ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি :
কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ভোর পৌনে ৪টার দিকে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনটির ‘ডি’ বগিতে এক নারী যাত্রীর চিৎকারে যাত্রীরা ঘুম থেকে জেগে ওঠেন এবং ট্রেনজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
সূত্রমতে, কিছু সময়ের জন্য ট্রেনটি অজ্ঞাত স্থানে থামার সঙ্গে সঙ্গে জানালা দিয়ে এক ছিনতাইকারী ছুরি দেখিয়ে ওই নারী যাত্রীর মোবাইল ফোন ও ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। ভয় ও মানসিক চাপে তিনি কিছু সময়ের জন্য অচেতন হয়ে পড়েন। পাশে থাকা স্বামীর সহায়তায় তিনি সুস্থ হন। আতঙ্কে তিনি সন্তান ও স্বামীকে শক্ত করে আঁকড়ে ধরে রাখেন।
একই সময়ে ট্রেনের আরেকটি বগিতে দায়িত্বে থাকা নারী স্টুয়ার্ডের মোবাইল ফোনও ছিনতাইকারীরা নিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, ট্রেনের ভেতরে অন্তত ছয়জন ছিনতাইকারী অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করেছিল।
ট্রেনের স্টাফ ম্যানেজার মো. শামীম জানান, রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ভোরে টঙ্গীতে অন্য ট্রেনের ক্রসিংয়ের জন্য ট্রেনটি থামানো হয়। এসময় অটো লক দরজা বাইরে থেকে কৌশলে খুলে ছিনতাইকারীরা ট্রেনে ঢুকে পড়ে এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে পালিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটক এক্সপ্রেস ও কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেন চালু হয়। নিয়ম অনুযায়ী, এসব ট্রেন চট্টগ্রাম বিমানবন্দর স্টেশন ছাড়া অন্য কোথাও থামার কথা নয়। তবে সম্প্রতি চলন্ত অবস্থায় বিভিন্ন স্থানে ট্রেন থামানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব সময়েই যাত্রীদের মোবাইল ফোন ও ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে।
যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, ট্রেনে নিয়মিত ঘোষণা দেওয়া হয় না, পর্যাপ্ত সেবা পাওয়া যায় না। জানালা ও সিলিং লাইটের সুইচ অনেক সময় অকেজো থাকে। স্টেশনে ট্রেন থামলে বহিরাগতরা অবাধে ট্রেনে প্রবেশ করছে, যা ছিনতাইয়ের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
যাত্রী আনোয়ার হোসেন বাপ্পী বলেন, ‘শুরুর দিকে ট্রেনটি আধুনিক সেবার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন ধীরে ধীরে তা অন্য সাধারণ ট্রেনের মতো হয়ে যাচ্ছে। নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা দুটোই কমে গেছে।’
ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি 























