Dhaka বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নৌকায় ভোট দিতে মানুষ উন্মুখ হয়ে বসে আছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একের পর এক উন্নয়ন করে চলেছেন। আগামী মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার জন্য এ দেশের মানুষ উন্মুখ হয়ে বসে আছেন।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধনের পর সুধী সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি বলেছিলেন সারাদেশ ঘুরে দেখতে। আপনার নির্দেশনায় আমি সারা বাংলাদেশ ঘুরে দেখেছি। দেশের যে প্রান্তেই গিয়েছি সেখানেই আপনার উন্নয়নের ছোঁয়া দেখতে পেয়েছি। এ দেশের জনগণ আপনার উন্নয়নের কথাই বলেছে।

তিনি বলেন বলেন, আমি সব জায়গায় একটি ধ্বনি শুনেছি, শেখ হাসিনার বিকল্প শুধু মাত্রই শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী আমি আপনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলে যাবে। তবুও কথা শেষ হবে না। বঙ্গবন্ধুকে যেভাবে ধারণ করি সেভাবেই গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে আপনারা দুই বোনকে হৃদয়ে ধারণ করি।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি ২০০৮ সালে ঘোষণা দিয়েছিলেন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার। আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ কতখানি আবশ্যকীয় তা সবাই জানে। আপনি স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলছেন, ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশের কথা বলছেন; আমাদের নতুন প্রজন্ম এটারই নাগরিক হবে, তারা মুখ উঁচু করে বলতে পারবে বঙ্গবন্ধুর দেশের মানুষ আমরা, বাংলাদেশের মানুষ আমরা।

আমি পৃথিবীর যেখানেই গিয়েছি সেখানেই আপনার (প্রধানমন্ত্রী) প্রশংসা দেখেছি। সবাই জিজ্ঞাসা করেন, কীভাবে একটা অনুন্নত দেশ যেখানে ২০০৮ সালে পার ক্যাপিটাল ইনকাম ছিল ৫৬০ ডলার, সেখান থেকে আপনি কীভাবে টেনে একটা সম্ভাবনাময় দেশ তৈরি করেছেন। আমি শুধু এটুকুই বলি-তার ধমনীতে বঙ্গবন্ধুর রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে এবং দেশের মানুষ তাকে ভালোবাসে, তার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। তিনি যা কমিটমেন্ট করেন তাই তিনি ইমপ্লিমেন্ট করে দেখিয়ে দেন এবং দেখাচ্ছেন। সেজন্যেই বাংলাদেশের মানুষ আজ তাকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসেন। আমরা এখন মাথা উঁচু করে চলতে পারি।

খান কামাল বলেন, আপনি বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাবেন। সেদিন আর দূরে নয়। অতিদরিদ্র সীমা ৫ এর মধ্যে নিয়ে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। আপনার নেতৃত্বে সেই সীমা শূন্যতে নেমে আসবে বলে মনে করি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উন্নত বাংলাদেশ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বো।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তেজগাঁও বা পুরান ঢাকা থেকে কিংবা ঢাকার যেকোনো অঞ্চল থেকে এয়ারপোর্ট যেতে এক ঘণ্টা সময় লাগত। আজ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করা হলো। এখন ১০ মিনিটের মধ্যে এয়ারপোর্ট পৌঁছানো যাবে। সবকিছু প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীকে ভিশনারি নেতা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হেনরি কিসিঞ্জারের উক্তি ছিল, বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি। সেই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বলছেন, যদি কিছু দেখতে চাও, দেশকে যদি উন্নত করতে চাও, তাহলে বাংলাদেশে যাও। শেখ হাসিনার দেশে যাও। এটাই প্রধানমন্ত্রীর দক্ষতা, কৌশল।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মিয়ানমারে গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে পুড়িয়ে নাফ নদীকে রক্তে রঞ্জিত করার দৃশ্য দেখেছিলাম। সেদিন আমরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় ছিলাম। আপনি বলেছিলেন, আসতে দাও, আমরা যদি খেতে পারি, তাহলে ওদেরও খেতে দিতে পারব, শেয়ার করব। সেদিন থেকে আপনি মাদার অব হিউমিনিটি নামে দীক্ষিত হয়েছেন। আমরা এখন মাথা উঁচু করে চলতে পারি।

বিএনপি সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছিল উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেটা আপনি চালু করে স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছেন। সে কারণে আজকে দেশের মানুষের গড় আয়ু ৭৩ চলে এসেছে।

এর আগে বিকেল ৪টায় পুরোনো বাণিজ্যমেলা মাঠে সুধী সমাবেশস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। এসময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চীনা বিমান ব্যবহার করে অভ্যন্তরীণ ভাড়া ৪০% কমানোর সিদ্ধান্ত এয়ার করাচির

নৌকায় ভোট দিতে মানুষ উন্মুখ হয়ে বসে আছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৬:২১:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একের পর এক উন্নয়ন করে চলেছেন। আগামী মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার জন্য এ দেশের মানুষ উন্মুখ হয়ে বসে আছেন।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধনের পর সুধী সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি বলেছিলেন সারাদেশ ঘুরে দেখতে। আপনার নির্দেশনায় আমি সারা বাংলাদেশ ঘুরে দেখেছি। দেশের যে প্রান্তেই গিয়েছি সেখানেই আপনার উন্নয়নের ছোঁয়া দেখতে পেয়েছি। এ দেশের জনগণ আপনার উন্নয়নের কথাই বলেছে।

তিনি বলেন বলেন, আমি সব জায়গায় একটি ধ্বনি শুনেছি, শেখ হাসিনার বিকল্প শুধু মাত্রই শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী আমি আপনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলে যাবে। তবুও কথা শেষ হবে না। বঙ্গবন্ধুকে যেভাবে ধারণ করি সেভাবেই গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে আপনারা দুই বোনকে হৃদয়ে ধারণ করি।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি ২০০৮ সালে ঘোষণা দিয়েছিলেন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার। আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ কতখানি আবশ্যকীয় তা সবাই জানে। আপনি স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলছেন, ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশের কথা বলছেন; আমাদের নতুন প্রজন্ম এটারই নাগরিক হবে, তারা মুখ উঁচু করে বলতে পারবে বঙ্গবন্ধুর দেশের মানুষ আমরা, বাংলাদেশের মানুষ আমরা।

আমি পৃথিবীর যেখানেই গিয়েছি সেখানেই আপনার (প্রধানমন্ত্রী) প্রশংসা দেখেছি। সবাই জিজ্ঞাসা করেন, কীভাবে একটা অনুন্নত দেশ যেখানে ২০০৮ সালে পার ক্যাপিটাল ইনকাম ছিল ৫৬০ ডলার, সেখান থেকে আপনি কীভাবে টেনে একটা সম্ভাবনাময় দেশ তৈরি করেছেন। আমি শুধু এটুকুই বলি-তার ধমনীতে বঙ্গবন্ধুর রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে এবং দেশের মানুষ তাকে ভালোবাসে, তার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। তিনি যা কমিটমেন্ট করেন তাই তিনি ইমপ্লিমেন্ট করে দেখিয়ে দেন এবং দেখাচ্ছেন। সেজন্যেই বাংলাদেশের মানুষ আজ তাকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসেন। আমরা এখন মাথা উঁচু করে চলতে পারি।

খান কামাল বলেন, আপনি বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাবেন। সেদিন আর দূরে নয়। অতিদরিদ্র সীমা ৫ এর মধ্যে নিয়ে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। আপনার নেতৃত্বে সেই সীমা শূন্যতে নেমে আসবে বলে মনে করি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উন্নত বাংলাদেশ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বো।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তেজগাঁও বা পুরান ঢাকা থেকে কিংবা ঢাকার যেকোনো অঞ্চল থেকে এয়ারপোর্ট যেতে এক ঘণ্টা সময় লাগত। আজ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করা হলো। এখন ১০ মিনিটের মধ্যে এয়ারপোর্ট পৌঁছানো যাবে। সবকিছু প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীকে ভিশনারি নেতা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হেনরি কিসিঞ্জারের উক্তি ছিল, বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি। সেই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বলছেন, যদি কিছু দেখতে চাও, দেশকে যদি উন্নত করতে চাও, তাহলে বাংলাদেশে যাও। শেখ হাসিনার দেশে যাও। এটাই প্রধানমন্ত্রীর দক্ষতা, কৌশল।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মিয়ানমারে গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে পুড়িয়ে নাফ নদীকে রক্তে রঞ্জিত করার দৃশ্য দেখেছিলাম। সেদিন আমরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় ছিলাম। আপনি বলেছিলেন, আসতে দাও, আমরা যদি খেতে পারি, তাহলে ওদেরও খেতে দিতে পারব, শেয়ার করব। সেদিন থেকে আপনি মাদার অব হিউমিনিটি নামে দীক্ষিত হয়েছেন। আমরা এখন মাথা উঁচু করে চলতে পারি।

বিএনপি সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছিল উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেটা আপনি চালু করে স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছেন। সে কারণে আজকে দেশের মানুষের গড় আয়ু ৭৩ চলে এসেছে।

এর আগে বিকেল ৪টায় পুরোনো বাণিজ্যমেলা মাঠে সুধী সমাবেশস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। এসময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।