ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা ও আখাউড়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন ভণ্ডুল করার জন্য সারাবিশ্বে টাকা ছড়াচ্ছে এবং দেশের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা পশ্চিম ইউনিয়নের আকছিনা বাজার মাঠে নির্বাচনী গণসংযোগ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, যখনই ভোট হয় তখনই বিএনপি-জামায়াত বলে আমরা ভোট করব না। কারণ, বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশের উন্নয়ন চায় না। দেশের মানুষ সুখে-শান্তিতে থাকুক সেটা চায় না।
আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দল বা কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। দেশের মানুষ ভোট দিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ প্রতিনিধি বেছে নেবে। যদি বাংলাদেশের ভূখণ্ডে কেউ অপরাধ করে বাংলাদেশের আইনে তার বিচার অবশ্যই হবে।
তিনি বলেন, যদি বাংলাদেশের ভূখণ্ডে কেউ অপরাধ করে তাহলে দেশের আইনে তার বিচার হবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আপনারা ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। আপনাদের প্রতিনিধি ভবিষ্যৎ দেখবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গুবন্ধু কন্যা বাংলাদেশকে মিসকিনের দেশ থেকে উন্নয়নের রোল মডেল করেছেন। আপনাদের জন্য সম্মান এনে দিয়েছেন। আপনাদের জন্য মর্যাদা এনে দিয়েছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার সেবামূলক সরকার পদ্মা সেতু করতে গেছে বিশ্বব্যাংক বলেছে টাকা দিবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেছে বাংলাদেশের জনগণের টাকায় পদ্মা সেতু করব। আমরা জনগণের টাকায় পদ্মা সেতু করেছি। ভিক্ষা করি নাই। আমরা বঙ্গবন্ধু টানেল করেছে। শতভাগ বিদ্যুতায়ন করেছি। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ২ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করেছি। বিধবা ভাতা, মানুষের চাকরির সংস্থান করা এগুলো সবই গত ১৫ বছরে হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্যই ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি ভোটের প্রয়োজন। যখনই ভোট হয়, যখনই ভোট করতে যায়, তখনই এই বিএনপি-জামায়াত বলে আমরা ভোট করব না, কেন? কারণ এই বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশের উন্নয়ন চায় না, বাংলাদেশের উন্নতি চায় না, বাংলাদেশের মানুষ সুখে-শান্তিতে থাকুক চায় না। ২০০২ সালে বিএনপির তখনকার অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান বলেছিলেন গ্যাস বিক্রি করে দেবেন। তারপর যখন বলা হল, আপনাদের গ্যাস বিক্রি করতে দেওয়া হবে না। তখন ওনি বললেন ‘‘মাটির তলায় গ্যাস রেখে কি হইব।’’ আজকে সেই গ্যাস দিয়ে শেখ হাসিনার সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে এবং বাংলাদেশে শতভাগ বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছেন। ওই গ্যাস বিক্রি করতে পারলে ওনাদের পকেট ভরত, আর লন্ডন শহরে বাড়ি হত।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৯ সালে যখন প্রধানমন্ত্রী দারিদ্রতা কমানোর চেষ্টা করে বিএনপি নেতা সাইফুর রহমান তখন বলে দরিদ্র কমলে, বাংলাদেশের উন্নয়ন হইলে, বাংলাদেশের ক্ষতি হবে। কি ক্ষতি হইবে কারণ উন্নয়ন হইলে বিদেশ থেকে ভিক্ষা আসবে না। এই ছিল তাদের দৃষ্টিভঙ্গি। এই দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে আর চলবে না। এখন তারা আসছে এই নির্বাচনকে ভন্ডুল করার জন্য। সারাবিশ্বে তারা এখন টাকা ছড়াইতেছে, আর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করতেছে। যারা লুট করে নিয়ে গেছে তাদের কাছ থেকে বিদেশি সাংবাদিকরা টাকার বিনিময়ে চিঠি লেখছে।
কসবা পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজাদ সরকারের সভাপতিত্বে ও সাধরণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া মিলনের সঞ্চালনায় নির্বাচনী পথসভায় কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও পৌর মেয়র এম জি হাক্কানী, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি সাইদুর রহমান স্বপন, কাজী আজহারুল ইসলাম, রুহুল আমিন ভূইয়া, সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য এম এ আজিজ, কসবা পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. সফিকুল ইসলাম সরকার, কসবা পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান মানিক, বাদৈর ইউপি চেয়ারম্যান শিপন আহমেদ ভূঁইয়াসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।