৩৫তম স্প্যান বসানোর পর পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য হয়েছে ৫ হাজার ২৫০ মিটার। শনিবার মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ৮ ও ৯ নম্বর পিলারের ওপর স্প্যানটি বসানো হয়। করোনার মধ্যেও এগিয়ে চলেছে দেশের বৃহত্তম এ সেতুর নির্মাণকাজ।
শনিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর ২টা ৪০ মিনিটের সময় ৩৫তম স্প্যান বসানো শেষ হয়েছে বলে বার্তা২৪.কম-কে জানিয়েছেন পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের। ৩৪তম স্প্যান বসানোর ৬ দিনের ব্যবধানে বসলো ৩৫তম স্প্যান। একইসঙ্গে চলতি মাসেই পদ্মা সেতুতে বসলো ৪টি স্প্যান যা আগে কখনো বসেনি।
এদিকে, ৩৫তম স্প্যানটি বসানোর ফলে ৪১টি স্প্যানের মধ্যে এখন আর ৬টি স্প্যান বসাতে বাকি থাকলো। মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে বাকি ৬ স্প্যান পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে, শনিবার সকালে মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ভাসমান ক্রেনে ৩ হাজার ১৫০ টন ওজনের ৩৫তম স্প্যানটি আনা হয় মাওয়া প্রান্তের ৮ ও ৯ নম্বর পিলারের কাছে।
আরও পড়ুন : ৩৪তম স্প্যানে পদ্মা সেতুর ৫.১ কিলোমিটার দৃশ্যমান
জানা যায়, শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) ৩৫তম স্প্যান বসানোর শিডিউল নির্ধারিত থাকলেও নির্ধারিত পিলারের কাছে নাব্যতা সংকটের কারণে তা হয়ে ওঠেনি। তারপর ড্রেজিং করে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা হয় এবং স্প্যান বসানোর তারিখ পরিবর্তন করে, শনিবার বসানো হলো ৩৫তম স্প্যান।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের পুরো সেতুতে মোট পিলারের সংখ্যা ৪২টি। সবগুলো পিলারের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসানো হবে। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়েছিল পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ। বর্তামানে সেতুর কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৯০ ভাগেরও বেশি।
এদিকে, মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেক প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
উল্লেখ, চলতি মাসের ১১ অক্টোবর ৩২তম, ১৯ অক্টোবর ৩৩তম, ২৫ অক্টোবর ৩৪তম স্প্যান এবং আজ ৩১ অক্টোবর বসলো ৩৫তম স্প্যান। সব কিছু ঠিক থাকলে নভেম্বর মাসে বসবে আরও ৪টি স্প্যান। পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি সবগুলো স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা আছে বলে জানিয়েছে।