Dhaka মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নৌকা বিপক্ষে যারা ভোট করেছে তাদের ঠ্যাং ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি দিলেন আওয়ামী লীগ নেতা

পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি : 

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা বিপক্ষে যারা ভোট করেছে তাদের ৭ তারিখের পর ঠ্যাং ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন পঞ্চগড়-১ আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তার অনুসারী ও সমর্থক নুরুজ্জামান নুরু নামে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা।

রোরবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের কাজির হাট বাজারে নেতাকর্মী ও নৌকা মার্কায় সমর্থিত নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে নির্বাচনী বক্তব্য দেয়ার সময় মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে আওয়ামী লীগের ওই নেতা এ হুমকি দেন।

চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান নুরু বক্তব্যে বলেন, এত দিন যারা নৌকার পতাকা তলে শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়েছে এখন নৌকার বাইরে তারা অন্য সুর ধরেছে, তাদের চিহ্নিত করে রাখবেন। ৭ তারিখের পরে এই সমস্ত লোককে নৌকার আশপাশে দেখলে প্রয়োজনে তাদের ঠ্যাং ভেঙে ফেলা হবে। এদেরকে খন্দকার মোস্তাক বলা হয়। কারণ নৌকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মার্কা, এই মার্কা জননেত্রী শেখ হাসিনার মার্কা। এই মার্কায় যেই সমস্ত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিরোধিতা করে তাদেরকে খন্দকার মোস্তাক বলতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।

বক্তব্যটি স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট ও তার কর্মী সমর্থকদের ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে।

হুমকি দেওয়া ওই নুরুজ্জামান নুরু পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক, অমরখানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পঞ্চগড়-১ আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তার অনুসারী ও সমর্থক বলে জানা গেছে। নির্বাচনী সভায় এই আওয়ামী লীগের সর্মথকের হুমকির ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে জেলাজুড়ে শুরু হয় সমালোচনা।

এর আগেও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর অনুসারী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম পল্লব এক নির্বাচনী সভায় এমন হুমকি প্রদান করলে তাকে শোকজ করে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি।

এ ঘটনার বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট বলেন, নৌকা মার্কার যে চেয়ারম্যান তিনি প্রকাশ্যে হুমকি দিলেন এতে আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে। আমি আশা করি রিটার্নিং অফিসার এর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। এতে আমরা যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছি,আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস ফিরে আসবে যে নির্বাচন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হবে।

এসময় তিনি আরও বলেন, এই যে এত উদ্ভট ভাবে আমাদের বললো নৌকা মার্কার বিপক্ষে যারা কথা বলবে,যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী তাদের ঠ্যাং ভেঙে দেওয়া হবে এটা শতভাগ নিশ্চিত যে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হয়েছে। আমি এ বিষয়ের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সহযোগীতা কামনা করছি এবং আমি আশা করছি যে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নিলে আমাদের নির্বাচনের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস ফিরে আসবে।

আবহাওয়া

আইজিপির ভুয়া ভিডিও স্টেটমেন্ট এআই দিয়ে তৈরি : পুলিশ সদর দপ্তর

নৌকা বিপক্ষে যারা ভোট করেছে তাদের ঠ্যাং ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি দিলেন আওয়ামী লীগ নেতা

প্রকাশের সময় : ০১:১৫:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩

পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি : 

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা বিপক্ষে যারা ভোট করেছে তাদের ৭ তারিখের পর ঠ্যাং ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন পঞ্চগড়-১ আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তার অনুসারী ও সমর্থক নুরুজ্জামান নুরু নামে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা।

রোরবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের কাজির হাট বাজারে নেতাকর্মী ও নৌকা মার্কায় সমর্থিত নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে নির্বাচনী বক্তব্য দেয়ার সময় মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে আওয়ামী লীগের ওই নেতা এ হুমকি দেন।

চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান নুরু বক্তব্যে বলেন, এত দিন যারা নৌকার পতাকা তলে শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়েছে এখন নৌকার বাইরে তারা অন্য সুর ধরেছে, তাদের চিহ্নিত করে রাখবেন। ৭ তারিখের পরে এই সমস্ত লোককে নৌকার আশপাশে দেখলে প্রয়োজনে তাদের ঠ্যাং ভেঙে ফেলা হবে। এদেরকে খন্দকার মোস্তাক বলা হয়। কারণ নৌকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মার্কা, এই মার্কা জননেত্রী শেখ হাসিনার মার্কা। এই মার্কায় যেই সমস্ত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিরোধিতা করে তাদেরকে খন্দকার মোস্তাক বলতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।

বক্তব্যটি স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট ও তার কর্মী সমর্থকদের ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে।

হুমকি দেওয়া ওই নুরুজ্জামান নুরু পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক, অমরখানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পঞ্চগড়-১ আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তার অনুসারী ও সমর্থক বলে জানা গেছে। নির্বাচনী সভায় এই আওয়ামী লীগের সর্মথকের হুমকির ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে জেলাজুড়ে শুরু হয় সমালোচনা।

এর আগেও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর অনুসারী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম পল্লব এক নির্বাচনী সভায় এমন হুমকি প্রদান করলে তাকে শোকজ করে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি।

এ ঘটনার বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট বলেন, নৌকা মার্কার যে চেয়ারম্যান তিনি প্রকাশ্যে হুমকি দিলেন এতে আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে। আমি আশা করি রিটার্নিং অফিসার এর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। এতে আমরা যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছি,আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস ফিরে আসবে যে নির্বাচন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হবে।

এসময় তিনি আরও বলেন, এই যে এত উদ্ভট ভাবে আমাদের বললো নৌকা মার্কার বিপক্ষে যারা কথা বলবে,যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী তাদের ঠ্যাং ভেঙে দেওয়া হবে এটা শতভাগ নিশ্চিত যে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হয়েছে। আমি এ বিষয়ের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সহযোগীতা কামনা করছি এবং আমি আশা করছি যে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নিলে আমাদের নির্বাচনের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস ফিরে আসবে।