বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি :
বাগেরহাটে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে দশানী-রামপাল-মোংলা আঞ্চলিক মহাসড়কের দশ কিলোমিটার এলাকা। চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন পথচারী, যানবাহন-চালকসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।
তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সড়কটির একটি অংশের নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পালিয়ে যাওয়ায় এমন অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তারা মানববন্ধন করে প্রতিবাদ জানালেও কোনো প্রতিকার পায়নি তারা।
স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৯ মাসধরে মাহাবুব ব্রাদার্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ বন্ধ থাকায় জনসাধারণের চলাচলে দুর্ভোগ বেড়েছে। সড়কটির অধিকাংশ অংশ খানাখন্দ ভরা থাকার প্রতিদিনই ঘটছে ছোটখাট দুর্ঘটনা, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন যানবাহন চালকরা।
ডেমা ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা হোসনেয়ারা বেগম বলেন, আমাদের এই রাস্তাটি গত ৩ থেকে ৪ বছর ধরে এমন বেহাল অবস্থায় পরে রয়েছে। রাস্তাটির কাজ শুরু হলেও গত কয়েকমাস ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে গত ১৫ দিন আগে আমাদের বাড়ির সামনের রাস্তায় এক গর্ভবতী মহিলাকে ইজি বাইকে করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে গর্তের মধ্যে ইজি বাইকটি পরে যায়। এসময় ওই মহিলার অবস্থা খুব খারাপ হয়ে গেলে ওই ইজি বাইকের মধ্যেই তার বাচ্চা প্রসব করে। আমরা সরকারের কাছে দ্রুত এই রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানাই।
বাগেরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, ৩৩ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বাগেরহাট-রামপাল-মোংলা আঞ্চলিক মহাসড়কটি প্রশস্তকরণ, সম্প্রসারণ ও সংস্কারের জন্য ৪টি প্যাকেজে ৩টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ২০২২ সালের আগস্ট মাসে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ৩৩ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আঞ্চলিক মহাসড়কটিতে ৮ ব্রিজ, ২১ টি কালভার্ড রয়েছে। জমি অধিগ্রহণ ও সংস্কারসহ যার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬৭ কোটি টাকা। প্রথম প্যাকেজে দশানী থেকে হেলাতলা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কের কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহাবুব ব্রাদার্স। দুই দফা সময় বাড়ানো হলেও প্রতিষ্ঠানটি মাত্র ১৫ শতাংশ কাজ শেষ করতে পেড়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী আগামী জুনের শেষের দিকে মাহবুব ব্রাদার্সের কার্যাদেশ বাতিল করে নতুন ঠিকাদার নিয়োগের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।