Dhaka মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনে সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে : ইসি সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে বলে জানিয়েছে ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

জাহাংগীর আলম বলেন, নীতিগতভাবে নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে সম্মতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তবে কত দিন সেনাবাহিনী নিয়োজিত থাকবে তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের স্বার্থে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তবে কবে থেকে সেনা মোতায়েন হবে, তা আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সংবিধানের ২০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কমিশন সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতির কাছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের আওতায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় সামরিক বাহিনী নিযুক্ত করার জন্য অনুরোধ করেছেন। রাষ্ট্রপতি বিষয়টি শুনেছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে আলাপ করে অতি শিগগিরই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন। তিনি নীতিগতভাবে সামরিক বাহিনী দিতে সম্মত হয়েছেন।

সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসএ) সম্প্রতি ১৩ দিনের জন্য সেনা মোতায়েন হতে পারে বলে জানিয়েছেন। ১৩ দিনই কি থাকবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে পৃথক চিঠি পাঠানো হবে। তার আলোকে সেখানে সময়, কখন কীভাবে তা নির্ধারণ হবে। সেটা সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সঙ্গে চিঠির মাধ্যমে চূড়ান্ত করবে নির্বাচন কমিশন।

তিনি আরও বলেন, ১৩ দিন সেনা মোতায়েনের বিষয়টা, সেটা একটা আলোচনা ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেভাবে নিয়োজিত থাকবে, তার সঙ্গে সমন্বয় রেখে তারা যাতে দায়িত্ব পালন করতে পারেন, সেজন্য তিনি (পিএসও) কথাটা বলেছেন। এটা চূড়ান্ত নয়। এটা আলোচনা করে আমরা ঠিক করে নেব।

এর আগে (১১ ডিসেম্বর) সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার জানিয়েছিলেন, রাষ্ট্রপতি অনুমতি দিলে আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩ দিনের জন্য তারা ভোটের দায়িত্ব পালন করবেন।

তফসিল অনুযায়ী, আজ ১৭ ডিসেম্বর নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। প্রতীক নিয়ে প্রার্থীরা ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত ভোটের প্রচারণা চালাতে পারবেন। ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।

আবহাওয়া

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি তরুণীর পা বিচ্ছিন্ন

নির্বাচনে সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে : ইসি সচিব

প্রকাশের সময় : ১২:৫৪:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে বলে জানিয়েছে ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

জাহাংগীর আলম বলেন, নীতিগতভাবে নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে সম্মতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তবে কত দিন সেনাবাহিনী নিয়োজিত থাকবে তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের স্বার্থে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তবে কবে থেকে সেনা মোতায়েন হবে, তা আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সংবিধানের ২০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কমিশন সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতির কাছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের আওতায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় সামরিক বাহিনী নিযুক্ত করার জন্য অনুরোধ করেছেন। রাষ্ট্রপতি বিষয়টি শুনেছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে আলাপ করে অতি শিগগিরই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন। তিনি নীতিগতভাবে সামরিক বাহিনী দিতে সম্মত হয়েছেন।

সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসএ) সম্প্রতি ১৩ দিনের জন্য সেনা মোতায়েন হতে পারে বলে জানিয়েছেন। ১৩ দিনই কি থাকবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে পৃথক চিঠি পাঠানো হবে। তার আলোকে সেখানে সময়, কখন কীভাবে তা নির্ধারণ হবে। সেটা সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সঙ্গে চিঠির মাধ্যমে চূড়ান্ত করবে নির্বাচন কমিশন।

তিনি আরও বলেন, ১৩ দিন সেনা মোতায়েনের বিষয়টা, সেটা একটা আলোচনা ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেভাবে নিয়োজিত থাকবে, তার সঙ্গে সমন্বয় রেখে তারা যাতে দায়িত্ব পালন করতে পারেন, সেজন্য তিনি (পিএসও) কথাটা বলেছেন। এটা চূড়ান্ত নয়। এটা আলোচনা করে আমরা ঠিক করে নেব।

এর আগে (১১ ডিসেম্বর) সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার জানিয়েছিলেন, রাষ্ট্রপতি অনুমতি দিলে আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩ দিনের জন্য তারা ভোটের দায়িত্ব পালন করবেন।

তফসিল অনুযায়ী, আজ ১৭ ডিসেম্বর নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। প্রতীক নিয়ে প্রার্থীরা ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত ভোটের প্রচারণা চালাতে পারবেন। ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।