Dhaka বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাঁচ শহরের ১৫টি স্টেডিয়ামে ২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপ সৌদিতে

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৪৭:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪
  • ১৯৫ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ আসর। এই আসরে অংশ নিবে ৪৮টি দল। এক দশক পর অনুষ্ঠিতব্য এই আসর হবে সৌদির পাঁচটি শহরের ১৫টি স্টেডিয়ামে। এমনটাই জানিয়েছে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ)।

জানা গেছে, ১৫টি স্টেডিয়ামের মধ্যে সৌদির রাজধানী রিয়াদেই থাকবে ৮টি। বাকি ৭টি স্টেডিয়াম থাকবে চার শহর জেদ্দা, আল খোবার, আবহা ও ৫০০ বিলিয়ন ডলার অর্থমূল্যের নতুন শহর নিওমে।

বিডের দলিল অনুসারে, ৪৮ দলের বিশ্বকাপ আয়োজন করতে সৌদির কমপক্ষে ৪০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার ১৪টি স্টেডিয়াম লাগবে। বর্তমানে সৌদির এমন স্টেডিয়াম আছে দুটি—জেদ্দার কিং আবদুল্লাহ স্টেডিয়াম ও রিয়াদের কিং ফাহাদ স্টেডিয়াম। এর মধ্যে ফাহাদ স্টেডিয়ামে এখনও কাজ চলছে। বাকি ১৩টি স্টেডিয়াম ফিফার চাহিদা অনুযায়ী নির্মাণের অপেক্ষায় রয়েছে দেশটি।

এসব স্টেডিয়ামের মধ্যে অন্যতম এক স্টেডিয়াম, যেটি রিয়াদে তৈরি করা হবে। আশা করা হচ্ছে ২০২৯ সালের মধ্যে স্টেডিয়ামটির কাজ সম্পন্ন করা হবে। ৯২ হাজার ৭৬০ জনের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়ামটির নাম রাখা হবে ‘কিং সালমান আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম’। এখানেই হবে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ও ফাইনাল ম্যাচ। বিশ্বকাপ শেষে সৌদি জাতীয় দলের স্টেডিয়াম হিসেবে ব্যবহার করা হবে মাঠটি।

আরেক স্টেডিয়াম তৈরি করা হবে নিয়ম শহরে। মাটি থেকে যার উচ্চতা হবে ৩৫০ মিটার উপরে। স্টেডিয়ামটির ব্যাপারে প্রস্তাবক রাজ্যটি জানায়, এই স্টেডিয়ামের অভিজ্ঞতা হবে বাকিগুলো থেকে অন্যরকম। বিশ্বের সবচেয়ে নান্দনিক ডিজাইনে তৈরি করা হবে স্টেডিয়ামটি। টুর্নামেন্ট (বিশ্বকাপ) শেষে স্টেডিয়ামটি ব্যবহার হবে নিয়মে’র পেশাদারি ফুটবল ক্লাবের অফিসিয়াল মাঠ হিসেবে। এছাড়া এই রাজ্যের বিভিন্ন ক্রীড়া অনুষ্ঠানসহ সামাজিক অনুষ্ঠান এখানেই হবে।

এদিকে বিডের ব্যাপারে সৌদি রাজকুমার মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, এই বিডের প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে প্রবৃদ্ধি; মানুষের প্রবৃদ্ধি, ফুটবল এবং বিশ্বব্যাপি যোগাযোগ বাড়ানোর প্রবৃদ্ধি। ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন করা এই রাজ্যের ক্রীড়া উন্নতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এখানে হওয়া অভূতপূর্ণ উন্নয়ন এবং সাফল্য তারই প্রতিচ্ছ্ববি।

জানা গেছে বিশ্বকাপ আয়োজনের এই প্রচারণায় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে পরিকল্পনায় রেখেছে সৌদি আরব। পর্তুগিজ তারকা ইতোমধ্যে নিজেরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশ্বকাপ বিডের বিষয়ে পোস্ট করেছেন।

২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপ ছাড়াও ২০২৭ এশিয়ান কাপ, ২০২৯ এশিয়ান উইন্টার গেমস এবং ২০৩৪ সালের এশিয়ান গেমসও আয়োজন করতে আগ্রহী সৌদি আরব। তবে এতসব বড় মাপের টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য এখনো প্রস্তুত নয় তাদের দেশ। এর জন্য বেশ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে স্বাগতিকদের। তবে তারা আত্মবিশ্বাসী যে তারা সব প্রতিবন্ধকতা পার করে বৈশ্বিক টুর্নামেন্টগুলো আয়োজন করতে পারবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আপস করলে খালেদা জিয়া অনেক আগেই ক্ষমতায় বসতে পারতেন : সেলিমা রহমান

পাঁচ শহরের ১৫টি স্টেডিয়ামে ২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপ সৌদিতে

প্রকাশের সময় : ০৯:৪৭:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ আসর। এই আসরে অংশ নিবে ৪৮টি দল। এক দশক পর অনুষ্ঠিতব্য এই আসর হবে সৌদির পাঁচটি শহরের ১৫টি স্টেডিয়ামে। এমনটাই জানিয়েছে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ)।

জানা গেছে, ১৫টি স্টেডিয়ামের মধ্যে সৌদির রাজধানী রিয়াদেই থাকবে ৮টি। বাকি ৭টি স্টেডিয়াম থাকবে চার শহর জেদ্দা, আল খোবার, আবহা ও ৫০০ বিলিয়ন ডলার অর্থমূল্যের নতুন শহর নিওমে।

বিডের দলিল অনুসারে, ৪৮ দলের বিশ্বকাপ আয়োজন করতে সৌদির কমপক্ষে ৪০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার ১৪টি স্টেডিয়াম লাগবে। বর্তমানে সৌদির এমন স্টেডিয়াম আছে দুটি—জেদ্দার কিং আবদুল্লাহ স্টেডিয়াম ও রিয়াদের কিং ফাহাদ স্টেডিয়াম। এর মধ্যে ফাহাদ স্টেডিয়ামে এখনও কাজ চলছে। বাকি ১৩টি স্টেডিয়াম ফিফার চাহিদা অনুযায়ী নির্মাণের অপেক্ষায় রয়েছে দেশটি।

এসব স্টেডিয়ামের মধ্যে অন্যতম এক স্টেডিয়াম, যেটি রিয়াদে তৈরি করা হবে। আশা করা হচ্ছে ২০২৯ সালের মধ্যে স্টেডিয়ামটির কাজ সম্পন্ন করা হবে। ৯২ হাজার ৭৬০ জনের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়ামটির নাম রাখা হবে ‘কিং সালমান আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম’। এখানেই হবে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ও ফাইনাল ম্যাচ। বিশ্বকাপ শেষে সৌদি জাতীয় দলের স্টেডিয়াম হিসেবে ব্যবহার করা হবে মাঠটি।

আরেক স্টেডিয়াম তৈরি করা হবে নিয়ম শহরে। মাটি থেকে যার উচ্চতা হবে ৩৫০ মিটার উপরে। স্টেডিয়ামটির ব্যাপারে প্রস্তাবক রাজ্যটি জানায়, এই স্টেডিয়ামের অভিজ্ঞতা হবে বাকিগুলো থেকে অন্যরকম। বিশ্বের সবচেয়ে নান্দনিক ডিজাইনে তৈরি করা হবে স্টেডিয়ামটি। টুর্নামেন্ট (বিশ্বকাপ) শেষে স্টেডিয়ামটি ব্যবহার হবে নিয়মে’র পেশাদারি ফুটবল ক্লাবের অফিসিয়াল মাঠ হিসেবে। এছাড়া এই রাজ্যের বিভিন্ন ক্রীড়া অনুষ্ঠানসহ সামাজিক অনুষ্ঠান এখানেই হবে।

এদিকে বিডের ব্যাপারে সৌদি রাজকুমার মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, এই বিডের প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে প্রবৃদ্ধি; মানুষের প্রবৃদ্ধি, ফুটবল এবং বিশ্বব্যাপি যোগাযোগ বাড়ানোর প্রবৃদ্ধি। ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন করা এই রাজ্যের ক্রীড়া উন্নতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এখানে হওয়া অভূতপূর্ণ উন্নয়ন এবং সাফল্য তারই প্রতিচ্ছ্ববি।

জানা গেছে বিশ্বকাপ আয়োজনের এই প্রচারণায় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে পরিকল্পনায় রেখেছে সৌদি আরব। পর্তুগিজ তারকা ইতোমধ্যে নিজেরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশ্বকাপ বিডের বিষয়ে পোস্ট করেছেন।

২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপ ছাড়াও ২০২৭ এশিয়ান কাপ, ২০২৯ এশিয়ান উইন্টার গেমস এবং ২০৩৪ সালের এশিয়ান গেমসও আয়োজন করতে আগ্রহী সৌদি আরব। তবে এতসব বড় মাপের টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য এখনো প্রস্তুত নয় তাদের দেশ। এর জন্য বেশ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে স্বাগতিকদের। তবে তারা আত্মবিশ্বাসী যে তারা সব প্রতিবন্ধকতা পার করে বৈশ্বিক টুর্নামেন্টগুলো আয়োজন করতে পারবে।