স্পোর্টস ডেস্ক :
এই মাসের শুরুর দিকেই ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছাড়েন বাবর আজম। বাবর আজমের সরে দাঁড়ানোর পর পাকিস্তানের সাদা বলের নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। অস্ট্রেলিয়া ও জিম্বাবুয়ে সফরকে সামনে রেখে অবশেষে নতুন অধিনায়ক বেছে নিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। মোহাম্মদ রিজওয়ান যে নতুন অধিনায়ক হবেন সেটা নিয়ে আলোচনা ছিল আগে থেকেই। অবশেষে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার রিজওয়ানকে বেছে নিয়েছে তারা। সালমান আলী আগাকে করা হয়েছে সহ-অধিনায়ক।
রোববার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সাদা বলের ক্রিকেটের অধিনায়কের নাম ঘোষণা করেন পিসিবি চেয়ারম্যান।
এর আগে এদিন দুপুরে অস্ট্রেলিয়া এবং জিম্বাবুয়ে সফরের চারটি সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করা হয়। অস্ট্রেলিয়া সফরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাবর, শাহিন আফ্রিদি ও নাসিম শাহকে ফেরানো হয়েছে। এদের তিনজনকেই এক সঙ্গে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ দুই টেস্টের দল থেকে বাদ দেয়া হয়েছিল। তবে জিম্বাবুয়ের সফরে তাদের দলে রাখা হয়নি।
রিজওয়ানকে অধিনায়ক ঘোষণা করে পিসিবি চেয়ারম্যান মোহসিন নাকভি বলেন, আমি মোহাম্মদ রিজওয়ানকে পাকিস্তানের সাদা বলের ক্রিকেটের অধিনায়ক নির্বাচিত হওয়ায় আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমি আত্মবিশ্বাসী যে রিজওয়ানের নেতৃত্বগুণ, তার খেলার প্রতি গভীর প্রতিশ্রুতি ও আবেগের ভিত্তিতে, এই প্রতিভাবান দলকে ধারাবাহিকভাবে সফল ইউনিটে রূপ দিতে সহায়তা করবে।
তিনি আরও বলেন, রিজওয়ান তার নিষ্ঠা এবং ইতিবাচক মনোভাবের মাধ্যমে তার সহকর্মীদের কাছ থেকে সম্মান অর্জন করেছেন। আমি নিশ্চিত যে এই গুণাবলি, তার খেলার জ্ঞান ও পারফরম্যান্সের সঙ্গে মিলে, পরবর্তী প্রজন্মের পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের অনুপ্রাণিত করবে।
পিসিবি চেয়ারম্যান আরও বলেন, পিসিবি সবসময় খেলোয়াড় এবং স্টাফদের প্রতি পূর্ণ সমর্থন দিয়ে এসেছে এবং রিজওয়ান এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করার সময় আমরা তার পাশে থাকব। আমরা আশাবাদী যে তার নেতৃত্বে পাকিস্তানের সাদা বলের ক্রিকেট দল আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ শক্তিতে পরিণত হবে।
ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর বাবর নেতৃত্ব ছাড়ায় টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক করা হয় শাহিন আফ্রিদিকে। কিন্তু তিনি সাফল্য পাননি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে তাকে ছেঁটে ফেলা হয়।
এদিকে পাকিস্তানের বার্ষিক চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন ফখর জমান। বাবরকে টেস্ট দল থেকে বাদ দেয়ার পর বোর্ডের সমালোচনা করেছিলেন তিনি। সেই কারণেই ফখরকে বাদ দেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আগামী ৪ নভেম্বর মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে নামবে পাকিস্তান। ১৪ নভেম্বর থেকে শুরু হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এরপর ২৪ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে তারা।
অস্ট্রেলিয়া সফর
ওয়ানডে স্কোয়াড:
আমির জামাল, আব্দুল্লাহ শফিক, আরাফাত মিনহাস, বাবর আজম, ফয়সাল আকরাম, হারিস রউফ, হাসিবুল্লাহ, কামরান গুলাম, মোহাম্মদ হাসনাইন, মোহাম্মদ রিজওয়ান (অধিনায়ক), মোহাম্মদ ইরফান খান, নাসিম শাহ, সায়েম আইয়ুব, আগা সালমান, শাহিন আফ্রিদি।
টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড:
আরাফাত মিনহাস, বাবর আজম, হারিস রউফ, হাসিবুল্লাহ, জাহান্দাদ খান, আব্বাস আফ্রিদি, মোহাম্মদ রিজওয়ান (অধিনায়ক), ইরফান খান, নাসিম শাহ, ওমায়ের বিন ইউসুফ, সাহিবজাদা ফারহান, আগা সালমান, শাহিন আফ্রিদি, সুফিয়ান মোকিম, উসমান খান।
জিম্বাবুয়ে সফর
ওয়ানডে স্কোয়াড:
আমির জামাল, আব্দুল্লাহ শফিক, আবরার আহমেদ, আহমেদ দানিয়াল, ফয়সাল আকরাম, হারিস রউফ, হাসিবুল্লাহ, মোহাম্মদ হাসনাইন, মোহাম্মদ রিজওয়ান (অধিনায়ক), মোহাম্মদ ইরফান খান, সায়েম আইয়ুব, আগা সালমান, শাহনেওয়াজ ধানি ও তাইয়াব তাহির।
টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড:
আহমেদ দানিয়াল, আরাফাত মিনহাস, হারিস রউফ, হাসিবুল্লাহ, জাহান্দাদ খান, আব্বাস আফ্রিদি, মোহাম্মদ হাসনাইন, ইরফান খান, ওমায়ের বিন ইউসুফ, কাসিম আকরাম, সাহিবজাদা ফারহান, আগা সালমান, সুফিয়ান মোকিম, তাইয়াব তাহির ও উসমান খান।