Dhaka বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে হারানো যাবে না বলে ষড়যন্ত্র হচ্ছে : কাদের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৬:০৭:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৮৮ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে হারানো যাবে না বলে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ওয়ান ইলেভেনের মতো অস্বাভাবিক সরকার আনার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ওয়ান ইলেভেন আমরা ভুলি নাই। আবারও অস্বাভাবিক সরকার আনার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সেই অস্বাভাবিক সরকার বাংলার মাটিতে আমরা হতে দেবো না।

শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের আয়োজনে ছাত্রসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ দেশে-বিদেশে কত ষড়যন্ত্র, কত চক্রান্তের খেলা! তারা জানে, এই দেশে ৭০ ভাগ মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। নির্বাচনে তাকে হারাতে পারবে না। যেই জন্য ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতা থেকে সরানোর চক্রান্ত করছে। নিষেধাজ্ঞা, ভিসানীতি প্রয়োগ করতে চাইছে। শেখ হাসিনার ১৫ বছরের যে মুক্তি সংগ্রামের অসম সাহসীর কান্ডারি, আজকে সেই কীর্তি তারা মুছে দেওয়ার চক্রান্ত করছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, গত ৪৮ বছরে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা শেখ হাসিনা। সবচেয়ে সৎ ও দক্ষ, সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক, সবচেয়ে দক্ষ কূটনৈতিক, সাহসী রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ক্রাইসিসের মধ্যে সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে পারেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতা থেকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র চলছে। বিদেশি মুরব্বিদের ডাকছে শেখ হাসিনাকে হঠাও। নিষেধাজ্ঞা ও ভিসানীতি প্রয়োগের চেষ্টা চলছে। আজ বাংলাদেশে স্যাটেলাইট যুগে প্রবেশ করেছে। এটা কার অবদান? সারাদেশে বিদ্যুত নিশ্চিত করেছে কে? এক সময় এ দেশ অন্ধকারে ছিল।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের স্থান দিয়ে মানবতার মা হিসেবে ভূষিত হয়েছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় পলিটিশিয়ান শেখ হাসিনা।

তিনি আরো বলেন, বিশ্বব্যাংক চোর অপবাদ দিয়ে সরে গেছে। নিজের টাকায় তৈরি করে প্রমাণ করেছেন— ইয়েস উই ক্যান ডু।

এসময় বিএনপিকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জ্বালারে জ্বালা, অন্তর জ্বালা। অন্তর জ্বালায় জ্বলছে বিএনপি। জ্বলছে তারেক জিয়া। কী করে হলো পদ্মা সেতু, ঢাকায় মেট্রোরেল; তাদের অন্তর্জ্বালা তো থাকবে। শেখ হাসিনা করেছে, এটা তাদের অন্তর্জ্বালা। মানুষ খুশি, আর এই দলটি (বিএনপি) অখুশি। শেখ হাসিনার অর্জনে মানুষ কেন খুশি, এ জন্য ব্যথার বিষজ্বালায় তারা মরছে। সেজন্য শেখ হাসিনাকে তারা চায় না। বিদেশি মুরুব্বিদের ডাকছে—হটাও শেখ হাসিনাকে। দরকার হলে আবার তত্ত্বাবধায়ক। আদালতের আদেশে যে তত্ত্বাবধায়ক মরে গেছে, সেটাকে তারা আবার জীবিত করতে চাচ্ছে। এটা কী হবে? শেখ হাসিনা রিজাইন করবে? সংসদ ভেঙে যাবে? এই সরকার পদত্যাগ করবে? বাংলার মানুষ যেটা চায় না, তারা কেন তা করতে চায়?

ছাত্রসমাজকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আজকে তারুণ্যের যে ঢেউ নেমেছে তা আবেগ ও চেতনা দিয়ে নিয়ে যেতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা মাতৃভূমিকে রক্ষা করবো, গণতন্ত্রকে বাঁচাবো।

এসময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তার পরিচিত শব্দবন্ধ ‘খেলা হবে’ উচ্চারণ করে বলেন, ‘গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার শত্রুদের রুখতে খেলা হবে। তৈরি হয়ে যান, প্রস্তুত হয়ে যান। নির্বাচনের আর বেশি সময় নেই। ছাত্র রাজনীতিকে আকর্ষণীয় করবেন নিজেদের আচরণে। এটা হলে নেত্রীর সুনাম আরও বাড়বে।’

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে কাদের বলেন, এরা হাত-পা ধুয়ে শুয়ে গেছেন, কোথায় আন্দোলন? ১০ ডিসেম্বরের আন্দোলন গোলাপবাগের গরুর হাটে গিয়ে হোঁচট খেলো, গর্তে পড়ে গেলো। এখন আর পদযাত্রায় কাজ হয় না। তাই এখন শোকযাত্রা, বিএনপি শোক মিছিল শুরু করেছে। বিজয় আমাদের হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আছে, আমাদের ভয় নেই।

কাদের বলেন, সারা বাংলাদেশ থেকে তারুণ্যের ঢল আজ রাজধানী ঢাকার বুকে। তারুণ্যের মহাসমুদ্র এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর জিয়াউর রহমান তার এই বিএনপির জন্ম দিতে গিয়ে সেই অনুষ্ঠানে উচ্চারণ করেছিল, আজ অঙ্গীকার করছি, পাকিস্তানের মতো ভাতৃপ্রতীম রাষ্ট্র বানাবো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে এই বাংলাদেশ পাকিস্তান বানাবে কে? জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে জেনারেল এরশাদ, খালেদা জিয়া। জন্মদিনে ভুয়া কেক কেটে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল, ১৫ আগস্টকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল।

সমাবেশে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদ শেখ ইনানের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নেত্রকোনায় বাঁশ-কাঠে জোড়াতালি দেওয়া সেতু যেন এখন মৃত্যুফাঁদ

নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে হারানো যাবে না বলে ষড়যন্ত্র হচ্ছে : কাদের

প্রকাশের সময় : ০৬:০৭:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে হারানো যাবে না বলে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ওয়ান ইলেভেনের মতো অস্বাভাবিক সরকার আনার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ওয়ান ইলেভেন আমরা ভুলি নাই। আবারও অস্বাভাবিক সরকার আনার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সেই অস্বাভাবিক সরকার বাংলার মাটিতে আমরা হতে দেবো না।

শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের আয়োজনে ছাত্রসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ দেশে-বিদেশে কত ষড়যন্ত্র, কত চক্রান্তের খেলা! তারা জানে, এই দেশে ৭০ ভাগ মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। নির্বাচনে তাকে হারাতে পারবে না। যেই জন্য ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতা থেকে সরানোর চক্রান্ত করছে। নিষেধাজ্ঞা, ভিসানীতি প্রয়োগ করতে চাইছে। শেখ হাসিনার ১৫ বছরের যে মুক্তি সংগ্রামের অসম সাহসীর কান্ডারি, আজকে সেই কীর্তি তারা মুছে দেওয়ার চক্রান্ত করছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, গত ৪৮ বছরে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা শেখ হাসিনা। সবচেয়ে সৎ ও দক্ষ, সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক, সবচেয়ে দক্ষ কূটনৈতিক, সাহসী রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ক্রাইসিসের মধ্যে সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে পারেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতা থেকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র চলছে। বিদেশি মুরব্বিদের ডাকছে শেখ হাসিনাকে হঠাও। নিষেধাজ্ঞা ও ভিসানীতি প্রয়োগের চেষ্টা চলছে। আজ বাংলাদেশে স্যাটেলাইট যুগে প্রবেশ করেছে। এটা কার অবদান? সারাদেশে বিদ্যুত নিশ্চিত করেছে কে? এক সময় এ দেশ অন্ধকারে ছিল।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের স্থান দিয়ে মানবতার মা হিসেবে ভূষিত হয়েছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় পলিটিশিয়ান শেখ হাসিনা।

তিনি আরো বলেন, বিশ্বব্যাংক চোর অপবাদ দিয়ে সরে গেছে। নিজের টাকায় তৈরি করে প্রমাণ করেছেন— ইয়েস উই ক্যান ডু।

এসময় বিএনপিকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জ্বালারে জ্বালা, অন্তর জ্বালা। অন্তর জ্বালায় জ্বলছে বিএনপি। জ্বলছে তারেক জিয়া। কী করে হলো পদ্মা সেতু, ঢাকায় মেট্রোরেল; তাদের অন্তর্জ্বালা তো থাকবে। শেখ হাসিনা করেছে, এটা তাদের অন্তর্জ্বালা। মানুষ খুশি, আর এই দলটি (বিএনপি) অখুশি। শেখ হাসিনার অর্জনে মানুষ কেন খুশি, এ জন্য ব্যথার বিষজ্বালায় তারা মরছে। সেজন্য শেখ হাসিনাকে তারা চায় না। বিদেশি মুরুব্বিদের ডাকছে—হটাও শেখ হাসিনাকে। দরকার হলে আবার তত্ত্বাবধায়ক। আদালতের আদেশে যে তত্ত্বাবধায়ক মরে গেছে, সেটাকে তারা আবার জীবিত করতে চাচ্ছে। এটা কী হবে? শেখ হাসিনা রিজাইন করবে? সংসদ ভেঙে যাবে? এই সরকার পদত্যাগ করবে? বাংলার মানুষ যেটা চায় না, তারা কেন তা করতে চায়?

ছাত্রসমাজকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আজকে তারুণ্যের যে ঢেউ নেমেছে তা আবেগ ও চেতনা দিয়ে নিয়ে যেতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা মাতৃভূমিকে রক্ষা করবো, গণতন্ত্রকে বাঁচাবো।

এসময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তার পরিচিত শব্দবন্ধ ‘খেলা হবে’ উচ্চারণ করে বলেন, ‘গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার শত্রুদের রুখতে খেলা হবে। তৈরি হয়ে যান, প্রস্তুত হয়ে যান। নির্বাচনের আর বেশি সময় নেই। ছাত্র রাজনীতিকে আকর্ষণীয় করবেন নিজেদের আচরণে। এটা হলে নেত্রীর সুনাম আরও বাড়বে।’

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে কাদের বলেন, এরা হাত-পা ধুয়ে শুয়ে গেছেন, কোথায় আন্দোলন? ১০ ডিসেম্বরের আন্দোলন গোলাপবাগের গরুর হাটে গিয়ে হোঁচট খেলো, গর্তে পড়ে গেলো। এখন আর পদযাত্রায় কাজ হয় না। তাই এখন শোকযাত্রা, বিএনপি শোক মিছিল শুরু করেছে। বিজয় আমাদের হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আছে, আমাদের ভয় নেই।

কাদের বলেন, সারা বাংলাদেশ থেকে তারুণ্যের ঢল আজ রাজধানী ঢাকার বুকে। তারুণ্যের মহাসমুদ্র এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর জিয়াউর রহমান তার এই বিএনপির জন্ম দিতে গিয়ে সেই অনুষ্ঠানে উচ্চারণ করেছিল, আজ অঙ্গীকার করছি, পাকিস্তানের মতো ভাতৃপ্রতীম রাষ্ট্র বানাবো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে এই বাংলাদেশ পাকিস্তান বানাবে কে? জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে জেনারেল এরশাদ, খালেদা জিয়া। জন্মদিনে ভুয়া কেক কেটে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল, ১৫ আগস্টকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল।

সমাবেশে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদ শেখ ইনানের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।