Dhaka শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেপালকে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারত

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১২:৪২:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ২০৮ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

এশিয়া কাপের নিজেদের গ্রুপ পর্বের শেষ নেপালের মুখোমুখি হয় ভারত। উদ্বোধনী জুটিতে রোহিত শর্মা ও শুভমান গিলের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ১৭ বল হাতে রেখেই নেপালকে গুঁড়িয়ে দেয় তারা। ডিএলএস মেথডে ১০ উইকেটের দাপুটে জয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোর নিশ্চিত করলো রোহিত শর্মার দল।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে নেপাল চমকে দেয়। ৪৮.২ ওভারে তারা স্কোরবোর্ড জমা করে ২৩০ রান। বৃষ্টি আইনে ভারতের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৩ ওভারে ১৪৫ রান। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা-শুভমান গিল শেষ করে আসেন ম্যাচ।

অন্যদিকে প্রথমবার এশিয়ার মঞ্চে এসে খালি হাতেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে নেপালকে।

শুরুতে রোহিতকে নড়বড়ে মনে হলেও দ্রুত খাপ খাইয়ে চার-ছয়ের ফুলঝুরি ফোটান। এক পাশে শুভমান গিল ছিলেন সাবলীল। রানের চাকা সচল রেখে তিনি সঙ্গ দিয়ে গেছেন রোহিতকে।

২.১ ওভারে বিনা উইকেটে ১৭ রান করতেই বৃষ্টি মাথায় সাজঘরে ফিরতে হয় রোহিত (৪) ও শুবমান গিলকে (১২)। নেপালের ইনিংসও বৃষ্টি বাধায় পড়ে দুবার।  যে কারণে প্রায় দুই ঘণ্টার মতো বন্ধ থাকে খেলা। একটা সময় মনে হচ্ছিল  পাকিস্তানের মতো নেপালের বিপক্ষেও পয়েন্ট ভাগাভাগি করবে ভারত। কিন্তু মাঠকর্মীদের দারুণ প্রচেষ্টায় আবারও শুরু হয় খেলা। তবে কমিয়ে আনা হয় ওভারের সংখ্যা। নতুন লক্ষ্যে খেলতে নেমে নেপালি বোলারদের স্রেফ তুলোধুনো করেন ভারতের দুই ওপেনার। রোহিত ৫৯ বলে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন। আরেক ওপেনার গিল অপরাজিত ছিলেন ৬২ বলে ৮ চার  ও ১ ছক্কায় ৬৭ রান নিয়ে।

পাল্লেকেলেতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই ছিল নেপালের। উদ্বোধনী জুটিতে কুশাল ভুরটেলের মারকুটে ব্যাটিংয়ে ১০ ওভার না হতেই ৬৫ রান তোলে তারা। ২৫ বলে ৩ চার আর ২ ছক্কায় ৩৮ করা ভুরটেলকে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ বানান শার্দুল ঠাকুর।

এরপর রবীন্দ্র জাদেজার ঘূর্ণিজাদু। একে একে তার শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন ভিম সারকিল (৭), অধিনায়ক রোহিত পাওডেল (৫), কুশাল মাল্লা (২)।

ওপেনার আসিফ শেখ একটা প্রান্ত ধরে ছিলেন। ফিফটির পর তাকে আউট করে দেন মোহাম্মদ সিরাজ। ৯৭ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৫৮ রান করে ৩০তম ওভারে ফেরেন আসিফ। সিরাজ তার পরের ওভারে তুলে নেন আরেক সেট ব্যাটার গুলশান ঝাকে (২৩)।

সপ্তম উইকেটে ৫০ রানের জুটি গড়েন সোমপাল কামি আর দিপেন্দ্র সিং। ২৯ করা দিপেন্দ্রকে এলবিডব্লিউ করে জুটিটি ভাঙেন হার্দিক পান্ডিয়া। মাঝে তিন দফা বৃষ্টি হানা দিয়েছিল।

শেষ দিকে সোমপাল দলকে লড়াকু পুঁজি পর্যন্ত নিয়ে যান। ৫৬ বলে ১ চার আর ২ ছক্কায় ৪৮ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার, হন শামির শিকার। ৪৮.২ ওভারে ২৩০ রানে অলআউট হয় নেপাল। মোহাম্মদ সিরাজ আর রবীন্দ্র জাদেজা নেন তিনটি করে উইকেট।

এই জয়ে ২ ম্যাচ থেকে ৩ পয়েন্ট ও ১.০২৮ নেট রান রেট নিয়ে এ গ্রুপে দ্বিতীয় হয়ে সুপার ফোরে পা রাখে ভারত। পাকিস্তান সমান পয়েন্ট ও ৪.৭৬০ নেট রান রেট নিয়ে হয় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। প্রথম ম্যাচে ২৩৮ ও দ্বিতীয় ম্যাচে ১০ উইকেটে হেরে বিদায় নিলো প্রথমবার এশিয়া কাপ খেলা নেপাল।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নেপালকে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারত

প্রকাশের সময় : ১২:৪২:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

এশিয়া কাপের নিজেদের গ্রুপ পর্বের শেষ নেপালের মুখোমুখি হয় ভারত। উদ্বোধনী জুটিতে রোহিত শর্মা ও শুভমান গিলের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ১৭ বল হাতে রেখেই নেপালকে গুঁড়িয়ে দেয় তারা। ডিএলএস মেথডে ১০ উইকেটের দাপুটে জয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোর নিশ্চিত করলো রোহিত শর্মার দল।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে নেপাল চমকে দেয়। ৪৮.২ ওভারে তারা স্কোরবোর্ড জমা করে ২৩০ রান। বৃষ্টি আইনে ভারতের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৩ ওভারে ১৪৫ রান। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা-শুভমান গিল শেষ করে আসেন ম্যাচ।

অন্যদিকে প্রথমবার এশিয়ার মঞ্চে এসে খালি হাতেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে নেপালকে।

শুরুতে রোহিতকে নড়বড়ে মনে হলেও দ্রুত খাপ খাইয়ে চার-ছয়ের ফুলঝুরি ফোটান। এক পাশে শুভমান গিল ছিলেন সাবলীল। রানের চাকা সচল রেখে তিনি সঙ্গ দিয়ে গেছেন রোহিতকে।

২.১ ওভারে বিনা উইকেটে ১৭ রান করতেই বৃষ্টি মাথায় সাজঘরে ফিরতে হয় রোহিত (৪) ও শুবমান গিলকে (১২)। নেপালের ইনিংসও বৃষ্টি বাধায় পড়ে দুবার।  যে কারণে প্রায় দুই ঘণ্টার মতো বন্ধ থাকে খেলা। একটা সময় মনে হচ্ছিল  পাকিস্তানের মতো নেপালের বিপক্ষেও পয়েন্ট ভাগাভাগি করবে ভারত। কিন্তু মাঠকর্মীদের দারুণ প্রচেষ্টায় আবারও শুরু হয় খেলা। তবে কমিয়ে আনা হয় ওভারের সংখ্যা। নতুন লক্ষ্যে খেলতে নেমে নেপালি বোলারদের স্রেফ তুলোধুনো করেন ভারতের দুই ওপেনার। রোহিত ৫৯ বলে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন। আরেক ওপেনার গিল অপরাজিত ছিলেন ৬২ বলে ৮ চার  ও ১ ছক্কায় ৬৭ রান নিয়ে।

পাল্লেকেলেতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই ছিল নেপালের। উদ্বোধনী জুটিতে কুশাল ভুরটেলের মারকুটে ব্যাটিংয়ে ১০ ওভার না হতেই ৬৫ রান তোলে তারা। ২৫ বলে ৩ চার আর ২ ছক্কায় ৩৮ করা ভুরটেলকে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ বানান শার্দুল ঠাকুর।

এরপর রবীন্দ্র জাদেজার ঘূর্ণিজাদু। একে একে তার শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন ভিম সারকিল (৭), অধিনায়ক রোহিত পাওডেল (৫), কুশাল মাল্লা (২)।

ওপেনার আসিফ শেখ একটা প্রান্ত ধরে ছিলেন। ফিফটির পর তাকে আউট করে দেন মোহাম্মদ সিরাজ। ৯৭ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৫৮ রান করে ৩০তম ওভারে ফেরেন আসিফ। সিরাজ তার পরের ওভারে তুলে নেন আরেক সেট ব্যাটার গুলশান ঝাকে (২৩)।

সপ্তম উইকেটে ৫০ রানের জুটি গড়েন সোমপাল কামি আর দিপেন্দ্র সিং। ২৯ করা দিপেন্দ্রকে এলবিডব্লিউ করে জুটিটি ভাঙেন হার্দিক পান্ডিয়া। মাঝে তিন দফা বৃষ্টি হানা দিয়েছিল।

শেষ দিকে সোমপাল দলকে লড়াকু পুঁজি পর্যন্ত নিয়ে যান। ৫৬ বলে ১ চার আর ২ ছক্কায় ৪৮ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার, হন শামির শিকার। ৪৮.২ ওভারে ২৩০ রানে অলআউট হয় নেপাল। মোহাম্মদ সিরাজ আর রবীন্দ্র জাদেজা নেন তিনটি করে উইকেট।

এই জয়ে ২ ম্যাচ থেকে ৩ পয়েন্ট ও ১.০২৮ নেট রান রেট নিয়ে এ গ্রুপে দ্বিতীয় হয়ে সুপার ফোরে পা রাখে ভারত। পাকিস্তান সমান পয়েন্ট ও ৪.৭৬০ নেট রান রেট নিয়ে হয় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। প্রথম ম্যাচে ২৩৮ ও দ্বিতীয় ম্যাচে ১০ উইকেটে হেরে বিদায় নিলো প্রথমবার এশিয়া কাপ খেলা নেপাল।