Dhaka মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন কমিশনের সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে : ফারুক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০১:৫৮:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৮৭ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সদ্য পদত্যাগ করা প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সব কমিশনারকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, শুধু পদত্যাগেই সমাধান নয়, সদ্য পদত্যাগী কমিশনের সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের ষড়যন্ত্র শীর্ষক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম।

তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান দমনে আওয়ামী লীগ সরকার যে গণহত্যা চালিয়েছে তা বিশ্বে নজিরবিহীন। তাই হুকুমদাতা শেখ হাসিনাসহ জড়িত সবার দ্রুত বিচার না করলে শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে না।

তিনি বলেন, তাদেরকে অশান্তিতে রাখার আলামত আমরা দেখতে পাচ্ছি। ইউনূস সরকারকে এখনি রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার চক্রান্ত চলছে।

এখনো শেখ হাসিনার বান্ধবীরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে বসে আছেন উল্লেখ করে ফারুক বলেন, বিএনপি অফিস ভাঙার নায়ক মেহেদী, হারুন, বিপ্লবরা কোথায়? রাজধানীতে অনেক অসৎ পুলিশ কর্মকর্তারা বহাল তবিয়তে আছেন। আমি বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ জানাব এদেরকে যদি আইনের আওতায় না নিয়ে আসেন মানুষ হতাশ হবে। ৫ আগস্টের পরে আমরা দেখতে পাচ্ছি কেউ কেউ যেন একটা কিছু ঘটানোর ষড়যন্ত্র করছে, যাদের নির্দেশে শত শত নিরীহ ছাত্রদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে সেই খুনের নির্দেশদাতা শেখ হাসিনাকে কেন কীভাবে ক্ষমা করা হয় রাজনৈতিকভাবে আমি বুঝে উঠতে পারছি না।

শেখ হাসিনার ক্ষমা নেই মন্তব্য করে ফারুক বলেন, খুনি হাসিনাকে বাংলাদেশে এনে বিচার করতে হবে। যেসব পুলিশ কর্মকর্তা শেখ হাসিনার নির্দেশে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গুলি চালিয়েছে, তাদের মধ্যে যারা এখনো বহাল তবিয়তে আছে, তাদেরকে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে ছাত্র সমাজের যারা আত্মাহুতি দিয়েছে শান্তি পাবে না।

তিনি বলেন, আমাদের নেতা দেশনায়ক তারেক রহমান বলেছেন আমি চুরি করে প্রধানমন্ত্রী হতে চাই না। আমি মৃত ব্যক্তির ভোটে প্রধানমন্ত্রী হতে চাই না। আমি বাংলাদেশে এক মাথা এক ভোটে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারে যেতে চাই।

সংগঠনের সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাশেদা বেগম হীরা, ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ম আলমগীর হোসেন, ইয়ুথ ফোরামের উপদেষ্টা এম নাজমুল হাসান প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নির্বাচন কমিশনের সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে : ফারুক

প্রকাশের সময় : ০১:৫৮:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সদ্য পদত্যাগ করা প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সব কমিশনারকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, শুধু পদত্যাগেই সমাধান নয়, সদ্য পদত্যাগী কমিশনের সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের ষড়যন্ত্র শীর্ষক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম।

তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান দমনে আওয়ামী লীগ সরকার যে গণহত্যা চালিয়েছে তা বিশ্বে নজিরবিহীন। তাই হুকুমদাতা শেখ হাসিনাসহ জড়িত সবার দ্রুত বিচার না করলে শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে না।

তিনি বলেন, তাদেরকে অশান্তিতে রাখার আলামত আমরা দেখতে পাচ্ছি। ইউনূস সরকারকে এখনি রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার চক্রান্ত চলছে।

এখনো শেখ হাসিনার বান্ধবীরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে বসে আছেন উল্লেখ করে ফারুক বলেন, বিএনপি অফিস ভাঙার নায়ক মেহেদী, হারুন, বিপ্লবরা কোথায়? রাজধানীতে অনেক অসৎ পুলিশ কর্মকর্তারা বহাল তবিয়তে আছেন। আমি বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ জানাব এদেরকে যদি আইনের আওতায় না নিয়ে আসেন মানুষ হতাশ হবে। ৫ আগস্টের পরে আমরা দেখতে পাচ্ছি কেউ কেউ যেন একটা কিছু ঘটানোর ষড়যন্ত্র করছে, যাদের নির্দেশে শত শত নিরীহ ছাত্রদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে সেই খুনের নির্দেশদাতা শেখ হাসিনাকে কেন কীভাবে ক্ষমা করা হয় রাজনৈতিকভাবে আমি বুঝে উঠতে পারছি না।

শেখ হাসিনার ক্ষমা নেই মন্তব্য করে ফারুক বলেন, খুনি হাসিনাকে বাংলাদেশে এনে বিচার করতে হবে। যেসব পুলিশ কর্মকর্তা শেখ হাসিনার নির্দেশে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গুলি চালিয়েছে, তাদের মধ্যে যারা এখনো বহাল তবিয়তে আছে, তাদেরকে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে ছাত্র সমাজের যারা আত্মাহুতি দিয়েছে শান্তি পাবে না।

তিনি বলেন, আমাদের নেতা দেশনায়ক তারেক রহমান বলেছেন আমি চুরি করে প্রধানমন্ত্রী হতে চাই না। আমি মৃত ব্যক্তির ভোটে প্রধানমন্ত্রী হতে চাই না। আমি বাংলাদেশে এক মাথা এক ভোটে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারে যেতে চাই।

সংগঠনের সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাশেদা বেগম হীরা, ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ম আলমগীর হোসেন, ইয়ুথ ফোরামের উপদেষ্টা এম নাজমুল হাসান প্রমুখ।