Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে আন্তর্জাতিকভাবে অনেকে জড়িত: প্রধানমন্ত্রী

গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে আন্তর্জাতিকভাবে অনেকে জড়িত। নির্বাচনে জয়ী হলে লন্ডনে বসে বাসে আগুন দেয়ার হুকুমদাতাকে ধরে এনে বিচার করা হবে। এই বাংলাদেশকে নিয়ে যে স্বপ্ন ছিল আমার বাবার, আমি প্রাণপণ চেষ্টা করে গেছি। আমি নিজের দিকে তাকাইনি।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় এ কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এই নির্বাচন খুব শান্তিপূর্ণভাবে হতে হবে। এই নির্বাচন যাতে না হয় তা নিয়ে যে চক্রান্ত, তার সমুচিত জবাব ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা দেব। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না।

বিএনপির সমালোচনাও করে বলেন, বিএনপি-জামায়াত আগুন দিয়ে মানুষ মারে। এটা বন্ধ করতে হবে। যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে তাদের ধরিয়ে দিন। জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থেকে টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাঠিয়েছে। কিন্তু ভাগ্য পরিবর্তনে আওয়ামী লীগ যখনই কাজ শুরু করে বিএনপি তখন বারবার বাধা সৃষ্টি করেছে। তারপরও আপনারা আমাকে আগলে রেখেছেন। সেজন্য আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বাংলাদেশ শিক্ষায়, জ্ঞান বিজ্ঞানে প্রযুক্তিতে উন্নত সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে বিশ্বে দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে। কারও কাছে মাথা নত করে নয়। আজকে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয় ওই বিএনপি-জামায়াত জোট মিলে অগ্নি সন্ত্রাস শুরু করেছে, মানুষ হত্যা শুরু করেছে। ট্রেনের ভেতর আগুন দিয়ে মা-শিশুকে পুড়িয়ে মারছে। রাস্তা-ঘাটে যেখানে সেখানে আগুন দিচ্ছে। এই দুর্বৃত্ত পরায়ণতা আমাদের বন্ধ করতে হবে। কাজেই যে যেখানেই আছেন, এই আগুন যারা দেয়, ক্ষতিগ্রস্ত যারা করে, নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করে। ওদেরকে ধরিয়ে দিন, ওদেরকে উপযুক্ত শাস্তি দিন। সেইটাই সবার প্রতি আমার আহ্বান।

১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায়ের দিনও বিচারক যাতে কোর্টে যেতে না পারে সেজন্য হরতাল ডেকে খালেদা জিয়া বাধা দিয়েছিল জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এ বিচার করতে গিয়ে অনেক বাধা এসেছে। কিন্তু আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আপনাদের ভোটে ২০০৮ সালে নির্বাচিত হয়ে দেশ কলঙ্কমুক্ত করেছি।

সরকারপ্রধান বলেন, জিয়াউর রহমানসহ পাকিস্তানি দোসরদের চক্রান্তে ১৫ আগস্ট আমরা আপনজন হারিয়েছিলাম। আমাদের দাঁড়ানোর জায়গা ছিল না। আমি খুনিদের বিচার করেছি। আমাকে অনেকেই তখন বলেছিল তুমি পারবে না, তোমাকেও ওরা মেরে ফেলবে। আমি বলেছি, জীবনের মায়া করি না। কিন্তু অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যাব। বিচারহীনতার সংস্কৃতি এ দেশে চলতে পারে না। খুনিদের বিচার এ দেশে হবে।

নতুন ভোটার সবাইকে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের যারা নতুন ভোটার তাদের প্রতি আমার আহ্বান, এই ভোট যেন ব্যর্থ না হয়। তাই যারা নতুন ভোটার শুধু কোটালীপাড়া বা টঙ্গীপাড়া নয়, সারা বাংলাদেশের নতুন ভোটারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে সরকার গঠন করার সুযোগ করে দিয়ে দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় সাহায্য করতে হবে। কারণ তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের অগ্রগতি, এটাই আমরা বিশ্বাস করি।

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে কেউ ভূমিহীন থাকবে না। বাবার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করবেন। তার মুখে এগুলো শুনে শুনে বড় হয়েছি।

তিনি বলেন, এই নির্বাচন খুব শান্তিপূর্ণভাবে হতে হবে। এই নির্বাচন যাতে না হয় তা নিয়ে যে চক্রান্ত, তার সমুচিত জবাব ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা দেব। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি উন্নয়নের কথা বলতে চাই না। যেটা হয়েছে সেটা আপনারা নিজেরাই জানেন। দেশটা বদলে গেছে এখন। আমি চাই আমাদের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া শিখবে। তারা দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে উঠবে। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ করব।

ভোটারদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা সবাই কেন্দ্রে এসে ভোট দিয়ে বিশ্বকে দেখাবেন যে এই নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং আমরা তা করতে জানি ও করতে পারি। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন আমরা করতে পারি।

তিনি বলেন, আমরা চাই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হোক।’ এসময় আওয়ামী লীগ সভাপতি টুঙ্গিপাড়াবাসীর সমর্থনকে নিজের শক্তি হিসেবে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ৩০০ আসন দেখি। আর আমাকে দেখেন আপনারা। কাজেই এটাই হচ্ছে আমার সব থেকে বড় পাওয়া, আমার মতো একজন সৌভাগ্যবান প্রার্থী বাংলাদেশে আর নেই। এটা হলো বাস্তবতা। তার কারণ আপনারা। আপনারাই আমার দায়িত্ব নেন। আপনারা আমাকে দায়মুক্ত করে রেখেছেন বলেই বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে আমরা কাজ করতে পারছি।

এসময় শেখ হাসিনা বলেন, একজন প্রার্থী হিসেবে নৌকা মার্কায় ভোট চাই, ভোট দেবেন তো?

তার এই প্রশ্নের উত্তরে সমস্বরে চিৎকার করে জনতা দুই হাত তুলে ভোট প্রদানের সম্মতি জানায়। এসময় প্রতিউত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, আমি জানি আপনারা (ভোট) দেবেন।

কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।

এর আগে বেলা সোয়া ১১টার দিকে টুঙ্গিপাড়ার জনসভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। ওই সময় শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা জনসভাস্থলে পৌঁছালে হাজার হাজার মানুষ তাদের অভিনন্দন জানান। একই সময় প্রধানমন্ত্রী ও তার বোন হাত উঁচু করেন এবং মঞ্চে ঘুরে ঘুরে জনসভায় উপস্থিত জনসাধারণের অভিবাদনের জবাব দেন।

শনিবার সকাল থেকেই টুঙ্গিপাড়াসহ আশপাশের এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজ মাঠে আসতে শুরু করেন। এতে সকাল সোয়া ৯টার মধ্যেই লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে পুরো জনসভাস্থল।

টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত গোপালগঞ্জ-৩ প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী আসন। তাই নিজের জন্য ভোট চাইতে এলাকায় ছুটে যান শেখ হাসিনা। গোপালগঞ্জে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে আওয়ামী লীগ সভাপতি মাদারীপুরে দলের জনসভায় বক্তব্য দেবেন।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে আন্তর্জাতিকভাবে অনেকে জড়িত: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৪:০৬:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩

গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে আন্তর্জাতিকভাবে অনেকে জড়িত। নির্বাচনে জয়ী হলে লন্ডনে বসে বাসে আগুন দেয়ার হুকুমদাতাকে ধরে এনে বিচার করা হবে। এই বাংলাদেশকে নিয়ে যে স্বপ্ন ছিল আমার বাবার, আমি প্রাণপণ চেষ্টা করে গেছি। আমি নিজের দিকে তাকাইনি।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় এ কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এই নির্বাচন খুব শান্তিপূর্ণভাবে হতে হবে। এই নির্বাচন যাতে না হয় তা নিয়ে যে চক্রান্ত, তার সমুচিত জবাব ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা দেব। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না।

বিএনপির সমালোচনাও করে বলেন, বিএনপি-জামায়াত আগুন দিয়ে মানুষ মারে। এটা বন্ধ করতে হবে। যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে তাদের ধরিয়ে দিন। জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থেকে টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাঠিয়েছে। কিন্তু ভাগ্য পরিবর্তনে আওয়ামী লীগ যখনই কাজ শুরু করে বিএনপি তখন বারবার বাধা সৃষ্টি করেছে। তারপরও আপনারা আমাকে আগলে রেখেছেন। সেজন্য আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বাংলাদেশ শিক্ষায়, জ্ঞান বিজ্ঞানে প্রযুক্তিতে উন্নত সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে বিশ্বে দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে। কারও কাছে মাথা নত করে নয়। আজকে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয় ওই বিএনপি-জামায়াত জোট মিলে অগ্নি সন্ত্রাস শুরু করেছে, মানুষ হত্যা শুরু করেছে। ট্রেনের ভেতর আগুন দিয়ে মা-শিশুকে পুড়িয়ে মারছে। রাস্তা-ঘাটে যেখানে সেখানে আগুন দিচ্ছে। এই দুর্বৃত্ত পরায়ণতা আমাদের বন্ধ করতে হবে। কাজেই যে যেখানেই আছেন, এই আগুন যারা দেয়, ক্ষতিগ্রস্ত যারা করে, নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করে। ওদেরকে ধরিয়ে দিন, ওদেরকে উপযুক্ত শাস্তি দিন। সেইটাই সবার প্রতি আমার আহ্বান।

১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায়ের দিনও বিচারক যাতে কোর্টে যেতে না পারে সেজন্য হরতাল ডেকে খালেদা জিয়া বাধা দিয়েছিল জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এ বিচার করতে গিয়ে অনেক বাধা এসেছে। কিন্তু আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আপনাদের ভোটে ২০০৮ সালে নির্বাচিত হয়ে দেশ কলঙ্কমুক্ত করেছি।

সরকারপ্রধান বলেন, জিয়াউর রহমানসহ পাকিস্তানি দোসরদের চক্রান্তে ১৫ আগস্ট আমরা আপনজন হারিয়েছিলাম। আমাদের দাঁড়ানোর জায়গা ছিল না। আমি খুনিদের বিচার করেছি। আমাকে অনেকেই তখন বলেছিল তুমি পারবে না, তোমাকেও ওরা মেরে ফেলবে। আমি বলেছি, জীবনের মায়া করি না। কিন্তু অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যাব। বিচারহীনতার সংস্কৃতি এ দেশে চলতে পারে না। খুনিদের বিচার এ দেশে হবে।

নতুন ভোটার সবাইকে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের যারা নতুন ভোটার তাদের প্রতি আমার আহ্বান, এই ভোট যেন ব্যর্থ না হয়। তাই যারা নতুন ভোটার শুধু কোটালীপাড়া বা টঙ্গীপাড়া নয়, সারা বাংলাদেশের নতুন ভোটারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে সরকার গঠন করার সুযোগ করে দিয়ে দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় সাহায্য করতে হবে। কারণ তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের অগ্রগতি, এটাই আমরা বিশ্বাস করি।

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে কেউ ভূমিহীন থাকবে না। বাবার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করবেন। তার মুখে এগুলো শুনে শুনে বড় হয়েছি।

তিনি বলেন, এই নির্বাচন খুব শান্তিপূর্ণভাবে হতে হবে। এই নির্বাচন যাতে না হয় তা নিয়ে যে চক্রান্ত, তার সমুচিত জবাব ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা দেব। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি উন্নয়নের কথা বলতে চাই না। যেটা হয়েছে সেটা আপনারা নিজেরাই জানেন। দেশটা বদলে গেছে এখন। আমি চাই আমাদের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া শিখবে। তারা দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে উঠবে। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ করব।

ভোটারদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা সবাই কেন্দ্রে এসে ভোট দিয়ে বিশ্বকে দেখাবেন যে এই নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং আমরা তা করতে জানি ও করতে পারি। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন আমরা করতে পারি।

তিনি বলেন, আমরা চাই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হোক।’ এসময় আওয়ামী লীগ সভাপতি টুঙ্গিপাড়াবাসীর সমর্থনকে নিজের শক্তি হিসেবে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ৩০০ আসন দেখি। আর আমাকে দেখেন আপনারা। কাজেই এটাই হচ্ছে আমার সব থেকে বড় পাওয়া, আমার মতো একজন সৌভাগ্যবান প্রার্থী বাংলাদেশে আর নেই। এটা হলো বাস্তবতা। তার কারণ আপনারা। আপনারাই আমার দায়িত্ব নেন। আপনারা আমাকে দায়মুক্ত করে রেখেছেন বলেই বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে আমরা কাজ করতে পারছি।

এসময় শেখ হাসিনা বলেন, একজন প্রার্থী হিসেবে নৌকা মার্কায় ভোট চাই, ভোট দেবেন তো?

তার এই প্রশ্নের উত্তরে সমস্বরে চিৎকার করে জনতা দুই হাত তুলে ভোট প্রদানের সম্মতি জানায়। এসময় প্রতিউত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, আমি জানি আপনারা (ভোট) দেবেন।

কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।

এর আগে বেলা সোয়া ১১টার দিকে টুঙ্গিপাড়ার জনসভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। ওই সময় শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা জনসভাস্থলে পৌঁছালে হাজার হাজার মানুষ তাদের অভিনন্দন জানান। একই সময় প্রধানমন্ত্রী ও তার বোন হাত উঁচু করেন এবং মঞ্চে ঘুরে ঘুরে জনসভায় উপস্থিত জনসাধারণের অভিবাদনের জবাব দেন।

শনিবার সকাল থেকেই টুঙ্গিপাড়াসহ আশপাশের এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজ মাঠে আসতে শুরু করেন। এতে সকাল সোয়া ৯টার মধ্যেই লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে পুরো জনসভাস্থল।

টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত গোপালগঞ্জ-৩ প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী আসন। তাই নিজের জন্য ভোট চাইতে এলাকায় ছুটে যান শেখ হাসিনা। গোপালগঞ্জে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে আওয়ামী লীগ সভাপতি মাদারীপুরে দলের জনসভায় বক্তব্য দেবেন।