Dhaka শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পর্বতসম হস্তিকে সরানো তরুণরা নতুন বাংলাদেশ গড়বে : জামায়াত আমির

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াত সবসময় তারুণ্যের বিকাশের পক্ষে আছে। আমরা আশা করছি বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পর্বত সমান হস্তিকে যে তরুণেরা সরিয়ে দিয়েছে সেই তরুণেরা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর বাংলাদেশ চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের নির্বাচিত প্রতিনিধি সংবর্ধনা (ঢাকসু, জাকসু, চাকসু ও রাকসু) ‘দুর্বার নেতৃত্বে গড়ি স্বপ্নের ক্যাম্পাস’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব বলেন।

জামায়াতের আমির বলেন, তরুণরা কেমন বাংলাদেশ চায় তার রিহার্সাল হচ্ছে ছাত্রসংসদ নির্বাচনগুলোতে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণামুখী করতে প্রতিটি ছাত্রসংসদকে সোচ্চার থাকতে হবে। ভবিষ্যতের বৃহৎ নেতৃত্বের জন্য এখনকার তরুণদের প্রস্তুতি নিতে হবে।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোর নতুন নেতৃত্ব এমনভাবে গড়ে উঠবে, পরিচালিত হবে যাতে সমাজের স্লোগান ‘নতুন নেতৃত্ব, নতুন বাংলাদেশ’, সেটা আপনাদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হবে। আপনাদের নেতৃত্বের মাধ্যমে পাওয়া যাবে নতুন মানচিত্র।

জামায়াত আমির বলেন, অতীতের কলুষিত ছাত্ররাজনীতিতে আমরা শুনতাম, দেখতাম, ছাত্রসংসদে যারা নির্বাচিত হতো, তারা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে জড়াতো, অসৎ উপায়ে রুজি করতো। তাই বর্তমান ছাত্রসংসদগুলোতে সততার পরীক্ষায় শতভাগ উন্নীত দেখতে চাই। এখানে এক ভাগ ফেলও এই জাতি দেখতে চায় না।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ছাত্রসংসদ নির্বাচনে সব দলের যারা অংশগ্রহণ করেছেন প্রত্যেককে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি। যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের কাছে জাতির অনেক প্রত্যাশা। আপনাদের দায়িত্ব শুধু ক্যাম্পাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। জাতির স্বপ্নসারথি হিসেবে এই স্বপ্নকে ধারণ করতে হবে, বাস্তবায়ন করতে হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবীদের প্রতি জাতির পাওনা আছে। আশা করি আপনারা সেই প্রতিদান দেবেন।

জামায়াত আমির প্রত্যাশা রেখে বলেন, আমি বিশ্বাস করি, এই ভারী, পর্বতসমান দায়িত্ব আপনারা অতিক্রম করতে পারবেন।

তিনি বলেন, তরুণরা আগামীর বাংলাদেশ কীভাবে গড়বে, তার রিহার্সেল হচ্ছে ছাত্রসংসদের মাধ্যমে। সেই তারুণ্যনির্ভর বাংলাদেশ দেখতে চাই।

জামায়াত আমির ছাত্রসংসদ নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, প্র্যত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয়কে সেন্টার অব একাডেমিক এক্সিলেন্স হিসেবে গড়ে তোলার জন্যে প্রথম প্রায়োরিটি হবে ছাত্রসংসদ। বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা নাই হয়ে যাচ্ছে। ছাত্রসংসদকে এটা নিয়ে কাজ করতে হবে। শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। যুবকদের নিয়ে জাতির যে আশা তৈরি হয়েছে, কারও কারও ভুলের মাধ্যমে সেখানে কিছু ভাটা পড়েছে। আমি চাই, এই ছাত্রসংসদ যেন সেটা পূরণ করেন।

ছাত্রসংসদ নেতাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, একজন নাগরিক হিসেবে ভবিষ্যতের বৃহৎ নেতৃত্বের জন্য নিজেকে তৈরি করতে হবে। তোমাদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দিতে চাই। দেশের ককপিটে তোমাদের বসাতে চাই। তোমরা ককপিটে বসে দেশ পরিচালনা করবা। পেছন থেকে আমরা তোমাদের জন্য দোয়া করবো, শক্তি জোগাবো। ভুল করলে কানে কানে তোমাদের বলে সংশোধন করাবো। কথা না শুনলে হাতে ধরে বকা দেবো। যদি তাও না শুনো তাহলে সম্মানের সঙ্গে আসন থেকে জাতিকে সঙ্গে নিয়ে তোমাদের সরিয়ে দেবো। রাগ করো না। তোমাদের সেইভাবেই প্রস্তুত হতে হবে।

আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি, তোমরা পারবা, পেরেছো। একটা হস্তিকে তোমরা এই সমাজ থেকে তাড়াতে পেরেছো। তোমাদের নেতৃত্বে সেটা সফল হয়েছে। তোমাদের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে, যোগ করেন জামায়াত আমির।

আবহাওয়া

২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যু তালিকা প্রকাশ

পর্বতসম হস্তিকে সরানো তরুণরা নতুন বাংলাদেশ গড়বে : জামায়াত আমির

প্রকাশের সময় : ০৪:৪৯:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াত সবসময় তারুণ্যের বিকাশের পক্ষে আছে। আমরা আশা করছি বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পর্বত সমান হস্তিকে যে তরুণেরা সরিয়ে দিয়েছে সেই তরুণেরা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর বাংলাদেশ চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের নির্বাচিত প্রতিনিধি সংবর্ধনা (ঢাকসু, জাকসু, চাকসু ও রাকসু) ‘দুর্বার নেতৃত্বে গড়ি স্বপ্নের ক্যাম্পাস’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব বলেন।

জামায়াতের আমির বলেন, তরুণরা কেমন বাংলাদেশ চায় তার রিহার্সাল হচ্ছে ছাত্রসংসদ নির্বাচনগুলোতে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণামুখী করতে প্রতিটি ছাত্রসংসদকে সোচ্চার থাকতে হবে। ভবিষ্যতের বৃহৎ নেতৃত্বের জন্য এখনকার তরুণদের প্রস্তুতি নিতে হবে।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোর নতুন নেতৃত্ব এমনভাবে গড়ে উঠবে, পরিচালিত হবে যাতে সমাজের স্লোগান ‘নতুন নেতৃত্ব, নতুন বাংলাদেশ’, সেটা আপনাদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হবে। আপনাদের নেতৃত্বের মাধ্যমে পাওয়া যাবে নতুন মানচিত্র।

জামায়াত আমির বলেন, অতীতের কলুষিত ছাত্ররাজনীতিতে আমরা শুনতাম, দেখতাম, ছাত্রসংসদে যারা নির্বাচিত হতো, তারা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে জড়াতো, অসৎ উপায়ে রুজি করতো। তাই বর্তমান ছাত্রসংসদগুলোতে সততার পরীক্ষায় শতভাগ উন্নীত দেখতে চাই। এখানে এক ভাগ ফেলও এই জাতি দেখতে চায় না।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ছাত্রসংসদ নির্বাচনে সব দলের যারা অংশগ্রহণ করেছেন প্রত্যেককে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি। যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের কাছে জাতির অনেক প্রত্যাশা। আপনাদের দায়িত্ব শুধু ক্যাম্পাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। জাতির স্বপ্নসারথি হিসেবে এই স্বপ্নকে ধারণ করতে হবে, বাস্তবায়ন করতে হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবীদের প্রতি জাতির পাওনা আছে। আশা করি আপনারা সেই প্রতিদান দেবেন।

জামায়াত আমির প্রত্যাশা রেখে বলেন, আমি বিশ্বাস করি, এই ভারী, পর্বতসমান দায়িত্ব আপনারা অতিক্রম করতে পারবেন।

তিনি বলেন, তরুণরা আগামীর বাংলাদেশ কীভাবে গড়বে, তার রিহার্সেল হচ্ছে ছাত্রসংসদের মাধ্যমে। সেই তারুণ্যনির্ভর বাংলাদেশ দেখতে চাই।

জামায়াত আমির ছাত্রসংসদ নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, প্র্যত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয়কে সেন্টার অব একাডেমিক এক্সিলেন্স হিসেবে গড়ে তোলার জন্যে প্রথম প্রায়োরিটি হবে ছাত্রসংসদ। বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা নাই হয়ে যাচ্ছে। ছাত্রসংসদকে এটা নিয়ে কাজ করতে হবে। শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। যুবকদের নিয়ে জাতির যে আশা তৈরি হয়েছে, কারও কারও ভুলের মাধ্যমে সেখানে কিছু ভাটা পড়েছে। আমি চাই, এই ছাত্রসংসদ যেন সেটা পূরণ করেন।

ছাত্রসংসদ নেতাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, একজন নাগরিক হিসেবে ভবিষ্যতের বৃহৎ নেতৃত্বের জন্য নিজেকে তৈরি করতে হবে। তোমাদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দিতে চাই। দেশের ককপিটে তোমাদের বসাতে চাই। তোমরা ককপিটে বসে দেশ পরিচালনা করবা। পেছন থেকে আমরা তোমাদের জন্য দোয়া করবো, শক্তি জোগাবো। ভুল করলে কানে কানে তোমাদের বলে সংশোধন করাবো। কথা না শুনলে হাতে ধরে বকা দেবো। যদি তাও না শুনো তাহলে সম্মানের সঙ্গে আসন থেকে জাতিকে সঙ্গে নিয়ে তোমাদের সরিয়ে দেবো। রাগ করো না। তোমাদের সেইভাবেই প্রস্তুত হতে হবে।

আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি, তোমরা পারবা, পেরেছো। একটা হস্তিকে তোমরা এই সমাজ থেকে তাড়াতে পেরেছো। তোমাদের নেতৃত্বে সেটা সফল হয়েছে। তোমাদের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে, যোগ করেন জামায়াত আমির।