পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি :
পটুয়াখালীর দশমিনায় ঝড়ের কবলে পড়ে বরযাত্রীর ট্রলার ডুবির ঘটনায় বরসহ নিখোঁজ ৪ জনের সন্ধান মেলেনি ১৫ ঘন্টায়ও।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ৯টায় দ্বিতীয় দিনের মতো পটুয়াখালী-বরিশালের ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। বেলা ১২টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযানে কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
অপর দিকে দুর্ঘটনার পরপরই শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) রাতে স্থানীয় জেলেরা লিপি বেগম (২৮) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে। এখনো নিখোজ রয়েছে বর রাব্বিসহ ৪ জন। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীর চর আপতি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ বর রাব্বি উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর গ্রামের মনির হাওলাদরের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর গ্রামের মনির হাওলাদরের ছেলে রাব্বির সাথে উত্তর চর-শাহজালাল গ্রামের হুমায়ুন কবিরের মেয়ে সুমাইয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সেখান থেকে বরযাত্রীর ট্রলার আউলিয়াপুরের উদ্দেশে রওনা দেয়। এ সময় তেঁতুলিয়া নদীর চর আপতি এলাকায় পৌঁছলে ঝড়ের কবলে পরে বরযাত্রীসহ ২০ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।
১৫ জন যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠলেও নিখোঁজ হন বর রাব্বী (২৫), তার মা সেলিনা বেগম (৪৫), ফুফু লিপি বেগম (৩২), ফুফাত বোন খাদিজা (৭) ও মারিয়া (৮)। পরে স্থানীয় জেলেরা লিপি বেগমের লাশ উদ্ধার করে।
দশমিনা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, এ ঘটনায় (বর) রাব্বি হাওলাদারের ফুপু লিপি বেগম (৩০) মারা গেছেন। বাকিদের উদ্ধারে কাজ চলছে।
উদ্ধার অভিযানের টিম লিডার ফায়ার ফাইটার রেজোয়ান জানান, দ্বিতীয় দিনের মতো সকাল ৮ টায় উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত নিখোঁজদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা জানান, দশনিায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোজ ৪ জনের কাউকেই উদ্ধার করা যায় নি। উদ্ধার অভিযান চলছে।