Dhaka শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানের বিপক্ষে নাটকীয় জয় অস্ট্রেলিয়ার

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০২:৪৪:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ১৯৪ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বক্সিং ডে টেস্টের চতুর্থ দিনে রোমাঞ্চ ছড়ালো মেলবোর্নে। চতুর্থ ইনিংসে ৩১৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বিপর্যয়ে পড়লেও সালমান-রিজওয়ানের ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে জয়ের পথেই এগোচ্ছিল পাকিস্তান। দুজনকেই বেশ সাবলীল দেখাচ্ছিল। জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার যখন ৯৮ রান, তখন কামিন্সের দারুণ এক ডেলিভারিতে রিজওয়ানের বিতর্কিত আউটের পর মুহূর্তেই যেন ম্যাচের চিত্রপট পাল্টে যায়। সেখান থেকে নাটকীয়ভাবে ম্যাচটি জিতে নিলো অস্ট্রেলিয়া। রিজওয়ানের বিদায়ের পর পাকিস্তান শেষ পাঁচ উইকেট হারিয়েছে মাত্র ১৮ রানের ব্যবধানে।

পার্থ টেস্টে ভরাডুবির পর মেলবোর্নেও ৭৯ রানের হার শান মাসুদের দলের। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে খেলা সর্বশেষ ১৬ টেস্টে জয়হীন রইলো পাকিস্তান। অন্যদিকে, এক ম্যাচ হাতে রেখেই তিন টেস্টের সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। দুই ইনিংস মিলিয়ে দশ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।

আগের দিন দুর্দান্ত বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়াকে চেপে ধরেছিল পাকিস্তান। শাহীন শাহ আফ্রিদি ও মীর হামজার বলে লণ্ডভণ্ড স্বাগতিকরা। কিন্তু স্টিভ স্মিথ ও মিচেল মার্শ দাঁড়িয়ে যান। ৬ উইকেটে ১৮৭ রানে দিন শেষ করে তারা। কিন্তু চতুর্থ দিন ১৬ রানে অপরাজিত খেলতে নামা অ্যালেক্স ক্যারি হাল ধরেন। ব্যাটিং অর্ডারে এদিন তিনিই ছিলেন একমাত্র স্বীকৃত ব্যাটার এবং তার সৌজন্যে আর ৭৫ রান যোগ করে অজিরা।

দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ২৬২ রানে অলআউট হওয়ার পথে ক্যারি অবদান রাখেন হাফ সেঞ্চুরিতে। ১০১ বলে ৮ চারে ৫৩ রান করেন তিনি।

এদিন আমির হামজা নেন দুই উইকেট। চারটি করে উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সেরা বোলার শাহীন ও হামজা।

পাকিস্তানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩১৭ রানের। প্রথম সেশনেই তারা ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিককে (৪) হারায়। ইমাম উল হককে (১২) ফেরান কামিন্স। এরপর প্রতিরোধ গড়েন শান মাসুদ ও বাবর আজম। ৬১ রানে এই জুটি ভাঙে মাসুদের বিদায়ে। ৭১ বলে ৭ চারে ৬০ রান করেন অধিনায়ক। বাবর ও সৌদ শাকিলের ৩৬ রানের জুটি ভেঙে পাকিস্তানকে বিপদে ফেলেন জশ হ্যাজেলউড। ৭৯ বলে ৪১ রান করে তার শিকার হন বাবর। সৌদ শাকিলকে (২৪) হারিয়ে আরও চাপে পড়ে পাকিস্তান। ১৬২ রানে তারা হারায় ৫ উইকেট।

ওই কঠিন পরিস্থিতি সামলে নেয় সফরকারীরা, সাহায্য করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আগা সালমান। তাদের জুটিতে পাকিস্তানের জয়ের স্বপ্ন উজ্জ্বল হতে থাকে।

তবে ৫৭ রানের এই জুটি ভেঙে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন কামিন্স। রিজওয়ান ৩৫ রান করে তার শিকার হন। পরের ওভারে আমির জামালের ফিরতি ক্যাচ ধরেন অজি অধিনায়ক। শাহীনকে মার্নাস লাবুশেনের ক্যাচ বানিয়ে পঞ্চম উইকেট পূর্ণ করেন কামিন্স। পরের ওভারে মিচেল স্টার্ক পরপর দুই বলে আগা ও হামজাকে ফিরিয়ে জয় নিশ্চিত করেন। আগা ৭০ বল খেলে ৫০ রানে আউট হন। ৫ বলের মধ্যে শেষ তিন উইকেট হারায় পাকিস্তান। ফলে ৭৯ রানের হারে পাকিস্তান। এই হারে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতল অস্ট্রেলিয়া।

পাকিস্তানকে ২৩৭ রানে অলআউট করতে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ পাঁচ উইকেট নেন কামিন্স, ১৮ ওভারে ৪৯ রান দেন তিনি। চারটি পান স্টার্ক।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাকিস্তানের বিপক্ষে নাটকীয় জয় অস্ট্রেলিয়ার

প্রকাশের সময় : ০২:৪৪:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বক্সিং ডে টেস্টের চতুর্থ দিনে রোমাঞ্চ ছড়ালো মেলবোর্নে। চতুর্থ ইনিংসে ৩১৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বিপর্যয়ে পড়লেও সালমান-রিজওয়ানের ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে জয়ের পথেই এগোচ্ছিল পাকিস্তান। দুজনকেই বেশ সাবলীল দেখাচ্ছিল। জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার যখন ৯৮ রান, তখন কামিন্সের দারুণ এক ডেলিভারিতে রিজওয়ানের বিতর্কিত আউটের পর মুহূর্তেই যেন ম্যাচের চিত্রপট পাল্টে যায়। সেখান থেকে নাটকীয়ভাবে ম্যাচটি জিতে নিলো অস্ট্রেলিয়া। রিজওয়ানের বিদায়ের পর পাকিস্তান শেষ পাঁচ উইকেট হারিয়েছে মাত্র ১৮ রানের ব্যবধানে।

পার্থ টেস্টে ভরাডুবির পর মেলবোর্নেও ৭৯ রানের হার শান মাসুদের দলের। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে খেলা সর্বশেষ ১৬ টেস্টে জয়হীন রইলো পাকিস্তান। অন্যদিকে, এক ম্যাচ হাতে রেখেই তিন টেস্টের সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। দুই ইনিংস মিলিয়ে দশ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।

আগের দিন দুর্দান্ত বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়াকে চেপে ধরেছিল পাকিস্তান। শাহীন শাহ আফ্রিদি ও মীর হামজার বলে লণ্ডভণ্ড স্বাগতিকরা। কিন্তু স্টিভ স্মিথ ও মিচেল মার্শ দাঁড়িয়ে যান। ৬ উইকেটে ১৮৭ রানে দিন শেষ করে তারা। কিন্তু চতুর্থ দিন ১৬ রানে অপরাজিত খেলতে নামা অ্যালেক্স ক্যারি হাল ধরেন। ব্যাটিং অর্ডারে এদিন তিনিই ছিলেন একমাত্র স্বীকৃত ব্যাটার এবং তার সৌজন্যে আর ৭৫ রান যোগ করে অজিরা।

দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ২৬২ রানে অলআউট হওয়ার পথে ক্যারি অবদান রাখেন হাফ সেঞ্চুরিতে। ১০১ বলে ৮ চারে ৫৩ রান করেন তিনি।

এদিন আমির হামজা নেন দুই উইকেট। চারটি করে উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সেরা বোলার শাহীন ও হামজা।

পাকিস্তানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩১৭ রানের। প্রথম সেশনেই তারা ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিককে (৪) হারায়। ইমাম উল হককে (১২) ফেরান কামিন্স। এরপর প্রতিরোধ গড়েন শান মাসুদ ও বাবর আজম। ৬১ রানে এই জুটি ভাঙে মাসুদের বিদায়ে। ৭১ বলে ৭ চারে ৬০ রান করেন অধিনায়ক। বাবর ও সৌদ শাকিলের ৩৬ রানের জুটি ভেঙে পাকিস্তানকে বিপদে ফেলেন জশ হ্যাজেলউড। ৭৯ বলে ৪১ রান করে তার শিকার হন বাবর। সৌদ শাকিলকে (২৪) হারিয়ে আরও চাপে পড়ে পাকিস্তান। ১৬২ রানে তারা হারায় ৫ উইকেট।

ওই কঠিন পরিস্থিতি সামলে নেয় সফরকারীরা, সাহায্য করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আগা সালমান। তাদের জুটিতে পাকিস্তানের জয়ের স্বপ্ন উজ্জ্বল হতে থাকে।

তবে ৫৭ রানের এই জুটি ভেঙে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন কামিন্স। রিজওয়ান ৩৫ রান করে তার শিকার হন। পরের ওভারে আমির জামালের ফিরতি ক্যাচ ধরেন অজি অধিনায়ক। শাহীনকে মার্নাস লাবুশেনের ক্যাচ বানিয়ে পঞ্চম উইকেট পূর্ণ করেন কামিন্স। পরের ওভারে মিচেল স্টার্ক পরপর দুই বলে আগা ও হামজাকে ফিরিয়ে জয় নিশ্চিত করেন। আগা ৭০ বল খেলে ৫০ রানে আউট হন। ৫ বলের মধ্যে শেষ তিন উইকেট হারায় পাকিস্তান। ফলে ৭৯ রানের হারে পাকিস্তান। এই হারে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতল অস্ট্রেলিয়া।

পাকিস্তানকে ২৩৭ রানে অলআউট করতে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ পাঁচ উইকেট নেন কামিন্স, ১৮ ওভারে ৪৯ রান দেন তিনি। চারটি পান স্টার্ক।