Dhaka বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানকে ৩৬৮ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল অস্ট্রেলিয়া

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৪৮:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০২৩
  • ২০৪ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

আগে ব্যাট করতে নেমে রানের পাহাড় গড়েছে অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তানকে রানের লক্ষ্য দিয়েছে তারা। ভারতের বিপক্ষে হারের পর আজ পাকিস্তানের লড়াইটা ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর।

নিজের পঞ্চম উইকেট তুলে নেওয়ার পর সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ জমিনে মাথা ঠেকালেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। বেঙ্গালুরুর রানপ্রসবা এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার রানবন্যার ম্যাচে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ান জ্বরে ভোগা পাক এই পেসার। একই ম্যাচে দুই দুই বার হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগালেন। একসময় ছুটতে থাকা অস্ট্রেলিয়ার রান চারশ’ করতে না দেওয়ার পেছনে বড় কৃতিত্ব শাহিনের। ২৫৯ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। শেষ ৩৭ রানে পাঁচ উইকেট হারায় প্যাট কামিন্সরা।

অবশ্য শাহিনের পাল্টা আঘাতের আগে নিজেদের কাজটা সেরে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। দুই ওপেনার মিচেল মার্শ আর ডেভিড ওয়ার্নারের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেটে ৩৬৭ রানের বড় পুঁজি পেয়েছে তারা।

টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেছেন ওয়ার্নার এবং মার্শ। তাদের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়েই আজ ভেঙেছে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে উদ্বোধনী জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। ২০১১ বিশ্বকাপে এই ব্যাঙ্গালুরুর মাঠেই ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নেমে ১৮৩ রানের জুটি গড়েছিলেন শেন ওয়াটসন এবং ব্র্যাড হ্যাডিন। আর আজ দুই অজি ওপেনার মিলে স্কোরবোর্ডে তুলেন ২৫৯ রান।

পাকিস্তানি বোলারদের তুলোধুনা করে আজ পাওয়ার প্লেতেই ৮২ রান তুলেছেন দুই অজি ওপেনার। মারমুখী ব্যাটিংয়ে ৩৯ বলেই নিজের ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন ওয়ার্নার। এর পরপরই ৪০ বলে ফিফটি তুলে নেন মার্শও। এ দুজন মিলে আজ ৭৫ বল খেলেই স্কোরবোর্ডে তুলেন ১০০ রান।

ওয়ার্নার এবং মার্শের সামনে আজ পাকিস্তানি বোলারররা ছিলেন একেবারে ছন্নছাড়া। পাওয়ার প্লে তে শাহিন আফ্রিদি মিতব্যয়ী থাকলেও বাকি সবাই ছিলেন খরুচে। এদিকে একের পর এক বাউন্ডারিতে আজ ওয়ার্নার নিজের সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ৮৫ বলেই। এরপর মার্শও নিজের ব্যক্তিগত শতক তুলে নিয়েছেন ১০০ বল খেলে।

ওয়ার্নার- মার্শের উদ্বোধনী জুটি আজ ভেঙেছেন শাহিন আফ্রিদি। দলীয় ২৫৯ রানে শাহিনের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে উসামা মীরের ক্যাচে পরিণত হন মার্শ। সাজঘরে ফেরার আগে করেছেন ১০৮ বলে ১০ চার এবং ৯ ছয়ে ১২১ রান। আর বিশ্বকাপ ইতিহাসে এটিই এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি।

এদিকে ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে তিনে নামিয়েছিল অজি টিম ম্যানেজম্যান্ট। তবে মারকুটে এ ব্যাটার হতাশ করেছেন আজও। মার্শ আউট হওয়ার পরের বলেই ক্যাচ তুলে দিয়ে তিনিও শূন্য রানেই ফিরেছেন সাজঘরে। পরপর দুই উইকেট হারিয়ে তাই কিছুটা কমে আসে অস্ট্রেলিয়ার রানের গতি।

ম্যাক্সওয়েলের পর মাঠে ওয়ার্নারের সঙ্গী হন স্মিথ। ৭ রান করে তিনিও ফিরেছেন দলীয় ২৮৪ রানেই। এদিকে দ্রুত ৩ উইকেট হারালেও আজ ওয়ার্নারকে ফেরাতে পারেনি পাকিস্তানি বোলাররা। অজি ওপেনার ১১৬ বলে করেন ১৫০ রান। তাঁর সামনে সুযোগ ছিল বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস খেলার নিজের রেকর্ডই ভাঙার। তবে পারেননি তিনি।

দলীয় ৩২৫ রানে হারিস রউফের বলে বদলি নামা শাদাব খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন তিনি। আউট হবার আগে করেছেন ১২৪ বলে ১৪ চার আর ৯ ছয়ে ১৬৩ রান। অতহচ এই ওয়ার্নার আজ ফিরতে পারতেন মাত্র ১০ রানেই। ৪.৩ ওভারে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন শাহিনের বলে। তবে সেই ক্যাচটি তালুবন্দী করতে পারেননি উসামা। ক্যাচ মিসের সেই খেসারতই আজ দিতে হয়েছে পাকিস্তানকে।

শেষের আগের ওভারে রউফের বলে বাউন্ডারি মারতে গিয়ে বদলি ফিল্ডার শাদাব খানের হাতে ধরা পড়েন মার্নাস লাবুশেন (৮)। শেষ ওভারে আফ্রিদি তার চতুর্থ শিকার বানান মিচেল স্টার্ককে (২)। পরের বলে জশ হ্যাজেলউডকে ফিরিয়ে ম্যাচে দ্বিতীয়বার হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করেন পাকিস্তানি পেসার। পরের বল অ্যাডাম জাম্পার লেগস্টাম্প ঘেষে ওয়াইড হলে হ্যাটট্রিকবঞ্চিত হন আফ্রিদি।

শেষ ১০ ওভারে আফ্রিদি ও রউফের দারুণ বোলিংয়ে ৭০ রান দিয়ে পাকিস্তান নেয় ৬ উইকেট। দুজনই এই সময়ে তিনটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন। তাদের চমৎকারিত্বে অজিরা চারশ ছাড়ানোর আভাস দিলেও পারেনি।

পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ পাঁচটি উইকেট নিয়েছেন শাহিন। এছাড়া হারিস রউফ ৩টি ও উসামা মীর শিকার করেন একটি উইকেট।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংযোগ সড়ক না থাকায় ব্রিজের সুফল পাচ্ছে না মানুষ, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

পাকিস্তানকে ৩৬৮ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশের সময় : ০৬:৪৮:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

আগে ব্যাট করতে নেমে রানের পাহাড় গড়েছে অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তানকে রানের লক্ষ্য দিয়েছে তারা। ভারতের বিপক্ষে হারের পর আজ পাকিস্তানের লড়াইটা ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর।

নিজের পঞ্চম উইকেট তুলে নেওয়ার পর সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ জমিনে মাথা ঠেকালেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। বেঙ্গালুরুর রানপ্রসবা এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার রানবন্যার ম্যাচে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ান জ্বরে ভোগা পাক এই পেসার। একই ম্যাচে দুই দুই বার হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগালেন। একসময় ছুটতে থাকা অস্ট্রেলিয়ার রান চারশ’ করতে না দেওয়ার পেছনে বড় কৃতিত্ব শাহিনের। ২৫৯ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। শেষ ৩৭ রানে পাঁচ উইকেট হারায় প্যাট কামিন্সরা।

অবশ্য শাহিনের পাল্টা আঘাতের আগে নিজেদের কাজটা সেরে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। দুই ওপেনার মিচেল মার্শ আর ডেভিড ওয়ার্নারের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেটে ৩৬৭ রানের বড় পুঁজি পেয়েছে তারা।

টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেছেন ওয়ার্নার এবং মার্শ। তাদের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়েই আজ ভেঙেছে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে উদ্বোধনী জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। ২০১১ বিশ্বকাপে এই ব্যাঙ্গালুরুর মাঠেই ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নেমে ১৮৩ রানের জুটি গড়েছিলেন শেন ওয়াটসন এবং ব্র্যাড হ্যাডিন। আর আজ দুই অজি ওপেনার মিলে স্কোরবোর্ডে তুলেন ২৫৯ রান।

পাকিস্তানি বোলারদের তুলোধুনা করে আজ পাওয়ার প্লেতেই ৮২ রান তুলেছেন দুই অজি ওপেনার। মারমুখী ব্যাটিংয়ে ৩৯ বলেই নিজের ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন ওয়ার্নার। এর পরপরই ৪০ বলে ফিফটি তুলে নেন মার্শও। এ দুজন মিলে আজ ৭৫ বল খেলেই স্কোরবোর্ডে তুলেন ১০০ রান।

ওয়ার্নার এবং মার্শের সামনে আজ পাকিস্তানি বোলারররা ছিলেন একেবারে ছন্নছাড়া। পাওয়ার প্লে তে শাহিন আফ্রিদি মিতব্যয়ী থাকলেও বাকি সবাই ছিলেন খরুচে। এদিকে একের পর এক বাউন্ডারিতে আজ ওয়ার্নার নিজের সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ৮৫ বলেই। এরপর মার্শও নিজের ব্যক্তিগত শতক তুলে নিয়েছেন ১০০ বল খেলে।

ওয়ার্নার- মার্শের উদ্বোধনী জুটি আজ ভেঙেছেন শাহিন আফ্রিদি। দলীয় ২৫৯ রানে শাহিনের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে উসামা মীরের ক্যাচে পরিণত হন মার্শ। সাজঘরে ফেরার আগে করেছেন ১০৮ বলে ১০ চার এবং ৯ ছয়ে ১২১ রান। আর বিশ্বকাপ ইতিহাসে এটিই এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি।

এদিকে ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে তিনে নামিয়েছিল অজি টিম ম্যানেজম্যান্ট। তবে মারকুটে এ ব্যাটার হতাশ করেছেন আজও। মার্শ আউট হওয়ার পরের বলেই ক্যাচ তুলে দিয়ে তিনিও শূন্য রানেই ফিরেছেন সাজঘরে। পরপর দুই উইকেট হারিয়ে তাই কিছুটা কমে আসে অস্ট্রেলিয়ার রানের গতি।

ম্যাক্সওয়েলের পর মাঠে ওয়ার্নারের সঙ্গী হন স্মিথ। ৭ রান করে তিনিও ফিরেছেন দলীয় ২৮৪ রানেই। এদিকে দ্রুত ৩ উইকেট হারালেও আজ ওয়ার্নারকে ফেরাতে পারেনি পাকিস্তানি বোলাররা। অজি ওপেনার ১১৬ বলে করেন ১৫০ রান। তাঁর সামনে সুযোগ ছিল বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস খেলার নিজের রেকর্ডই ভাঙার। তবে পারেননি তিনি।

দলীয় ৩২৫ রানে হারিস রউফের বলে বদলি নামা শাদাব খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন তিনি। আউট হবার আগে করেছেন ১২৪ বলে ১৪ চার আর ৯ ছয়ে ১৬৩ রান। অতহচ এই ওয়ার্নার আজ ফিরতে পারতেন মাত্র ১০ রানেই। ৪.৩ ওভারে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন শাহিনের বলে। তবে সেই ক্যাচটি তালুবন্দী করতে পারেননি উসামা। ক্যাচ মিসের সেই খেসারতই আজ দিতে হয়েছে পাকিস্তানকে।

শেষের আগের ওভারে রউফের বলে বাউন্ডারি মারতে গিয়ে বদলি ফিল্ডার শাদাব খানের হাতে ধরা পড়েন মার্নাস লাবুশেন (৮)। শেষ ওভারে আফ্রিদি তার চতুর্থ শিকার বানান মিচেল স্টার্ককে (২)। পরের বলে জশ হ্যাজেলউডকে ফিরিয়ে ম্যাচে দ্বিতীয়বার হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করেন পাকিস্তানি পেসার। পরের বল অ্যাডাম জাম্পার লেগস্টাম্প ঘেষে ওয়াইড হলে হ্যাটট্রিকবঞ্চিত হন আফ্রিদি।

শেষ ১০ ওভারে আফ্রিদি ও রউফের দারুণ বোলিংয়ে ৭০ রান দিয়ে পাকিস্তান নেয় ৬ উইকেট। দুজনই এই সময়ে তিনটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন। তাদের চমৎকারিত্বে অজিরা চারশ ছাড়ানোর আভাস দিলেও পারেনি।

পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ পাঁচটি উইকেট নিয়েছেন শাহিন। এছাড়া হারিস রউফ ৩টি ও উসামা মীর শিকার করেন একটি উইকেট।