Dhaka শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন আসিফ নজরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাতীয় নির্বাচন কবে হতে পারে তা নিয়ে কথা বলেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে বলে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের যে বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার হয়েছে সে বিষয়ে একটি ব্যাখা দিয়েছেন তিনি।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) ওই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।

এতে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি একটি টিভি আলোচনায় আমি বলেছি নির্বাচন হয়তো আগামী বছরের মধ্যে সম্ভব হতে পারে, তবে এক্ষেত্রে অনেকগুলো ফ্যাক্টর রয়েছে। সেখানে এসব ফ্যাক্টর পুরোপুরি ব্যাখা করার সুযোগ পাইনি। কিন্তু আমাদের সরকারের কথা থেকে সবাই বুঝবেন যে নির্বাচনের জন্য সংস্কার ও রাজনৈতিক সমঝোতার কথা বলা হয়। এগুলোই সেই ফ্যাক্টর।’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের মাধ্যমে দেওয়া ওই বিবৃতিতে আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘সম্প্রতি একটি টিভি আলোচনায় আমি বলেছি, নির্বাচন হয়তো আগামী বছরের মধ্যে সম্ভব হতে পারে, তবে এ ক্ষেত্রে অনেকগুলো ফ্যাক্টর রয়েছে। সেখানে এসব ফ্যাক্টর পুরোপুরি ব্যাখ্যা করার সুযোগ পাইনি। কিন্তু আমাদের সরকারের কথা থেকে সবাই বুঝবেন যে, নির্বাচনের জন্য সংস্কার ও রাজনৈতিক সমঝোতার কথা বলা হয়। এগুলোই সেই ফ্যাক্টর।’

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘সংস্কারের কথা আমিও অনুষ্ঠানে বলেছি। আরও কিছু ফ্যাক্টর আমি অনুষ্ঠানটিতে ব্যাখ্যা করেছি, যেমন: সার্চ কমিটি ও নির্বাচন কমিশন গঠন, ভোটার তালিকা প্রণয়ন ইত্যাদি। এসব ফ্যাক্টর ঠিক থাকলে নির্বাচন হয়তো হতে পারে আগামী বছর। বলেছি এটাও আমার প্রাথমিক অনুমান।’

এই বক্তব্য নিয়ে সৃষ্টি ‘বিভ্রান্তির’ বিষয়ে অন্তর্র্বতী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘এই শর্তভিত্তিক ধারণা ও অনুমানকে কিছু গণমাধ্যম নির্বাচনের ঘোষণা হিসেবে দেখাচ্ছেন। বিনয়ের সঙ্গে বলছি, এটা সঠিক নয়। নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পলিসি ডিসিশন। এর সময় সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে ঠিক হবে। তিনিই একমাত্র এটা ঘোষণার এখতিয়ার রাখেন।’

উল্লেখ্য, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কারে গঠিত কমিশনের বিষয়ে মতামত নিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আজ আবার সংলাপে বসছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ ডাক পাওয়া কয়েকটি দলের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, বৈঠকে তারা প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনী রোডম্যাপ দিতে সরকারকে আহ্বান জানাবে।

এর আগে ৫ অক্টোবর বিএনপি, জামায়াতসহ কয়েকটি দলের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল। সেখানে বিএনপি চেয়েছিল দ্রুত নির্বাচন, জামায়াত চেয়েছিল সংস্কারের পর নির্বাচন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারি বাসভবন যমুনায় আজ বেলা আড়াইটা থেকে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। এ বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে গণফোরাম, এলডিপি, বাংলাদেশ জাসদ, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২ দলীয় জোট, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, লেবার পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টিকে (আন্দালিব)। এ ছাড়া আরও দু-একটি দল থাকতে পারে।

তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে এবারও গত তিন সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না বলে সূত্রে জানা গেছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বৈরী আবহাওয়ার কারণে আগৈলঝাড়ায় ছাতার কারিগরদের ব্যাপক কদর

নির্বাচন নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন আসিফ নজরুল

প্রকাশের সময় : ০১:৫৪:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাতীয় নির্বাচন কবে হতে পারে তা নিয়ে কথা বলেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে বলে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের যে বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার হয়েছে সে বিষয়ে একটি ব্যাখা দিয়েছেন তিনি।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) ওই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।

এতে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি একটি টিভি আলোচনায় আমি বলেছি নির্বাচন হয়তো আগামী বছরের মধ্যে সম্ভব হতে পারে, তবে এক্ষেত্রে অনেকগুলো ফ্যাক্টর রয়েছে। সেখানে এসব ফ্যাক্টর পুরোপুরি ব্যাখা করার সুযোগ পাইনি। কিন্তু আমাদের সরকারের কথা থেকে সবাই বুঝবেন যে নির্বাচনের জন্য সংস্কার ও রাজনৈতিক সমঝোতার কথা বলা হয়। এগুলোই সেই ফ্যাক্টর।’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের মাধ্যমে দেওয়া ওই বিবৃতিতে আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘সম্প্রতি একটি টিভি আলোচনায় আমি বলেছি, নির্বাচন হয়তো আগামী বছরের মধ্যে সম্ভব হতে পারে, তবে এ ক্ষেত্রে অনেকগুলো ফ্যাক্টর রয়েছে। সেখানে এসব ফ্যাক্টর পুরোপুরি ব্যাখ্যা করার সুযোগ পাইনি। কিন্তু আমাদের সরকারের কথা থেকে সবাই বুঝবেন যে, নির্বাচনের জন্য সংস্কার ও রাজনৈতিক সমঝোতার কথা বলা হয়। এগুলোই সেই ফ্যাক্টর।’

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘সংস্কারের কথা আমিও অনুষ্ঠানে বলেছি। আরও কিছু ফ্যাক্টর আমি অনুষ্ঠানটিতে ব্যাখ্যা করেছি, যেমন: সার্চ কমিটি ও নির্বাচন কমিশন গঠন, ভোটার তালিকা প্রণয়ন ইত্যাদি। এসব ফ্যাক্টর ঠিক থাকলে নির্বাচন হয়তো হতে পারে আগামী বছর। বলেছি এটাও আমার প্রাথমিক অনুমান।’

এই বক্তব্য নিয়ে সৃষ্টি ‘বিভ্রান্তির’ বিষয়ে অন্তর্র্বতী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘এই শর্তভিত্তিক ধারণা ও অনুমানকে কিছু গণমাধ্যম নির্বাচনের ঘোষণা হিসেবে দেখাচ্ছেন। বিনয়ের সঙ্গে বলছি, এটা সঠিক নয়। নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পলিসি ডিসিশন। এর সময় সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে ঠিক হবে। তিনিই একমাত্র এটা ঘোষণার এখতিয়ার রাখেন।’

উল্লেখ্য, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কারে গঠিত কমিশনের বিষয়ে মতামত নিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আজ আবার সংলাপে বসছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ ডাক পাওয়া কয়েকটি দলের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, বৈঠকে তারা প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনী রোডম্যাপ দিতে সরকারকে আহ্বান জানাবে।

এর আগে ৫ অক্টোবর বিএনপি, জামায়াতসহ কয়েকটি দলের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল। সেখানে বিএনপি চেয়েছিল দ্রুত নির্বাচন, জামায়াত চেয়েছিল সংস্কারের পর নির্বাচন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারি বাসভবন যমুনায় আজ বেলা আড়াইটা থেকে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। এ বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে গণফোরাম, এলডিপি, বাংলাদেশ জাসদ, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২ দলীয় জোট, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, লেবার পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টিকে (আন্দালিব)। এ ছাড়া আরও দু-একটি দল থাকতে পারে।

তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে এবারও গত তিন সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না বলে সূত্রে জানা গেছে।