Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পদ্মা সেতুতে প্রথম ট্রেনচালক রবিউল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশের যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে যুক্ত হয়েছে নতুন পালক। বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুতে উঠতে ভাঙ্গা রেল জংশন থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ‘বিশেষ ট্রেন’ যাত্রা শুরু করেছে। পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেনের চালক লোক মাস্টার রবিউল ইসলাম।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুর ১টা ২১ মিনিটে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতুর উদ্দেশ্যে ট্রেন যাত্রা শুরু করেন তিনি।

রবিউল ইসলাম বলেন, আমি যখন প্রথম জানতে পারলাম যে পরীক্ষামূলক প্রথম ট্রেন চালাবো, তখন থেকেই উচ্ছ্বাস কাজ করছে। ইতিহাসের অংশ হতে পারে নিজেকে গর্বিত লাগছে। আমি খুবই আনন্দিত এবং গর্বিত পদ্মা সেতুতে ট্রেন চালানোর প্রথম চালক হয়ে।

পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে প্রথম ট্রেন চালানোর অনুভূতি জানিয়েছেন চালক বলেন, পদ্মা নদীর ওপর দিয়ে প্রথম ট্রেন চালাচ্ছি ভাবতেই খুব আনন্দ লাগছে।

রবিউল আলম বলেন, সোমবার (৪ এপ্রিল) রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে এই বিশেষ ট্রেনটি সৈয়দপুর থেকে ঈশ্বরদী পোড়াদাহ রাজবাড়ী ফরিদপুর হয়ে ভাঙা স্টেশনে আসে। পদ্মা নদীর ওপর দিয়ে প্রথম ট্রেন চালাচ্ছি ভাবতেই খুব আনন্দ লাগছে।

সেতুতে রেললাইন স্থাপনের কাজ শেষ হওয়ায় পুরো সেতুতে মঙ্গলবার পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি নেন প্রকৌশলীরা। দুপুরে ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশন থেকে পরীক্ষামূলক এ ট্রেন চলাচলের উদ্ধোধন করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।

পরে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া স্টেশন পর্যন্ত ৪১ দশমিক ৫ কিলোমমিটার অংশে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হবে। রেলমন্ত্রী পরীক্ষামূলক ট্রেনে পাড়ি দেবেন পদ্মা সেতু।

এসময় উপস্থিত ছিলেন— পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী, ফরিদপুর-৪ সাংসদ মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, নাহিম রাজ্জাক, সাগুপতা ইয়াসমিন এমিলি, আবদুস সোবহান গোলাপ, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার ও পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান।

বর্তমানে রেলপথে ঢাকার সঙ্গে খুলনার দূরত্ব ৪৬০ কিলোমিটার। পদ্মা সেতু দিয়ে নতুন রেলপথটি চালু হলে দূরত্ব কমবে ২১২ কিলোমিটার। তখন ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেলপথের দূরত্ব হবে ১৬৯ কিলোমিটার।

প্রসঙ্গত, দেশের দীর্ঘতম সেতু নির্মাণে প্রথমে যে পরিকল্পনা করা হয়, তাতে রেলওয়ে ট্রাক বসানোর বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিল না। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর রেল চালুর বিষয়টি যুক্ত করা হয়। সড়ক সেতুর নিচ দিয়ে ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করায় ঢাকার সঙ্গে যশোর রেললাইন নির্মাণে আলাদা প্রকল্প নেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে। এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে চীন। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। রেল সংযোগের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

পদ্মা সেতুতে প্রথম ট্রেনচালক রবিউল

প্রকাশের সময় : ০৩:৩২:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশের যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে যুক্ত হয়েছে নতুন পালক। বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুতে উঠতে ভাঙ্গা রেল জংশন থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ‘বিশেষ ট্রেন’ যাত্রা শুরু করেছে। পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেনের চালক লোক মাস্টার রবিউল ইসলাম।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুর ১টা ২১ মিনিটে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতুর উদ্দেশ্যে ট্রেন যাত্রা শুরু করেন তিনি।

রবিউল ইসলাম বলেন, আমি যখন প্রথম জানতে পারলাম যে পরীক্ষামূলক প্রথম ট্রেন চালাবো, তখন থেকেই উচ্ছ্বাস কাজ করছে। ইতিহাসের অংশ হতে পারে নিজেকে গর্বিত লাগছে। আমি খুবই আনন্দিত এবং গর্বিত পদ্মা সেতুতে ট্রেন চালানোর প্রথম চালক হয়ে।

পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে প্রথম ট্রেন চালানোর অনুভূতি জানিয়েছেন চালক বলেন, পদ্মা নদীর ওপর দিয়ে প্রথম ট্রেন চালাচ্ছি ভাবতেই খুব আনন্দ লাগছে।

রবিউল আলম বলেন, সোমবার (৪ এপ্রিল) রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে এই বিশেষ ট্রেনটি সৈয়দপুর থেকে ঈশ্বরদী পোড়াদাহ রাজবাড়ী ফরিদপুর হয়ে ভাঙা স্টেশনে আসে। পদ্মা নদীর ওপর দিয়ে প্রথম ট্রেন চালাচ্ছি ভাবতেই খুব আনন্দ লাগছে।

সেতুতে রেললাইন স্থাপনের কাজ শেষ হওয়ায় পুরো সেতুতে মঙ্গলবার পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি নেন প্রকৌশলীরা। দুপুরে ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশন থেকে পরীক্ষামূলক এ ট্রেন চলাচলের উদ্ধোধন করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।

পরে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া স্টেশন পর্যন্ত ৪১ দশমিক ৫ কিলোমমিটার অংশে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হবে। রেলমন্ত্রী পরীক্ষামূলক ট্রেনে পাড়ি দেবেন পদ্মা সেতু।

এসময় উপস্থিত ছিলেন— পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী, ফরিদপুর-৪ সাংসদ মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, নাহিম রাজ্জাক, সাগুপতা ইয়াসমিন এমিলি, আবদুস সোবহান গোলাপ, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার ও পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান।

বর্তমানে রেলপথে ঢাকার সঙ্গে খুলনার দূরত্ব ৪৬০ কিলোমিটার। পদ্মা সেতু দিয়ে নতুন রেলপথটি চালু হলে দূরত্ব কমবে ২১২ কিলোমিটার। তখন ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেলপথের দূরত্ব হবে ১৬৯ কিলোমিটার।

প্রসঙ্গত, দেশের দীর্ঘতম সেতু নির্মাণে প্রথমে যে পরিকল্পনা করা হয়, তাতে রেলওয়ে ট্রাক বসানোর বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিল না। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর রেল চালুর বিষয়টি যুক্ত করা হয়। সড়ক সেতুর নিচ দিয়ে ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করায় ঢাকার সঙ্গে যশোর রেললাইন নির্মাণে আলাদা প্রকল্প নেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে। এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে চীন। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। রেল সংযোগের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা।