Dhaka শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন প্রতিহতকারীদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্বাচন প্রতিহতকারীদের যুক্তরাষ্ট্রকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যারা বাংলাদেশে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করছে এবং যারা নির্বাচনকে প্রতিহত করার অপচেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি যুক্তরাষ্ট্রকে।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক অনলাইন নিউজ পোর্টালের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গাজায় পাখি শিকার করার মতো মানুষ শিকার করা হচ্ছে। হায়নার হিংস্রতাকে ম্লান করে দিয়ে ইসরায়েলি বাহিনী যেভাবে মানুষ হত্যা করছে সেটার বিরুদ্ধে অ্যামেনিস্ট ইন্টারন্যাশনাল এখন কোথায় এটা আমরা জানতে চাই। একটু আগে দেখলাম, ইসরাইলিরা ফিলিস্তিনিদের জায়গায় অবৈধভাবে বসতি স্থাপন করছে তাদের বিরুদ্ধে ভিসা স্যাংশন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আশা করব যারা বাংলাদেশে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করছে এবং যারা নির্বাচনকে প্রতিহত করার অপচেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধেও তারা যুক্তরাষ্ট্র) ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির সমাবেশের নামে ২৮ অক্টোবর যে বর্বরতায় পুলিশ হত্যা করা হয়েছে, বর্বরোচিতভাবে সাংবাদিকদের সাপ পেটানোর মতো পেটানো হয়েছে, তা অতি জঘন্য ও চরম অমানবিক। গণমাধ্যমের সবাই এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলুন যাতে ওরা আর এই কাজ করতে না পারে। আমি সমস্ত গণমাধ্যমকে অনুরোধ জানাবো এদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার জন্য।

হাছান মাহমুদ বলেন, আজ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। হরতাল-অবরোধের নামে এই চোরাগোপ্তা হামলা, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ, বাসের ড্রাইভার হত্যা করা, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে অঙ্গার করা, এগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ বা কর্মসূচি হতে পারে না। এগুলো সন্ত্রাসী কর্মসূচি ছাড়া অন্য কিছু নয়। এমন কি ‘সন্ত্রাসী কর্মসূচি’ শব্দটিও এই ঘটনাগুলোকে বর্ণনা করার জন্য যথেষ্ট নয়।

মন্ত্রী বলেন, দায়িত্বশীলদের সমালোচনা হবে- যেকোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করার জন্য জনগণকে আহ্বান জানানো হবে, কিন্তু তারা আহ্বান জানাবে আর এসি রুমের মধ্যে বসে থেকে কিছু কর্মীকে লেলিয়ে দিয়ে, কিছু নেশাগ্রস্তদের হাতে টাকা গুঁজে দিয়ে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করতে বলবে, এগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে না। এদেরকে আবার রাজনৈতিক দল বলে কেউ কেউ।

হাছান মাহমুদ প্রশ্ন রাখেন, যারা সময়ে সময়ে জাতিকে জ্ঞান এবং বুদ্ধি দেয়, সেই বুদ্ধিজীবী ভাই-বোনেরা এখন কোথায়। কাউকে ঘুষি মারলেও উনারা বিবৃতি দেয়, কাউকে ধাওয়া করলেও বিবৃতি দেয় অথচ এখন যে মানুষ পুড়িয়ে মারছে, গাড়ি-ঘোড়া পোড়াচ্ছে, উনারা কোথায় হারিয়ে গেলেন! জনগণ উনাদেরকে খুঁজছে। উনাদের বুদ্ধি কি এখন লোপ পেয়েছে, না কি তারা বুদ্ধি করে চুপ করে আছেন!

তিনি বলেন, বাংলাদেশে যত ধরনের হানাহানি সৃষ্টি হয়েছে, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে সবগুলোর পেছনে ভুয়া অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দায়ী। নাসিরনগর, রামু, কুমিল্লা, বরিশালের ঘটনায় ভুয়া অনলাইন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দায়ী। এসব ব্যাপারে আমাদের এক্সট্রা কেয়ারফুল হতে হবে। না হলে এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটবে। এসব আমরা মোকাবেলা করেছি এবং যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিলো তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

সম্প্রচারমন্ত্রী অতিথি ও আয়োজকদের সঙ্গে নিয়ে কেক কেটে এনএএনটিভি বিডিডটকম অনলাইন সংবাদ পোর্টালটির শুভযাত্রা কামনা করেন। তিনি বলেন, আমাদের সরকার গণমাধ্যমের বিকাশ, বিস্তৃতি এবং স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন- গণমাধ্যমের বিকাশের সঙ্গে রাষ্ট্রের ও বহুমাত্রিক সমাজ ব্যবস্থার বিকাশ যুক্ত, বিতর্কভিত্তিক ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা যুক্ত। সে কারণে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে। এর কারণে অনেকের চাকরির সংস্থান হচ্ছে এবং মানুষের কাছে অবাধ তথ্য যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই নতুন অনলাইন গণমাধ্যম ভূমিকা রাখবে সেটিই প্রত্যাশা।

একইসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, লক্ষ্য রাখতে হবে- সবার আগে সংবাদ দিতে গিয়ে যেন সম্পাদনাহীন এবং ভুল তথ্য পরিবেশিত না হয়। গণমাধ্যমের বিস্তৃতির সঙ্গে সবাই সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার প্রবণতা মানুষ এবং মূলধারার গণমাধ্যমের জন্য ক্ষতিকর। এটি থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য আমাদের প্রেস ক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়নগুলো বারবার তাগাদা দিচ্ছে এবং প্রেস কাউন্সিল এ নিয়ে কাজ করছে। আগে ফেসবুকে কিছু দেখলেই সেটিকে মানুষ সংবাদ মনে করতো, এখন বুঝে যে ফেসবুকের তথ্য সংবাদ নয়। কারণ, এই দেশে গত ১২-১৩ বছরে যত ধরনের হানাহানি, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, নাসিরনগর, রামু, কুমিল্লা, বরিশাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনা। সবগুলোর পেছনেই ভুয়া অনলাইন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। সুতরাং এ ব্যাপারে আমাদেরকে অনেক বেশি সতর্ক হতে হবে। আমাদের সরকার, আমরা অত্যন্ত শক্তভাবে সেগুলো মোকাবিলা করেছি। যারা এই কাজগুলো করেছিলো তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

এনএএন টিভির সম্পাদক ও প্রকাশক সাবিহা মুবাশশিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশের ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান শ্যামল, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড আব ট্রাস্টির ট্রেজারার তানভির হায়দার ভূইয়া প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

স্বাধীনতা নিয়ে বক্তব্য দিয়ে জাতিকে আর বিভক্ত করা যাবে না : সালাহউদ্দিন

নির্বাচন প্রতিহতকারীদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৪:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্বাচন প্রতিহতকারীদের যুক্তরাষ্ট্রকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যারা বাংলাদেশে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করছে এবং যারা নির্বাচনকে প্রতিহত করার অপচেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি যুক্তরাষ্ট্রকে।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক অনলাইন নিউজ পোর্টালের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গাজায় পাখি শিকার করার মতো মানুষ শিকার করা হচ্ছে। হায়নার হিংস্রতাকে ম্লান করে দিয়ে ইসরায়েলি বাহিনী যেভাবে মানুষ হত্যা করছে সেটার বিরুদ্ধে অ্যামেনিস্ট ইন্টারন্যাশনাল এখন কোথায় এটা আমরা জানতে চাই। একটু আগে দেখলাম, ইসরাইলিরা ফিলিস্তিনিদের জায়গায় অবৈধভাবে বসতি স্থাপন করছে তাদের বিরুদ্ধে ভিসা স্যাংশন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আশা করব যারা বাংলাদেশে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করছে এবং যারা নির্বাচনকে প্রতিহত করার অপচেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধেও তারা যুক্তরাষ্ট্র) ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির সমাবেশের নামে ২৮ অক্টোবর যে বর্বরতায় পুলিশ হত্যা করা হয়েছে, বর্বরোচিতভাবে সাংবাদিকদের সাপ পেটানোর মতো পেটানো হয়েছে, তা অতি জঘন্য ও চরম অমানবিক। গণমাধ্যমের সবাই এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলুন যাতে ওরা আর এই কাজ করতে না পারে। আমি সমস্ত গণমাধ্যমকে অনুরোধ জানাবো এদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার জন্য।

হাছান মাহমুদ বলেন, আজ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। হরতাল-অবরোধের নামে এই চোরাগোপ্তা হামলা, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ, বাসের ড্রাইভার হত্যা করা, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে অঙ্গার করা, এগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ বা কর্মসূচি হতে পারে না। এগুলো সন্ত্রাসী কর্মসূচি ছাড়া অন্য কিছু নয়। এমন কি ‘সন্ত্রাসী কর্মসূচি’ শব্দটিও এই ঘটনাগুলোকে বর্ণনা করার জন্য যথেষ্ট নয়।

মন্ত্রী বলেন, দায়িত্বশীলদের সমালোচনা হবে- যেকোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করার জন্য জনগণকে আহ্বান জানানো হবে, কিন্তু তারা আহ্বান জানাবে আর এসি রুমের মধ্যে বসে থেকে কিছু কর্মীকে লেলিয়ে দিয়ে, কিছু নেশাগ্রস্তদের হাতে টাকা গুঁজে দিয়ে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করতে বলবে, এগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে না। এদেরকে আবার রাজনৈতিক দল বলে কেউ কেউ।

হাছান মাহমুদ প্রশ্ন রাখেন, যারা সময়ে সময়ে জাতিকে জ্ঞান এবং বুদ্ধি দেয়, সেই বুদ্ধিজীবী ভাই-বোনেরা এখন কোথায়। কাউকে ঘুষি মারলেও উনারা বিবৃতি দেয়, কাউকে ধাওয়া করলেও বিবৃতি দেয় অথচ এখন যে মানুষ পুড়িয়ে মারছে, গাড়ি-ঘোড়া পোড়াচ্ছে, উনারা কোথায় হারিয়ে গেলেন! জনগণ উনাদেরকে খুঁজছে। উনাদের বুদ্ধি কি এখন লোপ পেয়েছে, না কি তারা বুদ্ধি করে চুপ করে আছেন!

তিনি বলেন, বাংলাদেশে যত ধরনের হানাহানি সৃষ্টি হয়েছে, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে সবগুলোর পেছনে ভুয়া অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দায়ী। নাসিরনগর, রামু, কুমিল্লা, বরিশালের ঘটনায় ভুয়া অনলাইন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দায়ী। এসব ব্যাপারে আমাদের এক্সট্রা কেয়ারফুল হতে হবে। না হলে এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটবে। এসব আমরা মোকাবেলা করেছি এবং যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিলো তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

সম্প্রচারমন্ত্রী অতিথি ও আয়োজকদের সঙ্গে নিয়ে কেক কেটে এনএএনটিভি বিডিডটকম অনলাইন সংবাদ পোর্টালটির শুভযাত্রা কামনা করেন। তিনি বলেন, আমাদের সরকার গণমাধ্যমের বিকাশ, বিস্তৃতি এবং স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন- গণমাধ্যমের বিকাশের সঙ্গে রাষ্ট্রের ও বহুমাত্রিক সমাজ ব্যবস্থার বিকাশ যুক্ত, বিতর্কভিত্তিক ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা যুক্ত। সে কারণে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে। এর কারণে অনেকের চাকরির সংস্থান হচ্ছে এবং মানুষের কাছে অবাধ তথ্য যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই নতুন অনলাইন গণমাধ্যম ভূমিকা রাখবে সেটিই প্রত্যাশা।

একইসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, লক্ষ্য রাখতে হবে- সবার আগে সংবাদ দিতে গিয়ে যেন সম্পাদনাহীন এবং ভুল তথ্য পরিবেশিত না হয়। গণমাধ্যমের বিস্তৃতির সঙ্গে সবাই সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার প্রবণতা মানুষ এবং মূলধারার গণমাধ্যমের জন্য ক্ষতিকর। এটি থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য আমাদের প্রেস ক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়নগুলো বারবার তাগাদা দিচ্ছে এবং প্রেস কাউন্সিল এ নিয়ে কাজ করছে। আগে ফেসবুকে কিছু দেখলেই সেটিকে মানুষ সংবাদ মনে করতো, এখন বুঝে যে ফেসবুকের তথ্য সংবাদ নয়। কারণ, এই দেশে গত ১২-১৩ বছরে যত ধরনের হানাহানি, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, নাসিরনগর, রামু, কুমিল্লা, বরিশাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনা। সবগুলোর পেছনেই ভুয়া অনলাইন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। সুতরাং এ ব্যাপারে আমাদেরকে অনেক বেশি সতর্ক হতে হবে। আমাদের সরকার, আমরা অত্যন্ত শক্তভাবে সেগুলো মোকাবিলা করেছি। যারা এই কাজগুলো করেছিলো তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

এনএএন টিভির সম্পাদক ও প্রকাশক সাবিহা মুবাশশিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশের ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান শ্যামল, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড আব ট্রাস্টির ট্রেজারার তানভির হায়দার ভূইয়া প্রমুখ।