Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশের যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে যুক্ত হয়েছে নতুন পালক। বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুতে উঠতে ভাঙ্গা রেল জংশন থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ‘বিশেষ ট্রেন’ যাত্রা শুরু করেছে। এর মধ্য দিয়ে পূরণ হলো দুই পারের মানুষের আরেকটি স্বপ্ন।

পদ্মা সেতুর সড়কপথ চালুর ১০ মাসের মাথায় মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) পদ্মা সেতু দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। এদিন ৪১ কিলোমিটার রেলপথে পরীক্ষামূলকভাবে চলাচল করবে ৭ বগির বিশেষ ট্রেনটি।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বেলা ১ টা ২১ মিনিটে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম পদ্মাসেতুতে বিশেষ ট্রেনের এ যাত্রা শুরু হয়। বিশেষ এ ট্রেনের চালক হয়ে ইতিহাসের অংশ হয়েছেন লোকো মাস্টার রবিউল ইসলাম।

উদ্বোধনের পর বিশেষ বগিতে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের সঙ্গে যাত্রা করেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নুরে আলম লিটন চৌধুরী, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, মাদারীপুর-৩ আসনের সাংসদ আব্দুস সোবহান গোলাপ, শরীয়তপুর-১ আসনের সাংসদ ইকবাল হোসেন অপু, শরীয়তপুর-৩ আসনের সাংসদ নাহিম রাজ্জাক, ফরিদপুর-৪ আসনের সাংসদ মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী, পদ্মা সেতু রেল প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়ক মেজর জেনারেল একেএকম রেজাউল মজিদ, ডেপুটি সমন্বয়ক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আবুল কালাম আজাদ, প্রকল্প ব্যবস্থাপক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাইদ আহমেদসহ ফরিদুপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার প্রমুখ।

dhakapost

ট্রেনটির চালক রবিউল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতুতে ট্রেন চলবে। সেই ট্রেনের চালক আমি। এমন একটি স্মরণীয় ঘটনার ট্রেনের প্রথম চালক হতে পেরে আমি আনন্দিত। নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে।

বর্তমানে রেলপথে ঢাকার সঙ্গে খুলনার দূরত্ব ৪৬০ কিলোমিটার। পদ্মা সেতু দিয়ে নতুন রেলপথটি চালু হলে দূরত্ব কমবে ২১২ কিলোমিটার। তখন ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেলপথের দূরত্ব হবে ১৬৯ কিলোমিটার। পাশপাশি কুষ্টিয়া, দর্শনার সঙ্গেও কমবে দূরত্ব ও ভোগান্তি।

অন্যদিকে ফরিদপুর, রাজবাড়ী রুটের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে নতুন পথে নতুন রেলযাত্রী তৈরি হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও নড়াইল জেলা দিয়ে যশোরের সঙ্গে রেল নেটওয়ার্ক যুক্ত হবে।

প্রকৌশলীরা জানান, বুধবার (২৯ মার্চ) রেলপথের সর্বশেষ ৭ মিটার অংশের ঢালাই দেওয়ার মাধ্যমে কাজ সমাপ্ত হয়। শুক্রবার (৩১ মার্চ) বিকেলে প্রকৌশলীদের পরীক্ষায় পুরো সেতুতে ট্রেন চলার জন্য উপযোগী হয়ে উঠেছে বলে নিশ্চিত করা হয়। বিশ্বমানের করে প্রস্তুত করা হয়েছে পদ্মা সেতুর রেলপথ। শত বছরেরও বেশি সময় টেকসই থাকবে রেলপথটি।

পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, পুরো ৪২ কিলোমিটার পথে গ্যাংকার চালানোর পরিকল্পনা আছে। পুরো প্রকল্পের অগ্রগতি ৭৫ শতাংশের বেশি। আর পুরো প্রকল্পকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। ঢাকা থেকে মাওয়া অংশের অগ্রগতির ৭৪ ভাগ, মাওয়া থেকে ভাঙ্গা অংশের অগ্রগতি ৯২ ভাগ এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত অগ্রগতি ৬৮ ভাগ।

তবে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটারের অংশে আগামী সেপ্টেম্বর যাত্রীবাহী রেল চলাচলের আশা করছেন প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন।

এরই মধ্যে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার এই রেলপথে লেভেল ক্রসিং বিহীন ৩২টি রেল কালভার্ট, ৩৭টি আন্ডারপাস এবং ১৩টি রেল সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তের রেল স্টেশনসহ নতুন ১৪টি স্টেশন নির্মাণ এবং পুরনো ছয়টি স্টেশনের কাজ।

প্রসঙ্গত, দেশের দীর্ঘতম সেতু নির্মাণের প্রথমে যে পরিকল্পনা করা হয়, তাতে রেলওয়ে ট্রাক বসানোর বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিল না। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর রেল চালুর বিষয়টি যুক্ত করা হয়।

সড়ক সেতুর নিচ দিয়ে ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করায় ঢাকার সঙ্গে যশোর রেললাইন নির্মাণে আলাদা প্রকল্প নেয় রেলওয়ে।

এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে চীন। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। রেল সংযোগের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা।
আগামী সেপ্টেম্বরে ঢাকার কমলাপুর থেকে মাওয়া, পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন চালাতে চায় রেলওয়ে। রেলমন্ত্রী যদিও একাধিকবার ঘোষণা দিয়েছিলেন-জুনেই যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে। তবে প্রকল্প সূত্রের ভাষ্য, আগামী ডিসেম্বরে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা রুটে চলবে ট্রেন।

সরকারের অগ্রাধিকারের পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় চীনের ঋণে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকায় কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা, ঢাকার কেরানীগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুরের ভাঙ্গা, নড়াইল, মাগুরা হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার মূল লাইনসহ ২১৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে।

ঢাকা থেকে মাওয়া, মাওয়া থেকে ভাঙ্গা এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর-এই তিন ভাগে প্রকল্পের কাজ চলছে। ৩১ মার্চ পর্যন্ত সার্বিক অগ্রগতি ৭৩ শতাংশ। ঢাকা-মাওয়া অংশের কাজের অগ্রগতি প্রায় ৭২ শতাংশ এবং মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের অগ্রগতি প্রায় ৯৩ শতাংশ। ভাঙ্গা-যশোর সেকশনে কাজ এগিয়েছে প্রায় ৬৫ শতাংশ। প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন, ঢাকা-মাওয়া অংশের কাজ পরিকল্পনার চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে। আরও পাঁচ-ছয় মাস লাগতে পারে। এ বছরেই ৮২ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা রুটে ট্রেন চলবে। আগামী বছরের জুনে যশোর পর্যন্ত যাবে রেল।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল উদ্বোধন

প্রকাশের সময় : ০২:০৩:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশের যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে যুক্ত হয়েছে নতুন পালক। বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুতে উঠতে ভাঙ্গা রেল জংশন থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ‘বিশেষ ট্রেন’ যাত্রা শুরু করেছে। এর মধ্য দিয়ে পূরণ হলো দুই পারের মানুষের আরেকটি স্বপ্ন।

পদ্মা সেতুর সড়কপথ চালুর ১০ মাসের মাথায় মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) পদ্মা সেতু দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। এদিন ৪১ কিলোমিটার রেলপথে পরীক্ষামূলকভাবে চলাচল করবে ৭ বগির বিশেষ ট্রেনটি।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বেলা ১ টা ২১ মিনিটে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম পদ্মাসেতুতে বিশেষ ট্রেনের এ যাত্রা শুরু হয়। বিশেষ এ ট্রেনের চালক হয়ে ইতিহাসের অংশ হয়েছেন লোকো মাস্টার রবিউল ইসলাম।

উদ্বোধনের পর বিশেষ বগিতে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের সঙ্গে যাত্রা করেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নুরে আলম লিটন চৌধুরী, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, মাদারীপুর-৩ আসনের সাংসদ আব্দুস সোবহান গোলাপ, শরীয়তপুর-১ আসনের সাংসদ ইকবাল হোসেন অপু, শরীয়তপুর-৩ আসনের সাংসদ নাহিম রাজ্জাক, ফরিদপুর-৪ আসনের সাংসদ মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী, পদ্মা সেতু রেল প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়ক মেজর জেনারেল একেএকম রেজাউল মজিদ, ডেপুটি সমন্বয়ক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আবুল কালাম আজাদ, প্রকল্প ব্যবস্থাপক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাইদ আহমেদসহ ফরিদুপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার প্রমুখ।

dhakapost

ট্রেনটির চালক রবিউল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতুতে ট্রেন চলবে। সেই ট্রেনের চালক আমি। এমন একটি স্মরণীয় ঘটনার ট্রেনের প্রথম চালক হতে পেরে আমি আনন্দিত। নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে।

বর্তমানে রেলপথে ঢাকার সঙ্গে খুলনার দূরত্ব ৪৬০ কিলোমিটার। পদ্মা সেতু দিয়ে নতুন রেলপথটি চালু হলে দূরত্ব কমবে ২১২ কিলোমিটার। তখন ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেলপথের দূরত্ব হবে ১৬৯ কিলোমিটার। পাশপাশি কুষ্টিয়া, দর্শনার সঙ্গেও কমবে দূরত্ব ও ভোগান্তি।

অন্যদিকে ফরিদপুর, রাজবাড়ী রুটের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে নতুন পথে নতুন রেলযাত্রী তৈরি হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও নড়াইল জেলা দিয়ে যশোরের সঙ্গে রেল নেটওয়ার্ক যুক্ত হবে।

প্রকৌশলীরা জানান, বুধবার (২৯ মার্চ) রেলপথের সর্বশেষ ৭ মিটার অংশের ঢালাই দেওয়ার মাধ্যমে কাজ সমাপ্ত হয়। শুক্রবার (৩১ মার্চ) বিকেলে প্রকৌশলীদের পরীক্ষায় পুরো সেতুতে ট্রেন চলার জন্য উপযোগী হয়ে উঠেছে বলে নিশ্চিত করা হয়। বিশ্বমানের করে প্রস্তুত করা হয়েছে পদ্মা সেতুর রেলপথ। শত বছরেরও বেশি সময় টেকসই থাকবে রেলপথটি।

পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, পুরো ৪২ কিলোমিটার পথে গ্যাংকার চালানোর পরিকল্পনা আছে। পুরো প্রকল্পের অগ্রগতি ৭৫ শতাংশের বেশি। আর পুরো প্রকল্পকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। ঢাকা থেকে মাওয়া অংশের অগ্রগতির ৭৪ ভাগ, মাওয়া থেকে ভাঙ্গা অংশের অগ্রগতি ৯২ ভাগ এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত অগ্রগতি ৬৮ ভাগ।

তবে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটারের অংশে আগামী সেপ্টেম্বর যাত্রীবাহী রেল চলাচলের আশা করছেন প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন।

এরই মধ্যে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার এই রেলপথে লেভেল ক্রসিং বিহীন ৩২টি রেল কালভার্ট, ৩৭টি আন্ডারপাস এবং ১৩টি রেল সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তের রেল স্টেশনসহ নতুন ১৪টি স্টেশন নির্মাণ এবং পুরনো ছয়টি স্টেশনের কাজ।

প্রসঙ্গত, দেশের দীর্ঘতম সেতু নির্মাণের প্রথমে যে পরিকল্পনা করা হয়, তাতে রেলওয়ে ট্রাক বসানোর বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিল না। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর রেল চালুর বিষয়টি যুক্ত করা হয়।

সড়ক সেতুর নিচ দিয়ে ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করায় ঢাকার সঙ্গে যশোর রেললাইন নির্মাণে আলাদা প্রকল্প নেয় রেলওয়ে।

এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে চীন। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। রেল সংযোগের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা।
আগামী সেপ্টেম্বরে ঢাকার কমলাপুর থেকে মাওয়া, পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন চালাতে চায় রেলওয়ে। রেলমন্ত্রী যদিও একাধিকবার ঘোষণা দিয়েছিলেন-জুনেই যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে। তবে প্রকল্প সূত্রের ভাষ্য, আগামী ডিসেম্বরে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা রুটে চলবে ট্রেন।

সরকারের অগ্রাধিকারের পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় চীনের ঋণে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকায় কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা, ঢাকার কেরানীগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুরের ভাঙ্গা, নড়াইল, মাগুরা হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার মূল লাইনসহ ২১৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে।

ঢাকা থেকে মাওয়া, মাওয়া থেকে ভাঙ্গা এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর-এই তিন ভাগে প্রকল্পের কাজ চলছে। ৩১ মার্চ পর্যন্ত সার্বিক অগ্রগতি ৭৩ শতাংশ। ঢাকা-মাওয়া অংশের কাজের অগ্রগতি প্রায় ৭২ শতাংশ এবং মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের অগ্রগতি প্রায় ৯৩ শতাংশ। ভাঙ্গা-যশোর সেকশনে কাজ এগিয়েছে প্রায় ৬৫ শতাংশ। প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন, ঢাকা-মাওয়া অংশের কাজ পরিকল্পনার চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে। আরও পাঁচ-ছয় মাস লাগতে পারে। এ বছরেই ৮২ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা রুটে ট্রেন চলবে। আগামী বছরের জুনে যশোর পর্যন্ত যাবে রেল।