নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি : 

নেত্রকোনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) প্রীতম সোহাগের বাড়ির ফটকে দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রোববার (৯ নভেম্বর) গভীর রাতে সদর উপজেলার গজিনপুর এলাকায় অবস্থিত প্রীতমের বাড়ির ফটকে এ ঘটনা ঘটে।

রাজনৈতিক বিরোধের জেরে দুর্বৃত্তরা আতঙ্ক সৃষ্টি করতে এ কাজ করেছে বলে দাবি করেন প্রীতম সোহাগ।

প্রীতম সোহাগ বলেন, রোববার দিবাগত রাত আনুমানিক ১২টায় কে বা কারা বাড়ির ফটকের সামনে আগুন দেয়। এতে আমার স্ত্রীর স্যান্ডেল, পাপোস পুড়ে যায়। এছাড়া উপরে থাকা বিদ্যুতের মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি, আগুন নিভে যায়। সোমবার সকাল ছয়টার দিকে পাশের বাড়ির লোকজন আমাকে ঘুম থেকে ডেকে বিষয়টি জানান।

তিনি বলেন, গতকাল রাতে জেলা শহর থেকে আমার স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িতে এসে রাত ১০টায় গেট বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ি। আজ সকালে লোকজন আমাকে ঘুম থেকে ডেকে জানান আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। একটি গ্যাস ম্যাচ পাওয়া গেছে। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে রাস্তায় আমার চাচাতো ভাই এনামুল হকের মুদির দোকান রয়েছে। তিনি দেখেছেন আমার বাড়ি থেকে রাত সাড়ে ১২টার দিকে একটি মোটরসাইকেলে তিনজন বের হতে। ধারণা করা হচ্ছে ওই দুর্বৃত্তরাই আগুন ধরিয়ে সঙ্গে সঙ্গে চলে যায়।

প্রীতম সোহাগ বলেন, ধারণা করছি আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এই অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। যারা রাজনৈতিকভাবে আমার সঙ্গে পেরে উঠছেন না। তবে এসবে আমি ভীত নই। কারণ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে আমি ১১ নম্বর কেন্দ্রীয় সমন্বয়কের দায়িত্বে ছিলাম। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের নেতৃত্ব দিয়েছি। সুতরাং এভাবে আমি ভীত নাই। তবে যারা এই হীন কাজ করেছেন, তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই। বিষয়টি আমি থানা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়েছি।

আগুনে পুড়ে যাওয়া অংশের ভিডিও করে প্রীতম সোহাগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার নিজ আইডিতে আজ সকাল সাতটায় পোস্ট করেন। ভিডিওটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।

এ বিষয়ে নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজি শাহনেওয়াজ বলেন, এনসিপি নেতার বাড়ির গেইটে আগুন লাগানোর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।