নীলফামারী জলঢাকা উপজেলার গুলমুন্ডা ইউনিয়নের ভাবুনচুর শ্যামপুর পাড়ার ধুব নদীর ওপর একটি সেতুর অভাবে দুই ইউনিয়নের ১০ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। বিকল্প পথ দীর্ঘ হওয়ায় বাঁশের চাটাই ও কাঠ বিছানো সাঁকোর ওপর দিয়ে যাতায়াত করতে হয় তাদের। অনেক সময় বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে দুর্ঘটনায় পড়তে হয়। বর্ষার সময় নদীতে পানি বাড়লে বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে ভেসে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে চলাচলের জন্য প্রতিবছর একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। শুষ্ক মৌসুমে সেটি দিয়ে কিছুদিন চলাচল করা যায়। তবে বর্ষাকালে নেমে আসে দুর্ভোগ, সাঁকোটি ভেসে যায় নদীতে। তখন কলার ভেলা দিয়ে নদী পার হতে হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গুলমুন্ডা ইউনিয়নের ভাবুনচুর শ্যামপুর পাড়ার ধুব নদী। নদীর ওপর ব্রিজ না থাকায় ওই এলাকার বিশাল জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা বাঁধাগ্রস্ত হয়ে রয়েছে।ব্রিজ না থাকায় জমি চাষ, উৎপাদিত কৃষিপণ্য আনা-নেওয়া, মালপত্র বহনে ভোগান্তি এবং অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হচ্ছে এই এলাকার মানুষকে। তা ছাড়া প্রায় ৬ কিলোমিটার পথ ঘুরে ওই এলাকার মানুষের যাতায়াত করতে হয়।
কয়েকটি গ্রামের মানুষ, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী ও স্কুল-কলেজপড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের ওই ঘাট দিয়ে চলাচল সহজ হয়। তাই জনগুরুত্বপূর্ণ ওই ঘাটের নদীর ওপর একটি ব্রিজ নির্মাণের দীর্ঘদিনের দাবি এলাকাবাসীর।
ভাবুনচুর শ্যামপুর পাড়ার ওয়াসিম বলেন, দক্ষিণ পারে জনগুরুত্বপূর্ণ জলঢাকা উপজেলা শহর রয়েছে। মেডিকেল, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, সরকারি ব্যাংক, বীমা, এনজিও, হাটবাজার রয়েছে। এপারেও মানুষের বসতি রয়েছে। কিন্তু আজও ব্রিজ নির্মিত না হওয়ায় এই এলাকায় আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। দুর্ভোগে রয়েছে ১০ গ্রামের মানুষ।
স্থানীয় ব্যক্তি রতন বলেন, ‘১০ গ্রামের ভরসা এই সাঁকোটি। এটি দিয়ে জলঢাকা উপজেলা শহর ও জেলা শহরে যাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। মেম্বার, চেয়ারম্যান, এমপি ও তাদের প্রতিনিধিরা ভোটের সময় কথা দেয়, এই নদীর ওপর ব্রিজ করে দেবেন। কিন্তু ভোট চলে গেলে আর খোঁজ নেই ব্রিজের। আমাদের এলাকার হাজারো মানুষের দাবি ধুব নদীর ওপর একটি ব্রিজ। এটি হলে পাল্টে যাবে এই এলাকার জীবনমান।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জলঢাকা উপজেলা প্রকৌশলী মো. তারিকুজ্জামান বলেন, সেখানে ব্রিজ নির্মাণের বিষয়টি নজরে রয়েছে। বরাদ্দ এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।