Dhaka শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে ৪ এপ্রিল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচলের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেছে রেল মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুরে এ তথ্য জানান রেল মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল আলম।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। তাই আগামী ৪ এপ্রিল পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচলের জন্য সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন দুপুরে বলেন, পদ্মা সেতুর উপর মাত্র ৭ মিটার কাজ বাকি আছে। এখানে শুধু স্লিপার বসানোর কাজ বাকি। এটা হয়ে গেলেই আমার পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালু করতে পারব।

সরেজমিন দেখা যায়, পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্ত থেকে ট্রাককারে মূল সেতুর রেলের ট্র্যাক প্যানেল (লোহার পাত) আর মালামাল নেওয়া হচ্ছে। বিশাল আকৃতির ট্র্যাক প্যানেলবোঝাই ট্রাককারটি ভায়াডাক্ট পেরিয়ে মূল সেতুতে চলছে পাথরবিহীন রেললাইনের ওপর দিয়ে। সেখানে ভায়াডাক্ট ও মূল সেতুর রেল কাজের প্রকৌশলীরাও আছেন। সেতুর রেললাইন নির্মাণে চলছে শত শত শ্রমিকের কর্মযজ্ঞ।

ক্রেনের সাহায্যে রেলের ট্র্যাক প্যানেল বসানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয় নির্ধারিত স্থানে। এরপর ধীরে ধীরে বসিয়ে দেওয়া হয় সেতুর ওপর। যন্ত্রের সাহায্যে তা নিখুঁতভাবে পর্যবেক্ষণ করেন প্রকৌশলীরা। এরপর প্যানেলের ওপর ঢালাইয়ের আগের আনুষঙ্গিক কাজ সেরে নেয় শ্রমিকরা। এভাবে একের পর এক ট্র্যাক প্যানেল ওয়ার্কশপ থেকে নিয়ে মূল সেতুতে তৈরি করা হচ্ছে পাথরবিহীন রেলের ট্র্যাক স্ল্যাব।

এদিকে গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে জানানো হয়, নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হচ্ছে পদ্মা রেল সেতুর নির্মাণ কাজ। ২০২৪ সালের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। তবে আগামী জুনেই এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ রেলওয়ে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকায় ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন দিয়ে যশোরের সঙ্গে রাজধানীর সংযোগ স্থাপনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, চীনের এক্সিম ব্যাংক ২১ হাজার ৩৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা ঋণ দেবে। চীন সরকার মনোনীত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড চায়না জিটুজি সিস্টেমের আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

উল্লেখ্য, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা।

এর আগে, ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করা হয়। পরদিন ২৬ জুন থেকে সেতুতে যান চলাচল শুরু হয়। সেতুটি চালু হওয়ায় রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার নিরবচ্ছিন্ন ও দ্রুত যোগাযোগ স্থাপন হয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মোহাম্মদপুরের সহকারী পুলিশ কমিশনারসহ ৩ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে ৪ এপ্রিল

প্রকাশের সময় : ০৪:২২:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচলের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেছে রেল মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুরে এ তথ্য জানান রেল মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল আলম।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। তাই আগামী ৪ এপ্রিল পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচলের জন্য সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন দুপুরে বলেন, পদ্মা সেতুর উপর মাত্র ৭ মিটার কাজ বাকি আছে। এখানে শুধু স্লিপার বসানোর কাজ বাকি। এটা হয়ে গেলেই আমার পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালু করতে পারব।

সরেজমিন দেখা যায়, পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্ত থেকে ট্রাককারে মূল সেতুর রেলের ট্র্যাক প্যানেল (লোহার পাত) আর মালামাল নেওয়া হচ্ছে। বিশাল আকৃতির ট্র্যাক প্যানেলবোঝাই ট্রাককারটি ভায়াডাক্ট পেরিয়ে মূল সেতুতে চলছে পাথরবিহীন রেললাইনের ওপর দিয়ে। সেখানে ভায়াডাক্ট ও মূল সেতুর রেল কাজের প্রকৌশলীরাও আছেন। সেতুর রেললাইন নির্মাণে চলছে শত শত শ্রমিকের কর্মযজ্ঞ।

ক্রেনের সাহায্যে রেলের ট্র্যাক প্যানেল বসানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয় নির্ধারিত স্থানে। এরপর ধীরে ধীরে বসিয়ে দেওয়া হয় সেতুর ওপর। যন্ত্রের সাহায্যে তা নিখুঁতভাবে পর্যবেক্ষণ করেন প্রকৌশলীরা। এরপর প্যানেলের ওপর ঢালাইয়ের আগের আনুষঙ্গিক কাজ সেরে নেয় শ্রমিকরা। এভাবে একের পর এক ট্র্যাক প্যানেল ওয়ার্কশপ থেকে নিয়ে মূল সেতুতে তৈরি করা হচ্ছে পাথরবিহীন রেলের ট্র্যাক স্ল্যাব।

এদিকে গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে জানানো হয়, নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হচ্ছে পদ্মা রেল সেতুর নির্মাণ কাজ। ২০২৪ সালের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। তবে আগামী জুনেই এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ রেলওয়ে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকায় ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন দিয়ে যশোরের সঙ্গে রাজধানীর সংযোগ স্থাপনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, চীনের এক্সিম ব্যাংক ২১ হাজার ৩৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা ঋণ দেবে। চীন সরকার মনোনীত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড চায়না জিটুজি সিস্টেমের আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

উল্লেখ্য, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা।

এর আগে, ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করা হয়। পরদিন ২৬ জুন থেকে সেতুতে যান চলাচল শুরু হয়। সেতুটি চালু হওয়ায় রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার নিরবচ্ছিন্ন ও দ্রুত যোগাযোগ স্থাপন হয়।