Dhaka শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানের বিপক্ষে অজিদের বিশাল জয়

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৪২:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ১৮৯ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

অতীত ইতিহাস বদলানোর মিশনে অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু পার্থে ভাগ্য বদল হয়নি সফরকারীদের। প্রথম টেস্টে অজিদের কাছে ৩৬০ রানের ব্যবধানে হেরে শুরু করেছে টেস্ট সিরিজ। তাতে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে টানা ১৫তম টেস্ট হারের লজ্জা পেয়েছে শান মাসুদরা।

১৯৯৫ সালের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কোনো টেস্ট ম্যাচ জিতেনি পাকিস্তান। এ ম্যাচের আগে ১৪টি টেস্ট খেলেছিল তারা। রোববার হেরে সংখ্যাটি ১৫ করলো শান মাসুদের দল।

পার্থ টেস্টের চতুর্থ দিনেই ৩৬০ রানের বড় জয় তুলে নিলো স্বাগতিকরা। সেই সঙ্গে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে শুভসূচনা পেল প্যাট কামিন্স বাহিনী। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে খেলা সর্বশেষ ১৫ টেস্টে জয়হীন রইলো পাকিস্তান। অন্যদিকে, দলের বড় জয়ের দিনে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করলেন অজি স্পিনার নাথান লায়ন। টেস্ট ক্রিকেটে মাত্র অষ্টম বোলার হিসেবে এমন নজির গড়লেন তিনি।

প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে ৪৮৭ রানে অলআউট করার পর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৭১ রানে অলআউট হয় শান মাসুদের দল। সুযোগ থাকলেও পাকিস্তানকে ফলো-অন করায়নি অজিরা। ২১৬ রানে এগিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে আরও ২৩৩ রান যোগ করে ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা।

৪৫০ রানের পাহাড়সম টার্গেট তাড়ায় আজ চতুর্থ দিনের তৃতীয় সেশনে ব্যাট করতে নেমে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন-আপ। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে স্টার্কের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পাক ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক। তিনে ব্যাট করতে নামা অধিনায়ক শান মাসুদও নামলেন আর উঠলেন। ১১ বলে মোটে ২ রান করেছেন তিনি। প্রথম ইনিংসে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ৩০ রান।

দলীয় ১৯ রানে ইমাম উল হকের বিদায়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার রানের চাপে পিষ্ট পাকিস্তান আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। অধিনায়কত্বের চাপে ব্যাটে রান নেই-এমন গুঞ্জন উঠা বাবর আজম এবার নেতৃত্বে না থেকেও দুই ইনিংসেই ব্যর্থ হলেন। দুই ইনিংসে তার রান যথাক্রমে ২১ ও ১৪। অন্যদিকে, ঘরোয়াতে দারুণ ফর্মের কারণে দলে সুযোগ পেয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। তিনিও দুই ইনিংসে করতে পারলেন ৩ ও চার রান যথাক্রমে।

সর্বোচ্চ ২৪ রান করেছেন সৌদ শাকিল। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন দুই পেসার মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউড। ২ উইকেট নাথান লায়নের, যার প্রথমটি নিয়েই ইতিহাসের অষ্টম বোলার হিসেবে টেস্টে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন এই অফ স্পিনার।

এর আগে পাকিস্তানকে ফলো-অন না করিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ৮৪ রান তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া। আগের দিন ৭২ বলে ৪৩ রানে টিকে থাকা স্টিভ স্মিথ আজ আর ২ রান যোগ করেই সাজঘরে ফিরেছেন। এরপর খেলতে নেমে ইনিংস বড় করতে পারেননি ট্র্যাভিস হেডও। আমের জামালের শিকার হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৯ বলে ১৪ রান। এরপর ক্রিজে নামা মিচেল মার্শকে নিয়ে শত রানের জুটি গড়েন খাজা। ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিংয়ে নিজেও ছিলেন সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে।

শেষ দিকে বেপরোয়া ব্যাট চালাতে গিয়ে শাহিনের বলে বাবরকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। অজি এই ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে ১৯০ বলে ৯০ রান। খাজার বিদায়ের পরপরই ইনিংস ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৩৩ রান তোলে প্যাট কামিন্সের দল। শেষ পর্যন্ত মার্শ অপরাজিত ছিলেন ৬৮ বলে ৬৩ রান। পাকিস্তানি বোলারদের হয়ে অভিষিক্ত খুররাম শেহজাদ সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নিয়েছেন।

ব্যাটিংয়ে চূড়ান্ত ব্যর্থতার এই টেস্টে পাকিস্তানের একমাত্র প্রাপ্তি হতে পারে অভিষিক্ত দুই পেসারের বোলিং। অভিষেক টেস্ট খেলতে নেমে ক্ষুরধার বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে ১১১ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন আমের জামাল। তরুণ এই পেসারের কীর্তিতে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে পাঁচশোর আগেই থামায় পাকিস্তান। যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে তার দখলে গেছে একটি উইকেট।

প্রথম ইনিংসে ৯০, দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ৬৩ রান এবং ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয় মিচেল মার্শ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাকিস্তানের বিপক্ষে অজিদের বিশাল জয়

প্রকাশের সময় : ০৯:৪২:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

অতীত ইতিহাস বদলানোর মিশনে অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু পার্থে ভাগ্য বদল হয়নি সফরকারীদের। প্রথম টেস্টে অজিদের কাছে ৩৬০ রানের ব্যবধানে হেরে শুরু করেছে টেস্ট সিরিজ। তাতে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে টানা ১৫তম টেস্ট হারের লজ্জা পেয়েছে শান মাসুদরা।

১৯৯৫ সালের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কোনো টেস্ট ম্যাচ জিতেনি পাকিস্তান। এ ম্যাচের আগে ১৪টি টেস্ট খেলেছিল তারা। রোববার হেরে সংখ্যাটি ১৫ করলো শান মাসুদের দল।

পার্থ টেস্টের চতুর্থ দিনেই ৩৬০ রানের বড় জয় তুলে নিলো স্বাগতিকরা। সেই সঙ্গে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে শুভসূচনা পেল প্যাট কামিন্স বাহিনী। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে খেলা সর্বশেষ ১৫ টেস্টে জয়হীন রইলো পাকিস্তান। অন্যদিকে, দলের বড় জয়ের দিনে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করলেন অজি স্পিনার নাথান লায়ন। টেস্ট ক্রিকেটে মাত্র অষ্টম বোলার হিসেবে এমন নজির গড়লেন তিনি।

প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে ৪৮৭ রানে অলআউট করার পর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৭১ রানে অলআউট হয় শান মাসুদের দল। সুযোগ থাকলেও পাকিস্তানকে ফলো-অন করায়নি অজিরা। ২১৬ রানে এগিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে আরও ২৩৩ রান যোগ করে ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা।

৪৫০ রানের পাহাড়সম টার্গেট তাড়ায় আজ চতুর্থ দিনের তৃতীয় সেশনে ব্যাট করতে নেমে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন-আপ। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে স্টার্কের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পাক ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক। তিনে ব্যাট করতে নামা অধিনায়ক শান মাসুদও নামলেন আর উঠলেন। ১১ বলে মোটে ২ রান করেছেন তিনি। প্রথম ইনিংসে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ৩০ রান।

দলীয় ১৯ রানে ইমাম উল হকের বিদায়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার রানের চাপে পিষ্ট পাকিস্তান আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। অধিনায়কত্বের চাপে ব্যাটে রান নেই-এমন গুঞ্জন উঠা বাবর আজম এবার নেতৃত্বে না থেকেও দুই ইনিংসেই ব্যর্থ হলেন। দুই ইনিংসে তার রান যথাক্রমে ২১ ও ১৪। অন্যদিকে, ঘরোয়াতে দারুণ ফর্মের কারণে দলে সুযোগ পেয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। তিনিও দুই ইনিংসে করতে পারলেন ৩ ও চার রান যথাক্রমে।

সর্বোচ্চ ২৪ রান করেছেন সৌদ শাকিল। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন দুই পেসার মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউড। ২ উইকেট নাথান লায়নের, যার প্রথমটি নিয়েই ইতিহাসের অষ্টম বোলার হিসেবে টেস্টে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন এই অফ স্পিনার।

এর আগে পাকিস্তানকে ফলো-অন না করিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ৮৪ রান তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া। আগের দিন ৭২ বলে ৪৩ রানে টিকে থাকা স্টিভ স্মিথ আজ আর ২ রান যোগ করেই সাজঘরে ফিরেছেন। এরপর খেলতে নেমে ইনিংস বড় করতে পারেননি ট্র্যাভিস হেডও। আমের জামালের শিকার হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৯ বলে ১৪ রান। এরপর ক্রিজে নামা মিচেল মার্শকে নিয়ে শত রানের জুটি গড়েন খাজা। ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিংয়ে নিজেও ছিলেন সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে।

শেষ দিকে বেপরোয়া ব্যাট চালাতে গিয়ে শাহিনের বলে বাবরকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। অজি এই ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে ১৯০ বলে ৯০ রান। খাজার বিদায়ের পরপরই ইনিংস ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৩৩ রান তোলে প্যাট কামিন্সের দল। শেষ পর্যন্ত মার্শ অপরাজিত ছিলেন ৬৮ বলে ৬৩ রান। পাকিস্তানি বোলারদের হয়ে অভিষিক্ত খুররাম শেহজাদ সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নিয়েছেন।

ব্যাটিংয়ে চূড়ান্ত ব্যর্থতার এই টেস্টে পাকিস্তানের একমাত্র প্রাপ্তি হতে পারে অভিষিক্ত দুই পেসারের বোলিং। অভিষেক টেস্ট খেলতে নেমে ক্ষুরধার বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে ১১১ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন আমের জামাল। তরুণ এই পেসারের কীর্তিতে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে পাঁচশোর আগেই থামায় পাকিস্তান। যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে তার দখলে গেছে একটি উইকেট।

প্রথম ইনিংসে ৯০, দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ৬৩ রান এবং ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয় মিচেল মার্শ।