Dhaka বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাঁচ বছর মেয়াদি ট্রেড লাইসেন্স চালু

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পাঁচ বছর মেয়াদি ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিতে (এমসিসিআই) আয়োজিত অনুষ্ঠানে পাঁচ বছর মেয়াদি ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি।

ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, প্রতি বছর ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে নানা ভোগান্তি হতো, হয়রানির শিকার হতেন ব্যবসায়ীরা। নতুন এ কার্যক্রমের ফলে আর হয়রানির সুযোগ নেই, সব হবে অনলাইনে। এই ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু এবং নবায়নের জন্য আর কাউকে দপ্তরে দপ্তরে ঘুরতে হবে না। এগুলোর সেবা পাওয়া যাবে অনলাইনেই। হয়রানি বন্ধে পাঁচ বছরের জন্য ট্রেড লাইসেন্স চালু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।

তিনি বলেন, ট্রেড লাইসেন্স সংক্রান্ত সব কাজ অনলাইনের মাধ্যমে হবে। একজন ব্যবসায়ী মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে পারবেন। আমরা বলতে পারি, এদিকে আমরা এখন আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছে গেছি। ব্যবসায়ীদের হয়রানি বন্ধে ট্রেড লাইসেন্স পাঁচ বছরের জন্য দেওয়া হবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা পাঁচ বছর মেয়াদি ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু এবং নবায়ন পদ্ধতি চালু করেছি। দক্ষিণ সিটির আওতাধীন ব্যবসায়ীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন।

তাপস বলেন, ঢাকা শহরের ব্যবসায়ীদের নেতৃত্ব দিচ্ছে এমসিসিআই। অভ্যন্তরীণ পণ্য উৎপাদনের মোট ৪০ শতাংশ হয় ঢাকায়। অবকাঠামো উন্নয়নে হার্ড ও সফট উন্নয়ন হয়। মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হওয়ার পর মানুষ আজ হার্ড অবকাঠামো উন্নয়নের সুফল পাচ্ছি। এর সঙ্গে সফট উন্নয়ন বিশেষ করে ডিজিটালি টিকিটিং ব্যবস্থা যোগ হওয়ায় আর ভোগান্তি নেই। ব্যবসায়ীরাও এর সুফল পাচ্ছেন। আগে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন ও ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে ব্যবসায়ীরা হয়রানির মুখে পড়তেন। এতে ব্যবসায়িক উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছিল। এখন আর কোনো হয়রানির মধ্যে পড়তে হবে না, কারো দপ্তরে দিনের পর দিন ঘুরতে হবো না।

ঢাকা দক্ষিণের খাল নর্দমা পরিষ্কারে নিজস্ব অর্থায়নে কাজ করছেন জানিয়ে মেয়র বলেন, আগে সরকার টাকা দিতো এখন নিজস্ব অর্থায়নে আমরা কাজগুলো করার চেষ্টা করছি। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আলাদা বরাদ্ধও রাখা হয়েছে।

উড়াল সেতুর নিচের অংশগুলোর অবস্থা খারাপ। মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নিচের অংশের অবস্থাও খুব খারাপ। পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছি, প্ল্যানিং করে ফেলছি। দ্রুত করার চেষ্টা করছি, শিগগিরই কাজ দৃশ্যমান হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে এমসিসিআই সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, আগে ট্রেড লাইসেন্স ছিল স্বল্পমেয়াদের জন্য, বছরে বছরে নবায়ন করতে হতো। এতে প্রতি বছর ব্যবসায়ীদের হয়রানির মধ্যে পড়তে হতো। এএমসিসিআইর পক্ষে আমরা পলিসি মেকার ও সরকার প্রধানকে জানিয়েছিলাম। ফলশ্রুতিতে আজ ট্রেড লাইসেন্সের মেয়াদ পাঁচ বছর করা হলো। সেজন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে আমরা ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সাঈদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করেন হাসিনা ট্রাইব্যুনালে সাক্ষীদের অভিযোগ

পাঁচ বছর মেয়াদি ট্রেড লাইসেন্স চালু

প্রকাশের সময় : ০৩:৩৮:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পাঁচ বছর মেয়াদি ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিতে (এমসিসিআই) আয়োজিত অনুষ্ঠানে পাঁচ বছর মেয়াদি ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি।

ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, প্রতি বছর ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে নানা ভোগান্তি হতো, হয়রানির শিকার হতেন ব্যবসায়ীরা। নতুন এ কার্যক্রমের ফলে আর হয়রানির সুযোগ নেই, সব হবে অনলাইনে। এই ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু এবং নবায়নের জন্য আর কাউকে দপ্তরে দপ্তরে ঘুরতে হবে না। এগুলোর সেবা পাওয়া যাবে অনলাইনেই। হয়রানি বন্ধে পাঁচ বছরের জন্য ট্রেড লাইসেন্স চালু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।

তিনি বলেন, ট্রেড লাইসেন্স সংক্রান্ত সব কাজ অনলাইনের মাধ্যমে হবে। একজন ব্যবসায়ী মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে পারবেন। আমরা বলতে পারি, এদিকে আমরা এখন আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছে গেছি। ব্যবসায়ীদের হয়রানি বন্ধে ট্রেড লাইসেন্স পাঁচ বছরের জন্য দেওয়া হবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা পাঁচ বছর মেয়াদি ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু এবং নবায়ন পদ্ধতি চালু করেছি। দক্ষিণ সিটির আওতাধীন ব্যবসায়ীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন।

তাপস বলেন, ঢাকা শহরের ব্যবসায়ীদের নেতৃত্ব দিচ্ছে এমসিসিআই। অভ্যন্তরীণ পণ্য উৎপাদনের মোট ৪০ শতাংশ হয় ঢাকায়। অবকাঠামো উন্নয়নে হার্ড ও সফট উন্নয়ন হয়। মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হওয়ার পর মানুষ আজ হার্ড অবকাঠামো উন্নয়নের সুফল পাচ্ছি। এর সঙ্গে সফট উন্নয়ন বিশেষ করে ডিজিটালি টিকিটিং ব্যবস্থা যোগ হওয়ায় আর ভোগান্তি নেই। ব্যবসায়ীরাও এর সুফল পাচ্ছেন। আগে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন ও ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে ব্যবসায়ীরা হয়রানির মুখে পড়তেন। এতে ব্যবসায়িক উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছিল। এখন আর কোনো হয়রানির মধ্যে পড়তে হবে না, কারো দপ্তরে দিনের পর দিন ঘুরতে হবো না।

ঢাকা দক্ষিণের খাল নর্দমা পরিষ্কারে নিজস্ব অর্থায়নে কাজ করছেন জানিয়ে মেয়র বলেন, আগে সরকার টাকা দিতো এখন নিজস্ব অর্থায়নে আমরা কাজগুলো করার চেষ্টা করছি। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আলাদা বরাদ্ধও রাখা হয়েছে।

উড়াল সেতুর নিচের অংশগুলোর অবস্থা খারাপ। মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নিচের অংশের অবস্থাও খুব খারাপ। পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছি, প্ল্যানিং করে ফেলছি। দ্রুত করার চেষ্টা করছি, শিগগিরই কাজ দৃশ্যমান হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে এমসিসিআই সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, আগে ট্রেড লাইসেন্স ছিল স্বল্পমেয়াদের জন্য, বছরে বছরে নবায়ন করতে হতো। এতে প্রতি বছর ব্যবসায়ীদের হয়রানির মধ্যে পড়তে হতো। এএমসিসিআইর পক্ষে আমরা পলিসি মেকার ও সরকার প্রধানকে জানিয়েছিলাম। ফলশ্রুতিতে আজ ট্রেড লাইসেন্সের মেয়াদ পাঁচ বছর করা হলো। সেজন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে আমরা ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই।