নিজস্ব প্রতিবেদক :
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার সিংগা নদীর ওপওে যোগাযোগ ও কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ সহজ করতে ২০১৮ সালের ডিসেম্বওে গার্ডার ব্রিজ ও সড়ক নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর। এক বছরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি ও সংশ্লিষ্ট দফতরের উদাসীনতায় পাঁচ বছরেও কাজ শেষ না হওয়ায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়ছেন শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা।
সরেজমিন দেখা যায়, নৌকা বেয়ে সিংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আনানেয়া করেন শিক্ষকরা। ঝড়-বৃষ্টি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে নৌকা বন্ধ থাকলে বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসা। বছরের পর বছর ধরে নির্মাণকাজ চলছে গার্ডার ব্রিজের। নদীর কিছু অংশে পাইলিং ও দক্ষিণ পাশের কিছু অংশে ঢালাইয়ের কাজ করা হয়েছে। কাজ শেষ না হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় নদী পার হতে হয় শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে নেয়া প্রকল্পে ৬০ মিটার লম্বা ব্রিজ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৪ কোটি ৮ লাখ টাকা। বাস্তবায়নের মেয়াদ ছিল ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর। প্রকল্পটির নির্মাণকাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আকন ট্রেডিং এবং মাহফুজ খান জেভি। কাজ বাবদ এখন পর্যন্ত পরিশোধ করা হয়েছে ৮২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। কিন্তু পাঁচ বছরে কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৪৫ ভাগ। ফলে স্থানীয় পর্যায়ে যোগাযোগ ও সহজে কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণের উদ্যোগ ভেস্তে যেতে বসেছে। একই কারণে ন্যায্যমূল্যে থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন চাষিরা। এসব কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত কাজ শেষের দাবি স্থানীয়দের।
সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে দায়ী করে উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ বলেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘসূত্রতার কারণে এই প্রকল্প ভেস্তে যাচ্ছে। পাঁচ বছর ধরে কষ্ট করছেন সাধারণ মানুষ। ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন চাষিরা।
যোগাযোগব্যবস্থা না থাকায় বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন কমছে বলে জানিয়ে সিংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমীরণ কান্তি মন্ডল বলেন, নিরাপত্তার কারণে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের এ স্কুলে দিতে চান। এতে কমে যাচ্ছে স্কুলের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা।
খুলনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম আনিছুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কার্যাদেশ বাতিলের চিঠি দেয়া হলে ঠিকাদার ফের কাজ শুরু করেছে।