পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি :
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আয়োজিত এক কর্মসূচির সময় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
শনিবার (১১ অক্টোবর) তার বক্তব্য দেওয়ার সময় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় তৎক্ষণাৎ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি।
সারজিস আলম বলেন, এর আগেও পঞ্চগড়ে এনসিপির প্রোগ্রাম চলাকালে বিদ্যুৎ গেছে। নেসকোর যে মালিক তাকে এবং তার বাপকে জবাব দিতে হবে, প্রোগ্রাম চলাকালে, এটা হয় কেন? একদিন হইতো, দুই দিন হইতো কিচ্ছু বলতাম না। তিন দিনের তিন দিনই এটা হইছে। যারা এটা করছে, তারা হচ্ছে রাজনৈতিক ***। এই রাজনৈতিক দেউলিয়াদের আমরা দেখে নেবো, তাদের কলিজা কত বড় হইছে। কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে রাখবো।’
লংমার্চ শেষে সমাপ্তি বক্তব্যে পঞ্চগড় জেলা শহরের শেরেবাংলা পার্কসংলগ্ন জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে এসব কথা বলেন সারজিস আলম। শনিবার (১১ অক্টোবর) চাঁদাবাজিসহ সব অপকর্মের বিরুদ্ধে পঞ্চগড় শহর থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত লংমার্চ হয়। এতে নেতৃত্ব দেন সারজিস আলম।
তিনি বলেন, এরপর থেকে কোনও প্রতিষ্ঠান পঞ্চগড়ে যদি রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক আচরণ করে, ওই প্রতিষ্ঠান এই পঞ্চগড়ে থাকবে না, এটা আমার নিজের কমিটমেন্ট। আপনাদের মতো দেউলিয়ারা নিজের আখের গোছাতে শুরু করেন। এটা পঞ্চগড়, আপনার এই দেউলিয়াপনা দেখানোর মতো জায়গা নয়। খুনি হাসিনার মতো স্বৈরাচারকে গোনায় ধরি নাই, তোর মতো জেলার-বিভাগের নেসকোর দায়িত্বশীলদের গোনায় ধরার টাইম নাই।
সারজিস আলম বলেন, যখনই আপনি চাঁদাবাজ, দখলদার, সিন্ডিকেট, মাদক ব্যবসায়ী, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কথা বলবেন, তখনই কারও গায়ে জ্বালা ধরে যায়। তখনই এভাবে আপনাকে বিভিন্নভাবে বাধা দেওয়া হয়। কিন্তু আমরা স্পষ্ট করে বলি, পঞ্চগড়ের মাটিতে এই ধরনের ক্ষমতার অপব্যবহার করা, দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, সিন্ডিকেট পরিচালনাকারী, দখলদার, মাদক ব্যবসায়ীদের আমরা যত দিন বেঁচে আছি, তাদের আর শান্তির ঘুম হবে না। শুধু সময়ের অপেক্ষা। তাদের আমরা আপাদমস্তক দেখে নিব, তাদের কলিজা কত বড় হয়ে গেছে।
এর আগে, এনসিপি পঞ্চগড় জেলার আয়োজনে শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পঞ্চগড়ের ঐতিহাসিক চিনিকল মাঠ থেকে বাংলাবান্ধার উদ্দেশে লংমার্চ শুরু হয়। এতে বেশ কয়েকটি পিকআপ ও পাঁচ শতাধিক মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে নেতৃত্ব দেন সারজিস আলম।