Dhaka বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন যাতে পিছিয়ে যায় তার অপচেষ্টা করছে কিছু দল : মির্জা ফখরুল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৩৪:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৭৯ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশকে এগিয়ে নিতে এখন নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচন যাতে পিছিয়ে যায় তার অপচেষ্টা করছে কিছু রাজনৈতিক দল। দেশের ভালোর জন্য অতিদ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক সরকার দরকার।’

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলস্থ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি মিলনায়তনে ‘মহানায়ক শহিদ জিয়া’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন যেন পিছিয়ে যায়, সময়মত যেন নির্বাচন না হয় সে চেষ্টাই করছে কোনো কোনো দল। রাজনীতি ও অর্থনীতি, শিক্ষা ব্যবস্থাকে নতুন করে সাজাতে নির্বাচন দরকার।

তবে বিএনপি মহাসচিব কিছু রাজনৈতিক দলের মনোভাব নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, দুঃখজনকভাবে, কিছু রাজনৈতিক দল নানা টালবাহানা করে নির্বাচনকে পেছানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু জনগণ আর সেই পুরনো রাজনীতির ফাঁদে পা দেবে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা ধন্যবাদ জানাই এই সরকারকে, কারণ ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে তারা কিছু বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করতে সক্ষম হয়েছে।

কিছু রাজনৈতিক দল নানা টালবাহানা করে নির্বাচনকে পেছানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু জনগণ আর সেই পুরনো রাজনীতির ফাঁদে পা দেবে না এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, আজ আমরা এমন এক সময় অতিক্রম করছি, যখন গত ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনের কারণে দেশে অর্থনীতি ও রাজনীতি কার্যত ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। অন্তর্বর্তী সরকার এখন আমাদের সহযোগিতায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করছে, যার মাধ্যমে সব কিছু পুনরায় গুছিয়ে আনার প্রচেষ্টা চলছে।

বিএনপির ৩১ দফা রূপরেখার প্রসঙ্গ টানেন দলটির মহাসচিব। তিনি বলেন, সবকিছু মিলিয়ে বিএনপির জন্ম সংস্কারের মধ্যে। সংস্কারের মধ্য দিয়ে একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় শাসনব্যবস্থা নিয়ে এসেছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, জনগণের মৌলিক স্বাধীনতা, মেয়েদের লেখাপড়া, চাকরি দেওয়া, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা—সবই তো বিএনপির করা।

বাংলাদেশ থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের মাজার পর্যন্ত তুলে নিয়ে যাবে, তাঁর নামগন্ধ থাকবে না—এমন সব চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু জিয়াউর রহমানকে ইতিহাস ধারণ করেছে। তাঁকে মুছে ফেলা যাবে না। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে চীন সফরের স্মৃতি রোমন্থন করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, যখন চীনা প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে খালেদা জিয়া আসছেন পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য, তারেক রহমান তখন উপস্থিত ছিলেন। চীনের প্রধানমন্ত্রী সামনে এসে বললেন, ‘মাই সান’। চীনের প্রধানমন্ত্রী তারেক রহমানের হাত শক্ত করে ধরে বললেন, ‘ক্যারি দ্য ফ্ল্যাগ অব ইয়োর ফাদার অ্যান্ড মাদার’। আজ তারেক রহমান সেই পতাকা তুলেছেন, যে পতাকা হচ্ছে স্বাধীনতার পতাকা। যে পতাকা হচ্ছে এই দেশের মানুষের অধিকারের পতাকা। গণতন্ত্রের পতাকা, উন্নয়নের পতাকা।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে নিশ্চয়ই এই বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করব। এবং গণতন্ত্রকে আরও উজ্জীবিত করব। অর্থনীতিকে গণতান্ত্রিকীকরণ করব।’

‘মহানায়ক শহীদ জিয়া’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, উপদেষ্টা ও কবি আব্দুল হাই শিকদার (গ্রন্থের সম্পাদক), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও সাবেক রাষ্ট্রদূত ড. আনোয়ার উল্ল্যাহ চৌধুরী, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ আলমগীর পাভেল, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নির্বাচন যাতে পিছিয়ে যায় তার অপচেষ্টা করছে কিছু দল : মির্জা ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০৩:৩৪:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশকে এগিয়ে নিতে এখন নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচন যাতে পিছিয়ে যায় তার অপচেষ্টা করছে কিছু রাজনৈতিক দল। দেশের ভালোর জন্য অতিদ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক সরকার দরকার।’

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলস্থ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি মিলনায়তনে ‘মহানায়ক শহিদ জিয়া’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন যেন পিছিয়ে যায়, সময়মত যেন নির্বাচন না হয় সে চেষ্টাই করছে কোনো কোনো দল। রাজনীতি ও অর্থনীতি, শিক্ষা ব্যবস্থাকে নতুন করে সাজাতে নির্বাচন দরকার।

তবে বিএনপি মহাসচিব কিছু রাজনৈতিক দলের মনোভাব নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, দুঃখজনকভাবে, কিছু রাজনৈতিক দল নানা টালবাহানা করে নির্বাচনকে পেছানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু জনগণ আর সেই পুরনো রাজনীতির ফাঁদে পা দেবে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা ধন্যবাদ জানাই এই সরকারকে, কারণ ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে তারা কিছু বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করতে সক্ষম হয়েছে।

কিছু রাজনৈতিক দল নানা টালবাহানা করে নির্বাচনকে পেছানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু জনগণ আর সেই পুরনো রাজনীতির ফাঁদে পা দেবে না এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, আজ আমরা এমন এক সময় অতিক্রম করছি, যখন গত ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনের কারণে দেশে অর্থনীতি ও রাজনীতি কার্যত ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। অন্তর্বর্তী সরকার এখন আমাদের সহযোগিতায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করছে, যার মাধ্যমে সব কিছু পুনরায় গুছিয়ে আনার প্রচেষ্টা চলছে।

বিএনপির ৩১ দফা রূপরেখার প্রসঙ্গ টানেন দলটির মহাসচিব। তিনি বলেন, সবকিছু মিলিয়ে বিএনপির জন্ম সংস্কারের মধ্যে। সংস্কারের মধ্য দিয়ে একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় শাসনব্যবস্থা নিয়ে এসেছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, জনগণের মৌলিক স্বাধীনতা, মেয়েদের লেখাপড়া, চাকরি দেওয়া, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা—সবই তো বিএনপির করা।

বাংলাদেশ থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের মাজার পর্যন্ত তুলে নিয়ে যাবে, তাঁর নামগন্ধ থাকবে না—এমন সব চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু জিয়াউর রহমানকে ইতিহাস ধারণ করেছে। তাঁকে মুছে ফেলা যাবে না। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে চীন সফরের স্মৃতি রোমন্থন করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, যখন চীনা প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে খালেদা জিয়া আসছেন পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য, তারেক রহমান তখন উপস্থিত ছিলেন। চীনের প্রধানমন্ত্রী সামনে এসে বললেন, ‘মাই সান’। চীনের প্রধানমন্ত্রী তারেক রহমানের হাত শক্ত করে ধরে বললেন, ‘ক্যারি দ্য ফ্ল্যাগ অব ইয়োর ফাদার অ্যান্ড মাদার’। আজ তারেক রহমান সেই পতাকা তুলেছেন, যে পতাকা হচ্ছে স্বাধীনতার পতাকা। যে পতাকা হচ্ছে এই দেশের মানুষের অধিকারের পতাকা। গণতন্ত্রের পতাকা, উন্নয়নের পতাকা।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে নিশ্চয়ই এই বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করব। এবং গণতন্ত্রকে আরও উজ্জীবিত করব। অর্থনীতিকে গণতান্ত্রিকীকরণ করব।’

‘মহানায়ক শহীদ জিয়া’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, উপদেষ্টা ও কবি আব্দুল হাই শিকদার (গ্রন্থের সম্পাদক), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও সাবেক রাষ্ট্রদূত ড. আনোয়ার উল্ল্যাহ চৌধুরী, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ আলমগীর পাভেল, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন প্রমুখ।