Dhaka শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকুন্দিয়ায় মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে তদন্তে সত্যতা মিলেছে

পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি : 

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বর্ষাগাতি বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে এক মহিলার কাছ থেকে জমি লিখে নিয়েও চাকরি না দেওয়া এবং টাকা আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়টি তদন্তে সত্যতা মিলেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) পাকুন্দিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক ভূঁইয়া বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, উপেজেলার বর্ষাগাতি বালিকা দাখিল মাদরাসাটি ১৯৮৪ সালে স্থাপিত হয়। কিন্তু নির্ধারিত পরিমান জমি না থাকায় শিক্ষা বোর্ড থেকে মাদরাসার স্বীকৃতি আনতে পারছিলনা কর্তৃপক্ষ। নিরুপায় হয়ে ২০১১ সালে পার্শ¦বর্তী আদিত্যপাশা গ্রামের বাসিন্দা জোসনা আক্তারের কাছ থেকে অনুনয়-বিনয় করে মাদরাসার নামে ৭৪ শতাংশ জমি লিখে নেন মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ মহিবুর রহমান ও সুপার মোঃ নজরুল ইসলাম। তবে এর বিপরীতে জোসনা আক্তারের মেয়েকে মাদারাসায় আয়া পদে ও তাঁর নাতি বউকে কম্পিউটার ল্যাব এসিস্ট্যান পদে চাকরিতে নিয়োগ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সুপার নজরুল ইসলাম। এছাড়াও জোসনা আক্তারের কাছ থেকে তিন দফায় ৯ লাখ ১২ হাজার টাকাও কৌশলে হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। কিন্তু প্রতিশ্রুতির ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও তাদের কাউকেই চাকরি দেয়নি সুপার নজরুল ইসলাম।

এসব অভিযোগের ব্যাপারে ভুক্তভোগী জোসনা আক্তার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক ভূঁইয়াকে দায়িত্ব দেন।

তদন্ত শেষে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ওমর ফারুক ভূইয়া বলেন, তদন্তে চাকুরির প্রলোভনে ৭৪ শতাংশ জমি লিখে নিয়েও চাকরী না দেওয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।

অভিযুক্ত সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগকারী চার লাখ টাকার বিনিময়ে মাদরাসার নামে ৭৪ শতাংশ জমি লিখে দিয়েছেন। কিন্তু একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে এই নারী আমার ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে তিনি বলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা একটি প্রভাবশালী মহলের চাপে পড়ে আমার বিরুদ্ধে মনগড়া প্রতিবেদন দিয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে পুলিশ সদর দফতরের ব্যাখ্যা

পাকুন্দিয়ায় মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে তদন্তে সত্যতা মিলেছে

প্রকাশের সময় : ০৩:১৬:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি : 

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বর্ষাগাতি বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে এক মহিলার কাছ থেকে জমি লিখে নিয়েও চাকরি না দেওয়া এবং টাকা আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়টি তদন্তে সত্যতা মিলেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) পাকুন্দিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক ভূঁইয়া বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, উপেজেলার বর্ষাগাতি বালিকা দাখিল মাদরাসাটি ১৯৮৪ সালে স্থাপিত হয়। কিন্তু নির্ধারিত পরিমান জমি না থাকায় শিক্ষা বোর্ড থেকে মাদরাসার স্বীকৃতি আনতে পারছিলনা কর্তৃপক্ষ। নিরুপায় হয়ে ২০১১ সালে পার্শ¦বর্তী আদিত্যপাশা গ্রামের বাসিন্দা জোসনা আক্তারের কাছ থেকে অনুনয়-বিনয় করে মাদরাসার নামে ৭৪ শতাংশ জমি লিখে নেন মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ মহিবুর রহমান ও সুপার মোঃ নজরুল ইসলাম। তবে এর বিপরীতে জোসনা আক্তারের মেয়েকে মাদারাসায় আয়া পদে ও তাঁর নাতি বউকে কম্পিউটার ল্যাব এসিস্ট্যান পদে চাকরিতে নিয়োগ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সুপার নজরুল ইসলাম। এছাড়াও জোসনা আক্তারের কাছ থেকে তিন দফায় ৯ লাখ ১২ হাজার টাকাও কৌশলে হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। কিন্তু প্রতিশ্রুতির ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও তাদের কাউকেই চাকরি দেয়নি সুপার নজরুল ইসলাম।

এসব অভিযোগের ব্যাপারে ভুক্তভোগী জোসনা আক্তার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক ভূঁইয়াকে দায়িত্ব দেন।

তদন্ত শেষে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ওমর ফারুক ভূইয়া বলেন, তদন্তে চাকুরির প্রলোভনে ৭৪ শতাংশ জমি লিখে নিয়েও চাকরী না দেওয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।

অভিযুক্ত সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগকারী চার লাখ টাকার বিনিময়ে মাদরাসার নামে ৭৪ শতাংশ জমি লিখে দিয়েছেন। কিন্তু একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে এই নারী আমার ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে তিনি বলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা একটি প্রভাবশালী মহলের চাপে পড়ে আমার বিরুদ্ধে মনগড়া প্রতিবেদন দিয়েছে।