স্পোর্টস ডেস্ক :
অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সবশেষ দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। সংযুক্ত আরব আমিরাতে হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের মিশনে আফগানিস্তানকে হারিয়ে শুভসূচনা করেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯। এবার নেপাল অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচেও সাফল্যের সেই ধারা ধরে রেখেছে যুব টাইগাররা। ৭ উইকেটের জয়ে সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রাখল লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুবাইয়ের দ্য সেভেনস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ৩১.১ ওভারে মাত্র ১৩০ রানে অলআউট হয়ে যায় নেপালের। জবাবে খেলতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫১ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
টানা দুই জয়ে সেমি-ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছে বাংলাদেশের যুবারা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়েছিল তারা।
গ্রুপের অন্য ম্যাচে আফগানিস্তান শ্রীলঙ্কার কাছে হারলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই শেষ চারে উঠবে আজিজুল হাকিম তামিমের দল। ভিন্ন ফল এলে অপেক্ষা করতে হবে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের জন্য।
টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। অধিনায়কের এই সিদ্ধান্তকে পুরোপুরি সঠিক প্রমাণ করেছেন বাংলাদেশের বোলাররা।
নেপাল অনূর্ধ্ব-১৯ দলের শুরুটা খারাপ হয়নি। দুই ওপেনার সাহিল প্যাটেল ও নিরাজ কুমার উদ্বোধনী জুটিতে ৪০ রান যোগ করেন। তবে ১৮ রান করা সাহিল প্যাটেলকে আউট করে জুটি ভাঙেন সাদ ইসলাম।
এরপর থেকেই নেপালের ব্যাটিং ধসে পড়ে। মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা বাংলাদেশের বোলারদের সামনে একেবারেই দাঁড়াতে পারেননি। ৫৪ থেকে ৬১ রানের মধ্যেই সাজঘরে ফেরেন বংশ ছেত্রি (৪), নিরাজ কুমার (১৪), নিশ্চল শেত্রি (০) ও কিরবিন শ্রেষ্ঠ (৫)। ৪০ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর মাত্র ৬১ রানের মধ্যেই নেপাল হারায় পাঁচটি উইকেট।
এই ধাক্কা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি নেপাল। ৮১ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারানোর পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। শেষ পর্যন্ত ১৩০ রানেই গুটিয়ে যায় নেপালের ইনিংস।
নেপালের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন অভিষেক তিওয়ারি। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে বাংলাদেশের মো. সবুজ ৭ ওভারে ১ মেডেনসহ ২৭ রানে ৩টি উইকেট নেন। শাহরিয়ার আহমেদ ৫.১ ওভারে ২ মেডেনসহ ১০ রানে ২টি, আজিজুল হাকিম ৪ ওভারে ১৮ রানে ২টি ও সাদ ইসলাম ৭ ওভারে ৩২ রানে নেন ২টি উইকেট। ৫ ওভারে ২২ রান দিয়ে অপর উইকেটটি নেন শাহরিয়া আল-আমিন।
১৩১ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন ওপেনার জাওয়াদ আবরার। তবে শুরুটা ভালো হলেও চতুর্থ ওভারে হঠাৎ বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ওই ওভারে রিফাত বেগ ও আজিজুল হাকিম তামিম আউট হয়ে যান। রিফাত ৭ বলে ৫ রান করেন এবং তামিম আউট হন মাত্র ১ বলে ১ রান করে।
এরপর জাওয়াদের সঙ্গে জুটি গড়েন কালাম সিদ্দিকী অ্যালেন। এক প্রান্ত আগলে রেখে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন জাওয়াদ। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দেন কালাম। দুজনের কার্যকর ব্যাটিংয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশের ইনিংস।
চাপের মধ্যেও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলেন জাওয়াদ। তিনি তুলে নেন একটি চমৎকার ফিফটি। আগের ম্যাচেও জয়ের নায়ক ছিলেন এই ওপেনার। শেষ দিকে কালাম সিদ্দিকী অ্যালেন ৬৬ বলে ৩৪ রান করে আউট হন।
শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন জাওয়াদ আবরার। তিনি ৬৮ বলে ৭০ রান করে অপরাজিত থাকেন। রিজান হোসেন ৮ বলে ১২ রান করে তাকে ভালো সঙ্গ দেন। ১৫১ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ।
স্পোর্টস ডেস্ক 
























