নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে ভারত, জাপান ও ফিলিস্তিন থেকে পর্যবেক্ষক আসবে। এছাড়া ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) এবং আরব লিগও পর্যবেক্ষক পাঠাবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি শাখার মহাপরিচালক ও মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
সেহেলী সাবরীন বলেন, ভারত থেকে তিনজন, জাপান থেকে ১৬ জন এবং ফিলিস্তিন থেকে ছয়জনের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে। তবে এখনো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার বিষয়ে নিশ্চিত করেনি।
তিনি বলেন, সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ইলেকশন এক্সপার্ট মিশনের প্রতিনিধিদলটি আগামী ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করবে। এছাড়া ভারত, ফিলিস্তিন, ওআইসি ও আরব লীগ থেকে পর্যবেক্ষক দল আসবে। জাপানও সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের কাছে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এর বাইরেও আরও কিছু আবেদন রয়েছে।
কোন কোন দেশ এখন পর্যন্ত নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে- জানতে চাইলে সেহেলী সাবরীন বলেন, ভারত, ফিলিস্তন, ওআইসি ও জাপান। ভারত থেকে তিনজন আসবেন, ফিলিস্তিন থেকে ছয়জন (তাদের মধ্যে কিছু বাইরে থেকে, কিছু দূতাবাস থেকেও থাকবে)। জাপানের ক্ষেত্রে যেটা শুনেছি ১৬ জন আসবেন। এছাড়া ওআইসি ও আরব লীগের কতজন আসবেন সে তথ্যটা এখন আমার কাছে নেই।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়ে নিশ্চিত করেনি জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র বলেন, যে আবেদনগুলো পাওয়া গেছে, সেগুলোর ওপর কাজ হচ্ছে। যখন নিশ্চিত হবে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
এসময় তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের দুই হোতা আলবদর নেতা আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মঈনুদ্দীনকে দেশে ফেরত এনে বিচারের মুখোমুখি করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সর্বদা সচেষ্ট। তাদের ফিরিয়ে আনতে আইনি প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে।
মুখপাত্র বলেন, ১৯৭১ সালের বুদ্ধিজীবী হত্যা ইতিহাসে বর্বরোচিত এবং নৃশংস একটি ঘটনা। সে সময় শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, বিজ্ঞানি, আইনজীবী, শিক্ষাবিদসহ বুদ্ধিজীবীদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। পাকিস্তানের সামরিক শাসকগোষ্ঠীর নির্দেশনা এবং পৃষ্ঠপোষকতায় রাজাকার এবং আল-বদর বাহিনী এই জঘন্য অপরাধ সংঘটিত করে।
সেহেলী সাবরীন বলেন, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মূল যে দুইজন চৌধুরী মাইনুদ্দিন এবং আশরাফ, তাদের দেশে ফেরত এনে বিচারের মুখোমুখি করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সর্বদা সচেষ্ট। তারা যেসব দেশে অবস্থান করছেন সেসব দেশের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যোগাযোগ রাখছে, যাতে তাদের ফিরিয়ে আনা যায়। সেই সঙ্গে তাদের ফিরিয়ে আনতে আইনি প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে।
মুখপাত্র বলেন, এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট যে অধিদপ্তর বা সংস্থা কাজ করছে তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হওয়ায় এই বিষয়ে সকল তথ্য জানান সম্ভব হচ্ছে না।