Dhaka বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন নিয়ে সরকার নয়, মিডিয়া চাপে রয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৪৫:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৩
  • ২০১ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সরকার কোনো চাপে নেই, বরং গণমাধ্যম চাপে আছে। এমনটি বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

রাষ্ট্রপতির ইন্দোনেশিয়া সফর বিষয়ে বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন তিনি।

নির্বাচনের সময়ে পশ্চিমা বিশ্বের চাপ আছে, এ অবস্থায় জি-২০ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের এজেন্ডা ঠিক হয়েছে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার প্রধানের অ্যাপয়েন্টমেন্টের বিষয়গুলো শেষ মুহূর্তে ফাইনালাইজড হয়। অবশ্যই তাদের বৈঠকের সম্ভবনা আছে। তারা আমাদের দ্বিপাক্ষিক এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ে আলোচনা করবেন।

তিনি বলেন, আমরা কোনো চাপ-টাপের মধ্যে নেই। মিডিয়া বোধহয় খুব চাপের মধ্যে আছে। আমরা একটা স্বচ্ছ সুন্দর নির্বাচন করতে চাই। আমরা একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই। আমরা গত সাড়ে ১৪ বছরে যে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছি, সেটা যদি বাংলাদেশের মানুষ মনে করে এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছি যাদের মঙ্গলের জন্য, যাদের ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যতের জন্য। তারা যদি মনে করে যে এইগুলো তাদের উপকারে আসবে, তাহলে অবশ্যই তারা আমাদের ভোট দেবে। এটা আমাদের বিশ্বাস।

এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা বাংলাদেশের জনগণের ওপর বিশ্বাস করি। আমরা মনে করি বাংলাদেশের জনগণ ভুল সিদ্ধান্ত কখনো নেয় না। তারা অত্যন্ত সোচ্চার এবং তারা ঠিক সময়ে যথার্থ সিদ্ধান্ত নেয়। তারা নিজের মঙ্গল চিন্তা করে। তারা যদি নিজেদের মঙ্গল চিন্তা করে তাহলে আমার ধারণা তারা অঅওয়ামী লীগকে ভোট দেবে।

তিনি বলেন, আমরা একটি স্বচ্ছ, সুন্দর নির্বাচন চাই। সেখানে আমরা সবার সহযোগিতা চাই। আমি প্রায়ই বলে থাকি কোনো ধরনের মারামারি ছাড়া ইলেকশন একা সরকার চাইলে বা ইলেকশন কমিশন চাইলেই হবে না। সেই সংঘাতবিহীন নির্বাচন চাইলে সব দল-মতের আন্তরিক ও ঐকান্তিক ইচ্ছা থাকতে হবে। তাহলে কিন্তু সংঘাতবিহীন নির্বাচন সম্ভব হবে। গত কয়েকটি নির্বাচন মোটামুটি সংঘাতবিহীন হয়েছে। এইযে মেয়র ইলেকশন হলো কোথাও লোক মরেনি। আমাদের এই কালচার থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সংঘাত-মারামারির কালচার থেকে বের হতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, যারা নির্বাচন নিয়ে ভয় পাচ্ছেন, শেখ হাসিনার সরকারই বাংলাদেশের নির্বাচনকে টেকসই করেছে, গণতান্ত্রিক ধারাকে টেকসই করেছে। শেখ হাসিনার কমিটমেন্ট অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। এটাতে আমরা বিশ্বাস করি। কিন্তু আমরা কারও চাপে নেই। আমরা নিজেদের তাগিদেই স্বচ্ছ নির্বাচন করি। কারও চাপের মুখে আমরা স্বচ্ছ নির্বাচনের কথা চিন্তা করি না। অন্য যারা আমাদের চাপ দেন তাদের নিজের চেহারা দেখলেও দেখতে পারেন। তাদের ওখানেও তো গন্ডগোল, তাদের ওখানেও নির্বাচন নিয়ে সমস্যা। সুতরাং ওইগুলো আমাদের ধারে কাছে না।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মামলা নিয়ে আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বরা তথ্যের ঘাটতির কারণে বিবৃতি দিয়েছেন বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনেকে মনে হয় মনে করছেন রাজনৈতিক কারণে কিংবা অন্য কোনও কারণে হয়রানি করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা যতদূর জানি, মামলাগুলো সরকার করেনি।

তিনি বলেন, এসব বিষয়ে যে চিঠিপত্র দেওয়া হয়েছে, তারা মনে হয় জানেন না। তারা হয়তো ভাবছেন, রাজনৈতিক কারণে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা আশা করবো যে যারা চিঠি লিখেছেন—তারা বিষয়টা আরও জানবেন এবং তারা যদি জানতে চান, তাহলে আমরা অবশ্যই তথ্যগুলো পৌঁছে দেবো।

তিনি আরো বলেন, আমরা স্ব-উদ্যোগে এর ওপর কোনও মন্তব্য করবো না। এগুলো আইনি বিষয়। আমরা কোনও মন্তব্য করতে চাই না।

মন্ত্রী বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আমরা সম্মান করি একজন বিখ্যাত নোবেল লরিয়েট হিসেবে। তিনি আমাদের জন্য সম্মান নিয়ে এসেছেন।’

বড় বড় বিদেশি নেতারা যদি আমাদের বলেন মামলা তুলে নাও, এটি আমাদের পক্ষে সম্ভব নয় বলে তিনি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ৫-৭ সেপ্টেম্বর আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে রাষ্ট্রপতি জাকার্তা সফরে যাচ্ছেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নির্বাচন নিয়ে সরকার নয়, মিডিয়া চাপে রয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৬:৪৫:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সরকার কোনো চাপে নেই, বরং গণমাধ্যম চাপে আছে। এমনটি বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

রাষ্ট্রপতির ইন্দোনেশিয়া সফর বিষয়ে বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন তিনি।

নির্বাচনের সময়ে পশ্চিমা বিশ্বের চাপ আছে, এ অবস্থায় জি-২০ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের এজেন্ডা ঠিক হয়েছে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার প্রধানের অ্যাপয়েন্টমেন্টের বিষয়গুলো শেষ মুহূর্তে ফাইনালাইজড হয়। অবশ্যই তাদের বৈঠকের সম্ভবনা আছে। তারা আমাদের দ্বিপাক্ষিক এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ে আলোচনা করবেন।

তিনি বলেন, আমরা কোনো চাপ-টাপের মধ্যে নেই। মিডিয়া বোধহয় খুব চাপের মধ্যে আছে। আমরা একটা স্বচ্ছ সুন্দর নির্বাচন করতে চাই। আমরা একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই। আমরা গত সাড়ে ১৪ বছরে যে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছি, সেটা যদি বাংলাদেশের মানুষ মনে করে এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছি যাদের মঙ্গলের জন্য, যাদের ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যতের জন্য। তারা যদি মনে করে যে এইগুলো তাদের উপকারে আসবে, তাহলে অবশ্যই তারা আমাদের ভোট দেবে। এটা আমাদের বিশ্বাস।

এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা বাংলাদেশের জনগণের ওপর বিশ্বাস করি। আমরা মনে করি বাংলাদেশের জনগণ ভুল সিদ্ধান্ত কখনো নেয় না। তারা অত্যন্ত সোচ্চার এবং তারা ঠিক সময়ে যথার্থ সিদ্ধান্ত নেয়। তারা নিজের মঙ্গল চিন্তা করে। তারা যদি নিজেদের মঙ্গল চিন্তা করে তাহলে আমার ধারণা তারা অঅওয়ামী লীগকে ভোট দেবে।

তিনি বলেন, আমরা একটি স্বচ্ছ, সুন্দর নির্বাচন চাই। সেখানে আমরা সবার সহযোগিতা চাই। আমি প্রায়ই বলে থাকি কোনো ধরনের মারামারি ছাড়া ইলেকশন একা সরকার চাইলে বা ইলেকশন কমিশন চাইলেই হবে না। সেই সংঘাতবিহীন নির্বাচন চাইলে সব দল-মতের আন্তরিক ও ঐকান্তিক ইচ্ছা থাকতে হবে। তাহলে কিন্তু সংঘাতবিহীন নির্বাচন সম্ভব হবে। গত কয়েকটি নির্বাচন মোটামুটি সংঘাতবিহীন হয়েছে। এইযে মেয়র ইলেকশন হলো কোথাও লোক মরেনি। আমাদের এই কালচার থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সংঘাত-মারামারির কালচার থেকে বের হতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, যারা নির্বাচন নিয়ে ভয় পাচ্ছেন, শেখ হাসিনার সরকারই বাংলাদেশের নির্বাচনকে টেকসই করেছে, গণতান্ত্রিক ধারাকে টেকসই করেছে। শেখ হাসিনার কমিটমেন্ট অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। এটাতে আমরা বিশ্বাস করি। কিন্তু আমরা কারও চাপে নেই। আমরা নিজেদের তাগিদেই স্বচ্ছ নির্বাচন করি। কারও চাপের মুখে আমরা স্বচ্ছ নির্বাচনের কথা চিন্তা করি না। অন্য যারা আমাদের চাপ দেন তাদের নিজের চেহারা দেখলেও দেখতে পারেন। তাদের ওখানেও তো গন্ডগোল, তাদের ওখানেও নির্বাচন নিয়ে সমস্যা। সুতরাং ওইগুলো আমাদের ধারে কাছে না।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মামলা নিয়ে আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বরা তথ্যের ঘাটতির কারণে বিবৃতি দিয়েছেন বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনেকে মনে হয় মনে করছেন রাজনৈতিক কারণে কিংবা অন্য কোনও কারণে হয়রানি করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা যতদূর জানি, মামলাগুলো সরকার করেনি।

তিনি বলেন, এসব বিষয়ে যে চিঠিপত্র দেওয়া হয়েছে, তারা মনে হয় জানেন না। তারা হয়তো ভাবছেন, রাজনৈতিক কারণে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা আশা করবো যে যারা চিঠি লিখেছেন—তারা বিষয়টা আরও জানবেন এবং তারা যদি জানতে চান, তাহলে আমরা অবশ্যই তথ্যগুলো পৌঁছে দেবো।

তিনি আরো বলেন, আমরা স্ব-উদ্যোগে এর ওপর কোনও মন্তব্য করবো না। এগুলো আইনি বিষয়। আমরা কোনও মন্তব্য করতে চাই না।

মন্ত্রী বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আমরা সম্মান করি একজন বিখ্যাত নোবেল লরিয়েট হিসেবে। তিনি আমাদের জন্য সম্মান নিয়ে এসেছেন।’

বড় বড় বিদেশি নেতারা যদি আমাদের বলেন মামলা তুলে নাও, এটি আমাদের পক্ষে সম্ভব নয় বলে তিনি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ৫-৭ সেপ্টেম্বর আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে রাষ্ট্রপতি জাকার্তা সফরে যাচ্ছেন।