Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাঁচ দিনে বঙ্গবন্ধু সেতুতে এক লাখ ৮০ হাজার যানবাহন পার

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে গত পাঁচ দিনে এক লাখ ৮০ হাজার ৫১৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১৩ কোটি ৩৮ লাখ ২৯ হাজার ২৫০ টাকা। বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল প্লাজা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, গত সোমবার ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার পর থেকেই বঙ্গবন্ধু সেতুতে গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। সোমবার রাত ১২টা থেকে পরদিন মঙ্গলবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গাড়ি সেতু পারাপার হয়। এই ২৪ ঘণ্টায় ৫৫ হাজার ৪৮৮টি গাড়ি সেতু পারাপার হয়। এ থেকে টোল আদায় হয় তিন কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার ২০০ টাকা, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এ সময় সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে ৩৬ হাজার ৪৯১টি গাড়ি উত্তরবঙ্গের দিকে যায়। আর পশ্চিম প্রান্ত থেকে পার হয় ১৮ হাজার ৯৯৭টি গাড়ি।

বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পর মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ যানবাহন পারাপার ও টোল আদায়। সেতুর পূর্ব প্রান্তে ৯টি লেন এবং পশ্চিম প্রান্তের সাতটি লেন থেকে টোল আদায় করা হয়। এর আগে ২০২১ সালের ১৩ মে ২৪ ঘণ্টায় ৫২ হাজার ৭৫৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। আর এতে টোল আদায় হয়েছে দুই কোটি ৯৯ লাখ ১৮ হাজার ২৪০ টাকা।

এর আগে শনিবার রাত ১২টা থেকে রোববার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ২৯ হাজার ৮৫৭ টি গাড়ি সেতু পারাপার হয়। টোল আদায় হয় দুই কোটি ৬৫ লাখ ৮৯ হাজার ৩০০ টাকা। পরদিন রোববার রাত ১২টা থেকে সোমবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ৪২ হাজার ৫৬০টি গাড়ি সেতু পারাপার হয়। টোল আদায় হয় তিন কোটি ২৫ লাখ ৫১ হাজার ৪৫০ টাকা।

পরে মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে বুধবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ৩৮ হাজার ৪১৮টি গাড়ি সেতু পারাপার হয়। টোল আদায় হয় দুই কোটি ৮৫ লাখ ২২ হাজার ৫৫০ টাকা। বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ১৪ হাজার ১৯১টি গাড়ি সেতু পারাপার হয়। টোল আদায় হয় এক কোটি তিন লাখ ২৫ হাজার ৭৫০ টাকা।

উল্লেখ্য, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক দিয়ে উত্তর বঙ্গের ২৩টি জেলার যানবাহন চলাচল করে। স্বাভাবিকভাবে গড়ে ১৮-২০ হাজার যানবাহন সেতু দিয়ে যমুনা নদী পার হয়। ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবের ছুটিতে পরিবহনের সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

পাঁচ দিনে বঙ্গবন্ধু সেতুতে এক লাখ ৮০ হাজার যানবাহন পার

প্রকাশের সময় : ১০:৫০:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে গত পাঁচ দিনে এক লাখ ৮০ হাজার ৫১৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১৩ কোটি ৩৮ লাখ ২৯ হাজার ২৫০ টাকা। বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল প্লাজা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, গত সোমবার ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার পর থেকেই বঙ্গবন্ধু সেতুতে গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। সোমবার রাত ১২টা থেকে পরদিন মঙ্গলবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গাড়ি সেতু পারাপার হয়। এই ২৪ ঘণ্টায় ৫৫ হাজার ৪৮৮টি গাড়ি সেতু পারাপার হয়। এ থেকে টোল আদায় হয় তিন কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার ২০০ টাকা, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এ সময় সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে ৩৬ হাজার ৪৯১টি গাড়ি উত্তরবঙ্গের দিকে যায়। আর পশ্চিম প্রান্ত থেকে পার হয় ১৮ হাজার ৯৯৭টি গাড়ি।

বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পর মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ যানবাহন পারাপার ও টোল আদায়। সেতুর পূর্ব প্রান্তে ৯টি লেন এবং পশ্চিম প্রান্তের সাতটি লেন থেকে টোল আদায় করা হয়। এর আগে ২০২১ সালের ১৩ মে ২৪ ঘণ্টায় ৫২ হাজার ৭৫৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। আর এতে টোল আদায় হয়েছে দুই কোটি ৯৯ লাখ ১৮ হাজার ২৪০ টাকা।

এর আগে শনিবার রাত ১২টা থেকে রোববার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ২৯ হাজার ৮৫৭ টি গাড়ি সেতু পারাপার হয়। টোল আদায় হয় দুই কোটি ৬৫ লাখ ৮৯ হাজার ৩০০ টাকা। পরদিন রোববার রাত ১২টা থেকে সোমবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ৪২ হাজার ৫৬০টি গাড়ি সেতু পারাপার হয়। টোল আদায় হয় তিন কোটি ২৫ লাখ ৫১ হাজার ৪৫০ টাকা।

পরে মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে বুধবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ৩৮ হাজার ৪১৮টি গাড়ি সেতু পারাপার হয়। টোল আদায় হয় দুই কোটি ৮৫ লাখ ২২ হাজার ৫৫০ টাকা। বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ১৪ হাজার ১৯১টি গাড়ি সেতু পারাপার হয়। টোল আদায় হয় এক কোটি তিন লাখ ২৫ হাজার ৭৫০ টাকা।

উল্লেখ্য, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক দিয়ে উত্তর বঙ্গের ২৩টি জেলার যানবাহন চলাচল করে। স্বাভাবিকভাবে গড়ে ১৮-২০ হাজার যানবাহন সেতু দিয়ে যমুনা নদী পার হয়। ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবের ছুটিতে পরিবহনের সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ।