Dhaka শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে সরকার লিগ্যাল এইডের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে: রেলমন্ত্রী

পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি : 

রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, দেশের প্রতিটি মানুষের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে সরকার লিগ্যাল এইডের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে। আর এজন্য বিচারিক প্রক্রিয়া সহজ করতে বিকল্প পদ্ধতিতে মামলা নিষ্পত্তি করার প্রতি জোর দিচ্ছে সরকার।

শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জর্জ আদালতের হলরুমে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

রেলমন্ত্রী বলেন, জাতীয় আইনগত সহায়তার উদ্দেশ্য হলো সরকারি আইনি সেবা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি দরিদ্র ও অসহায় জনগণের ন্যায়বিচারে সহজ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা। তাই সরকার লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে বিনামূল্যে দেশের জনগণের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের বিচার ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে বন্ধ করেছিল। একাধিক সামরিক ক্যুসহ জেলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। সংবিধান স্থগিত করেছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু হত্যাসহ অন্যান্য হত্যাকাণ্ডের বিচার করেছে। দেশের প্রতিটি মানুষ যাতে ন্যায় বিচার পাবার সাংবিধানিক অধিকার পায় সরকার সেটা নিশ্চিত করেছে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালে লিগ্যাল এইড কল সেন্টার ‘জাতীয় হেল্পলাইন’ চালু করেন। এ হেল্পলাইনের ১৬৪৩০ নম্বরে যেকোনো ব্যক্তি ফোন করে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদানকারী সংস্থার মাধ্যমে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা পাচ্ছেন। দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী, শ্রমিক, সহিংসতার শিকার নারী-শিশু এবং পাচারের শিকার মানুষের জন্য আইনি সেবা নিশ্চিত করতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার জাতীয় আইনগত সহায়তা আইন-২০০০ প্রণয়নের মধ্য দিয়ে সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা কার্যক্রম শুরু করে। পরে এ আইনের অধীনে বিভিন্ন বিধি প্রণীত হয়।

রেলমন্ত্রী বলেন, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসকে এখন শুধু আইনি সহায়তা দেওয়ার কেন্দ্র হিসেবেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়নি, মামলা জট কমানোর লক্ষ্যে এ অফিসকে ‘এডিআর কর্নার’ বা ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্রস্থল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। পক্ষসমূহের সম্মতির ভিত্তিতে লিগ্যাল এইড অফিসে বিকল্প উপায়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। এতে মামলার জট কমানো সম্ভব। এ জন্য দরিদ্র মানুষের জন্য কার্যকর আইনি সেবা নিশ্চিত করতে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ প্রয়োজন।

জেলা আইনগত সহায়তা কমিটির চেয়ারম্যান ও জেলা ও দায়রা জজ শরীফ হোসেন হায়দারের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা, পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, পরস্পরের নির্বাহী পরিচালক ও কমিটির সদস্য আকতারুন নাহার সাকী এবং জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ সাবরিনা আলম বরাত প্রমুখ।

এর আগে জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে রঙিন বেলুন ও শান্তি প্রতীক পায়রা উড়িয়ে দিবসটির উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন। পরে ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় শেখ হাসিনার অবদান, বিনামূল্যে লিগ্যাল এইডে আইনি সেবা দান’ এ প্রতিপাদ্যে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার সেখানে গিয়ে শেষ হয়। এতে জেলা জজশিপের বিচারক, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষজন অংশ নেয়।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বক্তব্য দিতে গিয়ে মঞ্চে পড়ে গেলেন জামায়াত আমির

ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে সরকার লিগ্যাল এইডের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে: রেলমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৭:৪২:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৩

পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি : 

রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, দেশের প্রতিটি মানুষের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে সরকার লিগ্যাল এইডের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে। আর এজন্য বিচারিক প্রক্রিয়া সহজ করতে বিকল্প পদ্ধতিতে মামলা নিষ্পত্তি করার প্রতি জোর দিচ্ছে সরকার।

শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জর্জ আদালতের হলরুমে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

রেলমন্ত্রী বলেন, জাতীয় আইনগত সহায়তার উদ্দেশ্য হলো সরকারি আইনি সেবা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি দরিদ্র ও অসহায় জনগণের ন্যায়বিচারে সহজ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা। তাই সরকার লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে বিনামূল্যে দেশের জনগণের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের বিচার ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে বন্ধ করেছিল। একাধিক সামরিক ক্যুসহ জেলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। সংবিধান স্থগিত করেছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু হত্যাসহ অন্যান্য হত্যাকাণ্ডের বিচার করেছে। দেশের প্রতিটি মানুষ যাতে ন্যায় বিচার পাবার সাংবিধানিক অধিকার পায় সরকার সেটা নিশ্চিত করেছে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালে লিগ্যাল এইড কল সেন্টার ‘জাতীয় হেল্পলাইন’ চালু করেন। এ হেল্পলাইনের ১৬৪৩০ নম্বরে যেকোনো ব্যক্তি ফোন করে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদানকারী সংস্থার মাধ্যমে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা পাচ্ছেন। দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী, শ্রমিক, সহিংসতার শিকার নারী-শিশু এবং পাচারের শিকার মানুষের জন্য আইনি সেবা নিশ্চিত করতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার জাতীয় আইনগত সহায়তা আইন-২০০০ প্রণয়নের মধ্য দিয়ে সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা কার্যক্রম শুরু করে। পরে এ আইনের অধীনে বিভিন্ন বিধি প্রণীত হয়।

রেলমন্ত্রী বলেন, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসকে এখন শুধু আইনি সহায়তা দেওয়ার কেন্দ্র হিসেবেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়নি, মামলা জট কমানোর লক্ষ্যে এ অফিসকে ‘এডিআর কর্নার’ বা ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্রস্থল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। পক্ষসমূহের সম্মতির ভিত্তিতে লিগ্যাল এইড অফিসে বিকল্প উপায়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। এতে মামলার জট কমানো সম্ভব। এ জন্য দরিদ্র মানুষের জন্য কার্যকর আইনি সেবা নিশ্চিত করতে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ প্রয়োজন।

জেলা আইনগত সহায়তা কমিটির চেয়ারম্যান ও জেলা ও দায়রা জজ শরীফ হোসেন হায়দারের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা, পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, পরস্পরের নির্বাহী পরিচালক ও কমিটির সদস্য আকতারুন নাহার সাকী এবং জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ সাবরিনা আলম বরাত প্রমুখ।

এর আগে জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে রঙিন বেলুন ও শান্তি প্রতীক পায়রা উড়িয়ে দিবসটির উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন। পরে ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় শেখ হাসিনার অবদান, বিনামূল্যে লিগ্যাল এইডে আইনি সেবা দান’ এ প্রতিপাদ্যে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার সেখানে গিয়ে শেষ হয়। এতে জেলা জজশিপের বিচারক, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষজন অংশ নেয়।