Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানের বিপক্ষে যুবাদের দুর্দান্ত জয়

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৫১:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩
  • ১৯০ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

সাদা পোশাকের একমাত্র ম্যাচের পর আরও দুই ওয়ানডেতে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ। টানা দুই ওয়ানডের পর যুব টাইগাররা অবশেষে জয়ের দেখা পেয়েছে। আগের দুটি ম্যাচ হয়েছিল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডের আগে দু’দল উড়াল দেয় রাজশাহীতে। সেখানেই স্বাগতিকরা সিরিজের প্রথম জয় পেয়েছে। এদিন পরে ব্যাট করে পাকিস্তানকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে আহরার আমিনের দল।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) সকালে শহীদ এইচএম কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে টসে জিতে ফিল্ডিং করতে নামে বাংলাদেশের যুবারা। স্বাগতিক বোলারদের তোপের মুখে একদমই সুবিধা করতে পারেননি পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের ব্যাটাররা। ৪১.৪ ওভারেই পাকিস্তানের ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৫৪ রানে।

সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জয়ের ভিত গড়ে দেন দুই বাংলাদেশি ওপেনার। আদিল বিন সিদ্দিক ও মাজহারুল ইসলামের জুটিতে আসে ৫৯ রান। আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে আদিল ৩৬ রান এবং ইমন ২১ রান করেন। এরপর ক্রিজে নামা তিন ব্যাটারই দ্রুত বিদায় নিয়েছেন। ব্যক্তিগত ২৪ রানে জিসান আলম, আরিফুল ইসলাম ১২ ও অধিনায়ক আহরার আমিন ফেরেন মাত্র ৭ রান করে।

৯৫ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর সেই চাপ সামাল দেন শিহাব জেমস। তার ২৭ রানের ব্যাটে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। এছাড়া মাহফুজুর রাব্বি ৮ এবং পারভেজ জীবন ১৩ রানে স্বাগতিকরা সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। ৪ উইকেট জয় পাওয়া বাংলাদেশ টার্গেট রান ছুঁতে ব্যাট করে মাত্র ২৬ ওভার। পাকিস্তানের হয়ে আইমাল খান দুটি, আরাফাত আহমেদ ও আলী আসফান্দ নেন একটি করে উইকেট।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করা পাকিস্তানের দুই ওপেনার আজান আওয়াইস ২ ও শাহজাইব খান মাত্র ৩ রানেই ফিরে যান। এরপর তায়েব আরিফ ও স্যামিল হোসেন করেন ১৭ রান করে। ৬ নম্বরে নামা হামজা নাওয়াজ করেন মোটে ২ রানে। ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা চালান মির্জা সাদ বেগ ও আরাফাত আহমেদ মিনহাস। দুজনে মিলে সফরকারীদের স্কোরবোর্ডে ৪৩ রান যোগ করেন। এরপর বেগ আউট হয়ে ফেরেন ৩৫ রানে। মিনহাস দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন। শেষদিকে আলি আসফান্দ অপরাজিত থাকেন ২৭ রানে। আর তাতে পাকিস্তানের ইনিংস কোনোমতে দেড়শ’র ঘরে পৌঁছায়। বাংলাদেশের পক্ষে ৮ ওভারে ৪ মেডেনসহ ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন রহুনাত দৌল্লা বর্ষণ। ম্যাচ-সেরার পুরস্কারও জেতেন এই পেসার। সমান উইকেট নিতে ৮ ওভার ৩ বল করে ৩৭ রান খরচ করেন ইকবাল হোসেন ইমন। এছাড়া শেখ পারভেজ হোসেন জীবন দুই এবং জিশান আলম ও ওয়াসী সিদ্দিক এক উইকেট নেন।

তিন ম্যাচ শেষে পাকিস্তান ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে আছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

পাকিস্তানের বিপক্ষে যুবাদের দুর্দান্ত জয়

প্রকাশের সময় : ০৭:৫১:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

সাদা পোশাকের একমাত্র ম্যাচের পর আরও দুই ওয়ানডেতে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ। টানা দুই ওয়ানডের পর যুব টাইগাররা অবশেষে জয়ের দেখা পেয়েছে। আগের দুটি ম্যাচ হয়েছিল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডের আগে দু’দল উড়াল দেয় রাজশাহীতে। সেখানেই স্বাগতিকরা সিরিজের প্রথম জয় পেয়েছে। এদিন পরে ব্যাট করে পাকিস্তানকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে আহরার আমিনের দল।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) সকালে শহীদ এইচএম কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে টসে জিতে ফিল্ডিং করতে নামে বাংলাদেশের যুবারা। স্বাগতিক বোলারদের তোপের মুখে একদমই সুবিধা করতে পারেননি পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের ব্যাটাররা। ৪১.৪ ওভারেই পাকিস্তানের ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৫৪ রানে।

সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জয়ের ভিত গড়ে দেন দুই বাংলাদেশি ওপেনার। আদিল বিন সিদ্দিক ও মাজহারুল ইসলামের জুটিতে আসে ৫৯ রান। আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে আদিল ৩৬ রান এবং ইমন ২১ রান করেন। এরপর ক্রিজে নামা তিন ব্যাটারই দ্রুত বিদায় নিয়েছেন। ব্যক্তিগত ২৪ রানে জিসান আলম, আরিফুল ইসলাম ১২ ও অধিনায়ক আহরার আমিন ফেরেন মাত্র ৭ রান করে।

৯৫ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর সেই চাপ সামাল দেন শিহাব জেমস। তার ২৭ রানের ব্যাটে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। এছাড়া মাহফুজুর রাব্বি ৮ এবং পারভেজ জীবন ১৩ রানে স্বাগতিকরা সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। ৪ উইকেট জয় পাওয়া বাংলাদেশ টার্গেট রান ছুঁতে ব্যাট করে মাত্র ২৬ ওভার। পাকিস্তানের হয়ে আইমাল খান দুটি, আরাফাত আহমেদ ও আলী আসফান্দ নেন একটি করে উইকেট।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করা পাকিস্তানের দুই ওপেনার আজান আওয়াইস ২ ও শাহজাইব খান মাত্র ৩ রানেই ফিরে যান। এরপর তায়েব আরিফ ও স্যামিল হোসেন করেন ১৭ রান করে। ৬ নম্বরে নামা হামজা নাওয়াজ করেন মোটে ২ রানে। ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা চালান মির্জা সাদ বেগ ও আরাফাত আহমেদ মিনহাস। দুজনে মিলে সফরকারীদের স্কোরবোর্ডে ৪৩ রান যোগ করেন। এরপর বেগ আউট হয়ে ফেরেন ৩৫ রানে। মিনহাস দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন। শেষদিকে আলি আসফান্দ অপরাজিত থাকেন ২৭ রানে। আর তাতে পাকিস্তানের ইনিংস কোনোমতে দেড়শ’র ঘরে পৌঁছায়। বাংলাদেশের পক্ষে ৮ ওভারে ৪ মেডেনসহ ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন রহুনাত দৌল্লা বর্ষণ। ম্যাচ-সেরার পুরস্কারও জেতেন এই পেসার। সমান উইকেট নিতে ৮ ওভার ৩ বল করে ৩৭ রান খরচ করেন ইকবাল হোসেন ইমন। এছাড়া শেখ পারভেজ হোসেন জীবন দুই এবং জিশান আলম ও ওয়াসী সিদ্দিক এক উইকেট নেন।

তিন ম্যাচ শেষে পাকিস্তান ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে আছে।