছে অর্থনৈতিক শ্বেতপত্র। যে চিত্র বেরিয়ে এসেছে তা ভয়াবহ। চোখের সামনে একটা বিশাল লুটপাট হয়েছে। অধ্যাপক ইউনূস সব শুনে বলেছেন, আমরা আতঙ্কিত। এই লুটপাটের চিত্র পাঠ্যবইয়ে আসা উচিত।

শফিকুল আলম বলেন, শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্যদের বক্তব্য যদিও শ্বেতপত্রে উল্লেখ নেই, তবে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৩০ শতাংশ হতে পারে বলে ধারণা সরকারের। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এমন তথ্য জানিয়েছেন।

পাচার হওয়া অর্থ ফেরানোর বিষয়ে তিনি আরও বলেন, এই মহাচুরির বিচার অবশ্যই হবে। পাশাপাশি পাচার হওয়া টাকা ফেরানোর চেষ্টা করবে সরকার। আমরা সর্বোচ্চভাবে এই চেষ্টা চালিয়ে যাবো।

প্রেস সচিব বলেন, টাকা চুরি করে কোথায় নিয়ে গেছে সেটা বের করা এবং টাকা দেশে ফেরানোই সরকারের লক্ষ্য। পাচার হওয়া অর্থ বিদেশ থেকে ফেরত আনার জন্য এফবিআইসহ বিভিন্ন বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করছে সরকার।

প্রেস সচিব বলেন, উন্নয়নের বয়ানের পোস্টমর্টেম করা হয়েছে অর্থনৈতিক শ্বেতপত্র। যে চিত্র বেরিয়ে এসেছে তা ভয়াবহ। চোখের সামনে একটা বিশাল লুটপাট হয়েছে। অধ্যাপক ইউনূস সব শুনে বলেছেন, আমরা আতঙ্কিত। এই লুটপাটের চিত্র পাঠ্যবইয়ে আসা উচিত।

নতুন করে ২২ হাজার কোটি টাকা ছাপানোর পরও মূল্যস্ফীতিতে এর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব। বলেন, যে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা ছাপা হয়েছে তা চৌবাচ্চার পানির মত। মূল্যস্ফীতিতে এর সামান্যতম প্রভাবও পড়বে না।

তিনি বলেন, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী নিজের নির্বাচনী এলাকায় যাওয়ার জন্য কর্ণফুলী নদীতে টানেল করেছেন। এটা এখন কেউ ব্যবহার করছে না। এভাবে রাষ্ট্রের টাকার অপচয় করেছেন তারা। টাকাটা কিভাবে বাইরে চলে গেছে তার একটা স্পষ্ট চিত্র থাকবে শ্বেতপত্রে।

তিনি আরও বলেন, উন্নয়নের বয়ানের পোস্টমর্টেম করা হয়েছে অর্থনৈতিক শ্বেতপত্র। যে চিত্র বেরিয়ে এসেছে তা ভয়াবহ। চোখের সামনে একটা বিশাল লুটপাট হয়েছে। অধ্যাপক ইউনূস সব শুনে বলেছেন, আমরা আতঙ্কিত। এই লুটপাটের চিত্র পাঠ্যবইয়ে আসা উচিত।

প্রেস সচিব বলেন, এই মহাচুরির বিচার অবশ্যই হবে। পাশাপাশি পাচার হওয়া টাকা ফেরানোর বিষয়ে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সর্বোচ্চভাবে টাকা ফেরানোর চেষ্টা চালিয়ে যাবো।

শফিকুল আলম বলেন, গত ১৫ বছরে যা হয়েছে তার বিচার করা এই অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। কর্ণফুলী টানেল তৈরি করা হয়েছে, কিন্তু এর ভ্যালুটা কী? আমরা এর খরচটাই তুলতে পারছিনা। টাকা চুরি করে কোথায় নিয়ে গেছে সেটা বের করা এবং টাকা দেশে ফেরানোই সরকারের লক্ষ্য।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেসিডেন্ট আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

খানাখন্দে ভরা সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়ক, তিন উপজেলার যাত্রীদের দুর্ভোগ

পাচারের জন্য পতনের আগেও ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাপায় হাসিনা সরকার : প্রেস সচিব

প্রকাশের সময় : ০৯:১৮:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশে মহাচুরির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে অর্থনৈতিক অনিয়মের শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদনে। ক্ষমতা হারানোর কিছুদিন আগেও শেখ হাসিনা সরকার ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাপিয়েছিল। মূলত এস আলমকে টাকা পাচারের সুযোগ করে দিতেই টাকা ছাপানো হয়।

রোববার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পতনের ছয় মাস আগেও আওয়ামী লীগ ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাপিয়েছিল। এস আলমকে টাকা পাচারে সাহায্য করাই এর আসল উদ্দেশ্য ছিল।

প্রেস সচিব বলেন, উন্নয়নের বয়ানের পোস্টমর্টেম করা হয়েছে অর্থনৈতিক শ্বেতপত্র। যে চিত্র বেরিয়ে এসেছে তা ভয়াবহ। চোখের সামনে একটা বিশাল লুটপাট হয়েছে। অধ্যাপক ইউনূস সব শুনে বলেছেন, আমরা আতঙ্কিত। এই লুটপাটের চিত্র পাঠ্যবইয়ে আসা উচিত।

শফিকুল আলম বলেন, শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্যদের বক্তব্য যদিও শ্বেতপত্রে উল্লেখ নেই, তবে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৩০ শতাংশ হতে পারে বলে ধারণা সরকারের। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এমন তথ্য জানিয়েছেন।

পাচার হওয়া অর্থ ফেরানোর বিষয়ে তিনি আরও বলেন, এই মহাচুরির বিচার অবশ্যই হবে। পাশাপাশি পাচার হওয়া টাকা ফেরানোর চেষ্টা করবে সরকার। আমরা সর্বোচ্চভাবে এই চেষ্টা চালিয়ে যাবো।

প্রেস সচিব বলেন, টাকা চুরি করে কোথায় নিয়ে গেছে সেটা বের করা এবং টাকা দেশে ফেরানোই সরকারের লক্ষ্য। পাচার হওয়া অর্থ বিদেশ থেকে ফেরত আনার জন্য এফবিআইসহ বিভিন্ন বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করছে সরকার।

প্রেস সচিব বলেন, উন্নয়নের বয়ানের পোস্টমর্টেম করা হয়েছে অর্থনৈতিক শ্বেতপত্র। যে চিত্র বেরিয়ে এসেছে তা ভয়াবহ। চোখের সামনে একটা বিশাল লুটপাট হয়েছে। অধ্যাপক ইউনূস সব শুনে বলেছেন, আমরা আতঙ্কিত। এই লুটপাটের চিত্র পাঠ্যবইয়ে আসা উচিত।

নতুন করে ২২ হাজার কোটি টাকা ছাপানোর পরও মূল্যস্ফীতিতে এর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব। বলেন, যে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা ছাপা হয়েছে তা চৌবাচ্চার পানির মত। মূল্যস্ফীতিতে এর সামান্যতম প্রভাবও পড়বে না।

তিনি বলেন, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী নিজের নির্বাচনী এলাকায় যাওয়ার জন্য কর্ণফুলী নদীতে টানেল করেছেন। এটা এখন কেউ ব্যবহার করছে না। এভাবে রাষ্ট্রের টাকার অপচয় করেছেন তারা। টাকাটা কিভাবে বাইরে চলে গেছে তার একটা স্পষ্ট চিত্র থাকবে শ্বেতপত্রে।

তিনি আরও বলেন, উন্নয়নের বয়ানের পোস্টমর্টেম করা হয়েছে অর্থনৈতিক শ্বেতপত্র। যে চিত্র বেরিয়ে এসেছে তা ভয়াবহ। চোখের সামনে একটা বিশাল লুটপাট হয়েছে। অধ্যাপক ইউনূস সব শুনে বলেছেন, আমরা আতঙ্কিত। এই লুটপাটের চিত্র পাঠ্যবইয়ে আসা উচিত।

প্রেস সচিব বলেন, এই মহাচুরির বিচার অবশ্যই হবে। পাশাপাশি পাচার হওয়া টাকা ফেরানোর বিষয়ে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সর্বোচ্চভাবে টাকা ফেরানোর চেষ্টা চালিয়ে যাবো।

শফিকুল আলম বলেন, গত ১৫ বছরে যা হয়েছে তার বিচার করা এই অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। কর্ণফুলী টানেল তৈরি করা হয়েছে, কিন্তু এর ভ্যালুটা কী? আমরা এর খরচটাই তুলতে পারছিনা। টাকা চুরি করে কোথায় নিয়ে গেছে সেটা বের করা এবং টাকা দেশে ফেরানোই সরকারের লক্ষ্য।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেসিডেন্ট আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর।