Dhaka বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন যত দেরি হবে, ষড়যন্ত্র তত বাড়বে : তারেক রহমান

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি : 

নির্বাচন যত দেরি হবে, ষড়যন্ত্র তত বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গায় জেলা বিএনপির সম্মেলনে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, নির্বাচন যত দেরিতে হবে, ততই ষড়যন্ত্র বাড়বে। কারণ আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারকে হটিয়েছি। কিন্তু হটিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার তো থেমে নেই। দেশী ও বিদেশী দোসরদের নিয়ে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। শুধুমাত্র একটি নির্বাচনের মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। দেশের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য নির্বাচিত প্রতিনিধি আর দরকার নির্বাচন। সেটি অন্তর্র্বতী সরকারের কাছে তুলে ধরতে হবে বলে জানান তিনি।

তারেক রহমান বলেন, দেশের রাজনীতির রুগ্ন বা অসুস্থ হলে, দেশের সবকিছু অসুস্থ হয়ে যায়। তাকিয়ে দেখুন, স্বৈরাচার সরকার সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে এই রাজনৈতিক রুগ্নতার মাধ্যমে।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, নির্বাচন, নির্বাচন, নির্বাচন দিন। দেশকে রক্ষা ও ভবিষ্যৎকে নিয়ে ভাবতে হলে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। সব রাজনৈতিক দল মিলে আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিচ্ছি। দেশের মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরে যেতে নির্বাচন প্রয়োজন।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য সংস্কারের প্রস্তাব ৩১ দফা দিয়েছি আমরা। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে, আরেকজন টেনে নিয়ে যাবে। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ও সত্যিকারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে পারলে, জনগণ তবেই জনপ্রতিনিধি বাছাই করতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।

‘অনেকের মনে প্রশ্ন আমরা কেন বার বার নির্বাচনের কথা বলছি’ জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্র্বতী সরকার একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে পারবে। এর ফলে সংসদের যারা জনপ্রতিনিধি বাছাই হয়ে আসবে, তারা সংসদে বসে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, কিভাবে দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরের সমস্যা সমাধান করা যায়।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দায়িত্ব নিতে হলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে আশপাশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। যদি এই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারা যায়, তবেই মানুষ আপনাদের দায়িত্ব দিবে, অন্যথায় দ্বিতীয়বার ভাববে।

তিনি বলেন, আজ সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে। এই সংস্কারের কথা বিএনপি বলেছে, আরো দুই বছর আগে। যে অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে এক যুগের বেশি সময় ধরে এদেশের মানুষ স্বপ্ন দেখে আসছিল, সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য দেশে নির্বাচন প্রয়োজন। দেশের মানুষের ক্ষমতাকে দেশের মানুষের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে নির্বাচন প্রয়োজন। এই দায়িত্ব বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের। মূল দায়িত্বটা তাদের।

বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে মন্তব্য করে বিএনপি নেতা দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, আপনারা বলেন, বিএনপি সবচেয়ে জনপ্রিয় জাতীয়তাবাদী দল। তাহলে আপনাদের প্রত্যেককে আজ নিজেদের সেইভাবে গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা হলো, অতীতে বিএনপি যখন রাষ্ট্র পরিচালনা করেছিল তখন এই দেশের মানুষের গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিল। এদেশে কৃষিকাজের বাইরে তেমন কাজ ছিল না। বিএনপি এদেশের মানুষকে খাদ্য রপ্তানির দেশে পরিণত করেছিল। আগে কোটি কোটি মানুষ বেকার ছিল। এক কোটিরও বেশি মানুষ আজ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেছে। এসব কারণেই মানুষ মনে করে বিএনপি দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, খুলনা বিএনপি ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলালসহ চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃবৃন্দ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সরকারের একটি অংশ নানা অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে : তারেক রহমান

নির্বাচন যত দেরি হবে, ষড়যন্ত্র তত বাড়বে : তারেক রহমান

প্রকাশের সময় : ০৬:২৬:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি : 

নির্বাচন যত দেরি হবে, ষড়যন্ত্র তত বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গায় জেলা বিএনপির সম্মেলনে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, নির্বাচন যত দেরিতে হবে, ততই ষড়যন্ত্র বাড়বে। কারণ আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারকে হটিয়েছি। কিন্তু হটিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার তো থেমে নেই। দেশী ও বিদেশী দোসরদের নিয়ে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। শুধুমাত্র একটি নির্বাচনের মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। দেশের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য নির্বাচিত প্রতিনিধি আর দরকার নির্বাচন। সেটি অন্তর্র্বতী সরকারের কাছে তুলে ধরতে হবে বলে জানান তিনি।

তারেক রহমান বলেন, দেশের রাজনীতির রুগ্ন বা অসুস্থ হলে, দেশের সবকিছু অসুস্থ হয়ে যায়। তাকিয়ে দেখুন, স্বৈরাচার সরকার সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে এই রাজনৈতিক রুগ্নতার মাধ্যমে।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, নির্বাচন, নির্বাচন, নির্বাচন দিন। দেশকে রক্ষা ও ভবিষ্যৎকে নিয়ে ভাবতে হলে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। সব রাজনৈতিক দল মিলে আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিচ্ছি। দেশের মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরে যেতে নির্বাচন প্রয়োজন।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য সংস্কারের প্রস্তাব ৩১ দফা দিয়েছি আমরা। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে, আরেকজন টেনে নিয়ে যাবে। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ও সত্যিকারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে পারলে, জনগণ তবেই জনপ্রতিনিধি বাছাই করতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।

‘অনেকের মনে প্রশ্ন আমরা কেন বার বার নির্বাচনের কথা বলছি’ জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্র্বতী সরকার একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে পারবে। এর ফলে সংসদের যারা জনপ্রতিনিধি বাছাই হয়ে আসবে, তারা সংসদে বসে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, কিভাবে দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরের সমস্যা সমাধান করা যায়।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দায়িত্ব নিতে হলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে আশপাশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। যদি এই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারা যায়, তবেই মানুষ আপনাদের দায়িত্ব দিবে, অন্যথায় দ্বিতীয়বার ভাববে।

তিনি বলেন, আজ সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে। এই সংস্কারের কথা বিএনপি বলেছে, আরো দুই বছর আগে। যে অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে এক যুগের বেশি সময় ধরে এদেশের মানুষ স্বপ্ন দেখে আসছিল, সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য দেশে নির্বাচন প্রয়োজন। দেশের মানুষের ক্ষমতাকে দেশের মানুষের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে নির্বাচন প্রয়োজন। এই দায়িত্ব বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের। মূল দায়িত্বটা তাদের।

বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে মন্তব্য করে বিএনপি নেতা দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, আপনারা বলেন, বিএনপি সবচেয়ে জনপ্রিয় জাতীয়তাবাদী দল। তাহলে আপনাদের প্রত্যেককে আজ নিজেদের সেইভাবে গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা হলো, অতীতে বিএনপি যখন রাষ্ট্র পরিচালনা করেছিল তখন এই দেশের মানুষের গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিল। এদেশে কৃষিকাজের বাইরে তেমন কাজ ছিল না। বিএনপি এদেশের মানুষকে খাদ্য রপ্তানির দেশে পরিণত করেছিল। আগে কোটি কোটি মানুষ বেকার ছিল। এক কোটিরও বেশি মানুষ আজ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেছে। এসব কারণেই মানুষ মনে করে বিএনপি দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, খুলনা বিএনপি ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলালসহ চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃবৃন্দ।