Dhaka মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনে সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে : ইসি আলমগীর

গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি  : 
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনে সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে। পুলিশ প্রশাসন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং অফিসাররা যখন যেখানে প্রয়োজন মনে করবেন, তারা সে অনুযায়ী মুভমেন্ট করবেন।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে বহির্বিশ্বের কোনো চাপ নেই। তারা শুধু আমাদের কাছে জানতে চান সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কী কী কাজ করছি।
রাজনীতির নামে সভা-সমাবেশ নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে মো. আলমগীর বলেছেন, ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার কার্যক্রম শুরু হবে। যারা নির্বাচনে না এসে নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে তাদের সেই ঘোষণা বেআইনি।
ইসি বলেন, নাশকতা রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর আছে। তাদের গোয়েন্দা তৎপরতাও বাড়িয়েছে। তারপরও কেউ কোনো ধরনের নাশকতা করতে চাইলে তারা ধরা পড়ে যাবেন। এখন প্রযুক্তির যুগ। কেই যদি নাশকতা করে মনে করেন আমি ধরা পরবো না, বেঁচে যেতে পারবো, সেটা এখন আর সম্ভব নয়।
নির্বাচন নিয়ে কোনো চ্যালেঞ্জ আছে কি-না তার জবাবে কমিশনার বলেন, যে কোনো কাজেরই চ্যালেঞ্জ আছে। চ্যালেঞ্জ ছাড়া পৃথিবীতে কোনো কাছ আছে বলে মনে করি না। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার ইচ্ছা ও সামর্থ্য আমাদের আছে। ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেন সেই পরিবেশ তৈরি করে দেওয়ার জন্য প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী থাকবে। তারা এমন পরিবেশ তৈরি করে দেবেন যাতে সকল ভোটার আনন্দ উৎসাহের সঙ্গ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন। সুন্দর, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হবে। এজন্য সকলের মতামত শুনেছি।
ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অত্যন্ত সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হবে। সুশৃঙ্খলভাবে ভোট হবে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হবে। আপনি আপনার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবেন। নিরাপদে আসতে পারবেন, ভোট দিয়ে আবার নিরাপদে বাড়িতে যেতে পারবেন।
ইসি আলমগীর আরও বলেন, নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো গুজবে কান দিবেন না, গুজব ছড়াবেন না, গুরুত্বও দেবেন না। কেউ যদি গুজব ছড়ায় তাহলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর অনুরোধ করছি।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জিএমপি পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম, জেলা পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম, গাজীপুর র‌্যাব-১ পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কমান্ডার ইয়াসির আরেফিন, বিজিবি কমান্ডার রফিকুল ইসলাম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ এইচ এম কামরুল হাসানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।

আবহাওয়া

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি তরুণীর পা বিচ্ছিন্ন

নির্বাচনে সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে : ইসি আলমগীর

প্রকাশের সময় : ০৫:২৪:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি  : 
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনে সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে। পুলিশ প্রশাসন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং অফিসাররা যখন যেখানে প্রয়োজন মনে করবেন, তারা সে অনুযায়ী মুভমেন্ট করবেন।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে বহির্বিশ্বের কোনো চাপ নেই। তারা শুধু আমাদের কাছে জানতে চান সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কী কী কাজ করছি।
রাজনীতির নামে সভা-সমাবেশ নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে মো. আলমগীর বলেছেন, ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার কার্যক্রম শুরু হবে। যারা নির্বাচনে না এসে নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে তাদের সেই ঘোষণা বেআইনি।
ইসি বলেন, নাশকতা রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর আছে। তাদের গোয়েন্দা তৎপরতাও বাড়িয়েছে। তারপরও কেউ কোনো ধরনের নাশকতা করতে চাইলে তারা ধরা পড়ে যাবেন। এখন প্রযুক্তির যুগ। কেই যদি নাশকতা করে মনে করেন আমি ধরা পরবো না, বেঁচে যেতে পারবো, সেটা এখন আর সম্ভব নয়।
নির্বাচন নিয়ে কোনো চ্যালেঞ্জ আছে কি-না তার জবাবে কমিশনার বলেন, যে কোনো কাজেরই চ্যালেঞ্জ আছে। চ্যালেঞ্জ ছাড়া পৃথিবীতে কোনো কাছ আছে বলে মনে করি না। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার ইচ্ছা ও সামর্থ্য আমাদের আছে। ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেন সেই পরিবেশ তৈরি করে দেওয়ার জন্য প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী থাকবে। তারা এমন পরিবেশ তৈরি করে দেবেন যাতে সকল ভোটার আনন্দ উৎসাহের সঙ্গ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন। সুন্দর, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হবে। এজন্য সকলের মতামত শুনেছি।
ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অত্যন্ত সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হবে। সুশৃঙ্খলভাবে ভোট হবে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হবে। আপনি আপনার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবেন। নিরাপদে আসতে পারবেন, ভোট দিয়ে আবার নিরাপদে বাড়িতে যেতে পারবেন।
ইসি আলমগীর আরও বলেন, নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো গুজবে কান দিবেন না, গুজব ছড়াবেন না, গুরুত্বও দেবেন না। কেউ যদি গুজব ছড়ায় তাহলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর অনুরোধ করছি।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জিএমপি পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম, জেলা পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম, গাজীপুর র‌্যাব-১ পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কমান্ডার ইয়াসির আরেফিন, বিজিবি কমান্ডার রফিকুল ইসলাম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ এইচ এম কামরুল হাসানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।