Dhaka বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন বানচালের নামে যারা অগ্নিসন্ত্রাস করছে তাদের ক্ষমা নেই : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন বানচালের নামে যারা অগ্নিসন্ত্রাস করছে তাদের ক্ষমা নেই। দেশের মানুষ তাদেরকে ক্ষমা করবে না।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন চায় না। তারা নির্বাচন করতে দেবে না বলে আগেও আগুন দিয়েছে এখনো দিচ্ছে। আগুন সন্ত্রাস ও আগুন নিয়ে খেলা দেশের মানুষ মেনে নেবে না। দেশের মানুষ তাদের প্রতিহত করবে। দেশের মানুষ নির্বাচন বানচাল করতে দেবে না।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, দেশে অনেকেই ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু দেশের মানুষের জন্য কিছুই করেনি। আওয়ামী লীগ বাদে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা শ্রমিকদের জন্য কী করেছে? যা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার করেছে। আওয়ামী লীগের হাত ধরেই দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি ২০০৬ সালে এক কোটি ভুয়া ভোটার তালিকা তৈরি করে নির্বাচন ম্যানিপুলেট করার চেষ্টা করে। কিন্তু সেই নির্বাচন বানচাল হয়ে যাওয়ায় তারা তা করতে পারেনি। এর ফলে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। কাজেই ভোট চুরি করলে এ দেশের মানুষ মেনে নেয় না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অস্ত্র হাতে রাতের অন্ধকারে না, ভোটের মধ্য দিয়ে সরকার গঠন হবে। সবসময় আমাদের লক্ষ্য ছিল জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা। নির্বাচন জনগণের অধিকার। যাকে ভোট দিয়ে জনগণ নির্বাচিত করবে, তারা দেশ চালাবে।

ভোট চুরির অপরাধে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে পদত্যাগ করতে হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৯৬’ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচন করার কারণে জনগণের আন্দোলনের মুখে দেড় মাসের মধ্যে খালেদা জিয়া পদত্যাগ করতে হয়। আবার ২০০১ সালে গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে দালালি করে ক্ষমতায় এসেছিল। ক্ষমতায় এসে তারা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস-দুর্নীতি ও মানুষের ওপর অত্যাচার করেছিল। যার কারণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সরকারে আসার পর থেকে একের পর এক নির্বাচন হয়েছে। এখানে নানা ধরনের অনিয়ম দেখেছি। যখনই আমরা সুযোগ পেয়েছি সেগুলো সংশোধন করে জনগণের ভোটের অধিকার যাতে নিশ্চিত হয়, তার ব্যবস্থা করেছি। নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি আইন পর্যন্ত করে দিলাম। আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে।

তিনি বলেন, ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’— এই স্লোগান দিয়ে আমরা মানুষকে তাদের ভোটের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করি এবং ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করি।

তিনি আরও বলেন, জনগণের যে ক্ষমতা ক্যান্টনমেন্টে বন্দি ছিল, আমরা সেই ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছি। আওয়ামী লীগ ও আমাদের যে দলগুলো নিয়ে জোট করি, সে জোটের মাধ্যমে ফিরিয়ে দিয়েছি। প্রথমে পাঁচ বছর ক্ষমতা, তখন ছিলাম দেশের অনেক অগ্রগতি করেছিলাম। কিন্তু পরবর্তী সময়ে দেশের স্বার্থ বিক্রি করতে চায়নি বলে ক্ষমতা আসতে পারেনি। ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। তারপর থেকে বাংলাদেশ একটি জঙ্গি, দুর্নীতির দেশ এবং আরও ভয়াবহ পরিস্থিতিতে উপনীত হয়। সেসব প্রতিঘাত পার হয়ে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এককভাবে ২৩৩টি আসন পায়। সেবার বিএনপি আসন পেয়েছিল মাত্র ৩০টি।

সরকারপ্রধান বলেন, সুপরিকল্পনা নিয়ে আমরা রাষ্ট্র পরিচালনায় শুরু করি। কারণ বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ একমাত্র রাজনৈতিক দল… যারা অর্থনৈতিক নীতিমালা সেটিও আমরা নতুনভাবে গ্রহণ করি যে, আমরা সরকারে গেলে কীভাবে এ দেশের উন্নতি করব। আমাদের উন্নয়নের পরিকল্পনা সবসময় তৃণমূল মানুষদের কথা মাথায় রেখে করা হয়।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, শুধুমাত্র মুষ্টিমেয় লোক লাভবান হবে— মিলিটারি ডিটেক্টররা ক্ষমতা আসলেই এমন কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করত। তারা কিছু এলিট শ্রেণি তৈরি করে তাদের হাতে ব্যবসা-বাণিজ্য, ধন-সম্পদ তুলে দিয়ে তাদের ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করত। তবে আমাদের লক্ষ্য সেটি ছিল না। আমাদের লক্ষ্য ছিল জনতার ক্ষমতায়ন। গ্রাম পর্যায়ের মানুষ যেন ক্ষমতা পায় সেই ব্যবস্থাটাই করা।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক নীতিমালার বিরাট পরিবর্তন আমরাই নিয়ে আসি। যেটা আমাদের সংবিধানের ১৩ নম্বর অনুচ্ছেদ… যে সংবিধান জাতির পিতা স্বাধীনতার পর মাত্র নয় মাসের মধ্যে প্রণয়ন করেন এবং পরে দশ মাসের মধ্যে যে সংবিধান কার্যকর হয়। এই সংবিধানের ১৩ নম্বর অনুচ্ছেদে আমাদের অর্থনৈতিক নীতিমালা স্পষ্ট ছিল যে, জাতীয়করণ হবে।

তিনি বলেন, এর হলো মানে সরকারি, সমবায় ও বেসরকারি এই তিনটি খাতকে গুরুত্ব দেওয়া। সেটি অনুসরণ করেই আমরা অর্থনৈতিক খাতের নীতিমালা প্রণয়ন করি। আমরা সরকারে আসার পর সেই ঠিক সেভাবে বাস্তবায়ন শুরু করি এবং ব্যাপক হারে বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দেই। আমার লক্ষ্য একটাই ছিল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা… যেন মানুষ কাজ পায় ও করার সুযোগ পায়।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আগুন সন্ত্রাস করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না। দেশের মানুষ ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের সরকার নির্বাচন করবে। এখন অতি বাম আর অতি ডান এক হয়ে গিয়েছে, কে কার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে না।

এ সময় আওয়ামী লীগের সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। বলেন, অনেকগুলো জেলা ও উপজেলা এখন ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত। তাছাড়া আওয়ামী লীগ সরকার ছাড়া যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা কেউই কোনোদিন শ্রমিকদের মজুরি বাড়ায়নি।

শেখ হাসিনা বলেন, যারা অগ্নিসন্ত্রাস করে এ দেশে মানুষ পুড়িয়ে মারে, তারা ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আগ্রাসন নিয়ে কিছু বলছে না। নির্বাচন বানচাল করতে যারা অগ্নিসন্ত্রাস করছে তাদের ক্ষমা নেই। এসব বরদাশত করা হবে না। নির্বাচন জনগণের অধিকার।

প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে তিনি আরও বলেন, বিএনপির নেতৃত্ব কোথায়? খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য কোর্টের অনুমতি না নিয়ে এরা আন্দোলনের চেষ্টা করে। বিএনপি ইলেকশন করতে চায় না। অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার মানুষ এদের অভিশাপ দিচ্ছে।

শনিবার থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হবে। এদিন সকাল ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলীয় কার্যালয় থেকে নিজের মনোনয়ন ফরম কিনবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নির্বাচিত সরকার না হলে দেশে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না : আমীর খসরু

নির্বাচন বানচালের নামে যারা অগ্নিসন্ত্রাস করছে তাদের ক্ষমা নেই : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৪:৫৭:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন বানচালের নামে যারা অগ্নিসন্ত্রাস করছে তাদের ক্ষমা নেই। দেশের মানুষ তাদেরকে ক্ষমা করবে না।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন চায় না। তারা নির্বাচন করতে দেবে না বলে আগেও আগুন দিয়েছে এখনো দিচ্ছে। আগুন সন্ত্রাস ও আগুন নিয়ে খেলা দেশের মানুষ মেনে নেবে না। দেশের মানুষ তাদের প্রতিহত করবে। দেশের মানুষ নির্বাচন বানচাল করতে দেবে না।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, দেশে অনেকেই ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু দেশের মানুষের জন্য কিছুই করেনি। আওয়ামী লীগ বাদে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা শ্রমিকদের জন্য কী করেছে? যা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার করেছে। আওয়ামী লীগের হাত ধরেই দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি ২০০৬ সালে এক কোটি ভুয়া ভোটার তালিকা তৈরি করে নির্বাচন ম্যানিপুলেট করার চেষ্টা করে। কিন্তু সেই নির্বাচন বানচাল হয়ে যাওয়ায় তারা তা করতে পারেনি। এর ফলে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। কাজেই ভোট চুরি করলে এ দেশের মানুষ মেনে নেয় না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অস্ত্র হাতে রাতের অন্ধকারে না, ভোটের মধ্য দিয়ে সরকার গঠন হবে। সবসময় আমাদের লক্ষ্য ছিল জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা। নির্বাচন জনগণের অধিকার। যাকে ভোট দিয়ে জনগণ নির্বাচিত করবে, তারা দেশ চালাবে।

ভোট চুরির অপরাধে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে পদত্যাগ করতে হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৯৬’ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচন করার কারণে জনগণের আন্দোলনের মুখে দেড় মাসের মধ্যে খালেদা জিয়া পদত্যাগ করতে হয়। আবার ২০০১ সালে গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে দালালি করে ক্ষমতায় এসেছিল। ক্ষমতায় এসে তারা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস-দুর্নীতি ও মানুষের ওপর অত্যাচার করেছিল। যার কারণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সরকারে আসার পর থেকে একের পর এক নির্বাচন হয়েছে। এখানে নানা ধরনের অনিয়ম দেখেছি। যখনই আমরা সুযোগ পেয়েছি সেগুলো সংশোধন করে জনগণের ভোটের অধিকার যাতে নিশ্চিত হয়, তার ব্যবস্থা করেছি। নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি আইন পর্যন্ত করে দিলাম। আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে।

তিনি বলেন, ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’— এই স্লোগান দিয়ে আমরা মানুষকে তাদের ভোটের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করি এবং ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করি।

তিনি আরও বলেন, জনগণের যে ক্ষমতা ক্যান্টনমেন্টে বন্দি ছিল, আমরা সেই ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছি। আওয়ামী লীগ ও আমাদের যে দলগুলো নিয়ে জোট করি, সে জোটের মাধ্যমে ফিরিয়ে দিয়েছি। প্রথমে পাঁচ বছর ক্ষমতা, তখন ছিলাম দেশের অনেক অগ্রগতি করেছিলাম। কিন্তু পরবর্তী সময়ে দেশের স্বার্থ বিক্রি করতে চায়নি বলে ক্ষমতা আসতে পারেনি। ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। তারপর থেকে বাংলাদেশ একটি জঙ্গি, দুর্নীতির দেশ এবং আরও ভয়াবহ পরিস্থিতিতে উপনীত হয়। সেসব প্রতিঘাত পার হয়ে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এককভাবে ২৩৩টি আসন পায়। সেবার বিএনপি আসন পেয়েছিল মাত্র ৩০টি।

সরকারপ্রধান বলেন, সুপরিকল্পনা নিয়ে আমরা রাষ্ট্র পরিচালনায় শুরু করি। কারণ বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ একমাত্র রাজনৈতিক দল… যারা অর্থনৈতিক নীতিমালা সেটিও আমরা নতুনভাবে গ্রহণ করি যে, আমরা সরকারে গেলে কীভাবে এ দেশের উন্নতি করব। আমাদের উন্নয়নের পরিকল্পনা সবসময় তৃণমূল মানুষদের কথা মাথায় রেখে করা হয়।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, শুধুমাত্র মুষ্টিমেয় লোক লাভবান হবে— মিলিটারি ডিটেক্টররা ক্ষমতা আসলেই এমন কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করত। তারা কিছু এলিট শ্রেণি তৈরি করে তাদের হাতে ব্যবসা-বাণিজ্য, ধন-সম্পদ তুলে দিয়ে তাদের ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করত। তবে আমাদের লক্ষ্য সেটি ছিল না। আমাদের লক্ষ্য ছিল জনতার ক্ষমতায়ন। গ্রাম পর্যায়ের মানুষ যেন ক্ষমতা পায় সেই ব্যবস্থাটাই করা।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক নীতিমালার বিরাট পরিবর্তন আমরাই নিয়ে আসি। যেটা আমাদের সংবিধানের ১৩ নম্বর অনুচ্ছেদ… যে সংবিধান জাতির পিতা স্বাধীনতার পর মাত্র নয় মাসের মধ্যে প্রণয়ন করেন এবং পরে দশ মাসের মধ্যে যে সংবিধান কার্যকর হয়। এই সংবিধানের ১৩ নম্বর অনুচ্ছেদে আমাদের অর্থনৈতিক নীতিমালা স্পষ্ট ছিল যে, জাতীয়করণ হবে।

তিনি বলেন, এর হলো মানে সরকারি, সমবায় ও বেসরকারি এই তিনটি খাতকে গুরুত্ব দেওয়া। সেটি অনুসরণ করেই আমরা অর্থনৈতিক খাতের নীতিমালা প্রণয়ন করি। আমরা সরকারে আসার পর সেই ঠিক সেভাবে বাস্তবায়ন শুরু করি এবং ব্যাপক হারে বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দেই। আমার লক্ষ্য একটাই ছিল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা… যেন মানুষ কাজ পায় ও করার সুযোগ পায়।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আগুন সন্ত্রাস করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না। দেশের মানুষ ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের সরকার নির্বাচন করবে। এখন অতি বাম আর অতি ডান এক হয়ে গিয়েছে, কে কার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে না।

এ সময় আওয়ামী লীগের সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। বলেন, অনেকগুলো জেলা ও উপজেলা এখন ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত। তাছাড়া আওয়ামী লীগ সরকার ছাড়া যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা কেউই কোনোদিন শ্রমিকদের মজুরি বাড়ায়নি।

শেখ হাসিনা বলেন, যারা অগ্নিসন্ত্রাস করে এ দেশে মানুষ পুড়িয়ে মারে, তারা ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আগ্রাসন নিয়ে কিছু বলছে না। নির্বাচন বানচাল করতে যারা অগ্নিসন্ত্রাস করছে তাদের ক্ষমা নেই। এসব বরদাশত করা হবে না। নির্বাচন জনগণের অধিকার।

প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে তিনি আরও বলেন, বিএনপির নেতৃত্ব কোথায়? খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য কোর্টের অনুমতি না নিয়ে এরা আন্দোলনের চেষ্টা করে। বিএনপি ইলেকশন করতে চায় না। অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার মানুষ এদের অভিশাপ দিচ্ছে।

শনিবার থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হবে। এদিন সকাল ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলীয় কার্যালয় থেকে নিজের মনোনয়ন ফরম কিনবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।