Dhaka শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালীতে হত্যা মামলায় ২৩ জনের যাবজ্জীবন

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি : 

পটুয়াখালীর বাউফলে নির্বাচনী সহিংসতার সময় এক ব্যক্তিকে হত্যা মামলায় ২৩ আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. এনামুল করিম এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- আবুল কাশেমের ছেলে মো. হাফিজুর রহমান (২৭), আব্দুর রহমান সরদারের ছেলে তোফায়েল সরদার (৩৯), জালাল সরদারের ছেলে মো. শামীম সরদার (৩৫), সেকান্দার সরদারের ছেলে এলমাছ সরদার (৩৪), গেদু সরদারের ছেলে মো. সোহরাব সরদার (৪৭), আব্দুর কাদের মল্লিকের ছেলে মো. নাঈম মল্লিক (৫৭), আব্দুর রাজ্জাক সরদার (৪২), জয়নাল সরদারের ছেলে মুসা সরদার (৩২), সামসু সরদার (৩৪), চারু সরদারের ছেলে মাওলা সরদার (৩৯) ও ইউসুফ সরদার (৩৭), সামসুল হকের ছেলে ফরিদ আহম্মেদ (৬১), আব্দুল খালেকের ছেলে জসিম সরদার (৪১), ছোবহান হাওলাদারের ছেলে বাবলু (৪৫), মো. কাদের তালুকদারের ছেলে মো. ডালিম তালুকদার (৩১), মৃত হাসেম আলী সিকদারের ছেলে মো. ফিরোজ সিকদার (৪৩), হারুন গাজীর ছেলে হাসান গাজী (৩২), মৃত গেদু সরদারের ছেলে সেকান্দার সরদার (৫৭), মাতাহার মাস্টারের ছেলে মো. জামাল (৩৫), চুন্নু মিয়ার ছেলে শামীম হাওলাদার (২৮), আব্দুল খালেক সরদারের ছেলে জহিরুল ইসলাম বাবুল (৫২), ছত্তার সরদারের ছেলে মন্টু সরদার (৩৫) এবং শিরু সরদারের ছেলে মো. দুলাল সরদার ওরফে ভয় (৪৫)। তাদের সবার বাড়ি বাউফল উপজেলার কালিশুরী ইউনিয়নে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২০ মার্চ কালিশুরী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দিন আওয়ামী লীগ-সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর এজেন্ট সাইদুর রহমান সোহেল মল্লিকের বাড়িতে হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন। এতে সোহেলের বাবা আব্দুল ওহাব মল্লিক গুরুতর আহত হন এবং পরদিন বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় সাইদুর বাদী হয়ে বাউফল থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৮ সালে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

রায় ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়ায় বাদী সোহেল বলেন, আমার বাবার হত্যার সাত বছর পর আজ আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। আদালত ও বিচার বিভাগকে ধন্যবাদ জানাই। এখন আমার বাবার আত্মা শান্তি পাবে।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি (এপিপি) ফরিদ হোসেন বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে, কোনো অপরাধী আইনের হাত থেকে রেহাই পায় না। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আমরা ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পেরেছি।

তবে আসামিদের পরিবারের সদস্যরা এ রায়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা দাবি করেন, রায়টি একপেশে ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত। এই মামলায় প্রকৃত অপরাধীরা রয়ে গেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

পটুয়াখালীতে হত্যা মামলায় ২৩ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশের সময় : ১০:০১:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি : 

পটুয়াখালীর বাউফলে নির্বাচনী সহিংসতার সময় এক ব্যক্তিকে হত্যা মামলায় ২৩ আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. এনামুল করিম এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- আবুল কাশেমের ছেলে মো. হাফিজুর রহমান (২৭), আব্দুর রহমান সরদারের ছেলে তোফায়েল সরদার (৩৯), জালাল সরদারের ছেলে মো. শামীম সরদার (৩৫), সেকান্দার সরদারের ছেলে এলমাছ সরদার (৩৪), গেদু সরদারের ছেলে মো. সোহরাব সরদার (৪৭), আব্দুর কাদের মল্লিকের ছেলে মো. নাঈম মল্লিক (৫৭), আব্দুর রাজ্জাক সরদার (৪২), জয়নাল সরদারের ছেলে মুসা সরদার (৩২), সামসু সরদার (৩৪), চারু সরদারের ছেলে মাওলা সরদার (৩৯) ও ইউসুফ সরদার (৩৭), সামসুল হকের ছেলে ফরিদ আহম্মেদ (৬১), আব্দুল খালেকের ছেলে জসিম সরদার (৪১), ছোবহান হাওলাদারের ছেলে বাবলু (৪৫), মো. কাদের তালুকদারের ছেলে মো. ডালিম তালুকদার (৩১), মৃত হাসেম আলী সিকদারের ছেলে মো. ফিরোজ সিকদার (৪৩), হারুন গাজীর ছেলে হাসান গাজী (৩২), মৃত গেদু সরদারের ছেলে সেকান্দার সরদার (৫৭), মাতাহার মাস্টারের ছেলে মো. জামাল (৩৫), চুন্নু মিয়ার ছেলে শামীম হাওলাদার (২৮), আব্দুল খালেক সরদারের ছেলে জহিরুল ইসলাম বাবুল (৫২), ছত্তার সরদারের ছেলে মন্টু সরদার (৩৫) এবং শিরু সরদারের ছেলে মো. দুলাল সরদার ওরফে ভয় (৪৫)। তাদের সবার বাড়ি বাউফল উপজেলার কালিশুরী ইউনিয়নে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২০ মার্চ কালিশুরী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দিন আওয়ামী লীগ-সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর এজেন্ট সাইদুর রহমান সোহেল মল্লিকের বাড়িতে হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন। এতে সোহেলের বাবা আব্দুল ওহাব মল্লিক গুরুতর আহত হন এবং পরদিন বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় সাইদুর বাদী হয়ে বাউফল থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৮ সালে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

রায় ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়ায় বাদী সোহেল বলেন, আমার বাবার হত্যার সাত বছর পর আজ আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। আদালত ও বিচার বিভাগকে ধন্যবাদ জানাই। এখন আমার বাবার আত্মা শান্তি পাবে।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি (এপিপি) ফরিদ হোসেন বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে, কোনো অপরাধী আইনের হাত থেকে রেহাই পায় না। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আমরা ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পেরেছি।

তবে আসামিদের পরিবারের সদস্যরা এ রায়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা দাবি করেন, রায়টি একপেশে ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত। এই মামলায় প্রকৃত অপরাধীরা রয়ে গেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।