Dhaka বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনে পুলিশ কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ থাকার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০২:০০:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ১৭৫ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক :

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুলিশ কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এই নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, এই নির্বাচন একটি সাধারণ নির্বাচন নয়, গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। তাই এটি শহীদদের আকাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ার নির্বাচন, এবং সেভাবেই পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে, তাই ধাত্রীর দায়িত্ব পালন করতে হবে পুলিশকে।

তিনি বলেন, তিনি কাপুরুষের মতো বসে থাকতে নয়, বরং শহীদদের স্বপ্ন পূরণে কাজ করতে চান।

এই পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ঐতিহাসিক নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য দৈবচয়নের মাধ্যমে ৬৪ জেলার পুলিশ কর্মকর্তা নির্বাচন করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ছিল কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব যেন না হয়। নিজের ওপর ছেড়ে দিলে অনেক সময় শত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও পক্ষপাতিত্ব ঢুকে পড়ে। দৈবচয়ন এসেছে যেন কারো মধ্যে কোনো রকমের পক্ষপাতিত্ব না ঢোকে।

তিনি বলেন, আপনারা সাধারণ দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এদিক থেকে সব হবে কিন্তু এটা একটা ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন। এটা ইতিহাস যেন স্মরণ করে। তার মধ্যে বাইরের যারা পরিদর্শন করবে, আসবে, পর্যবেক্ষক আসবে, তারা আমাদের খুঁত ধরার চেষ্টা করবে। আমাদের এটা হয়নি, ওটা এভাবে করলে ভালো হতো, বলবে। এবারের নির্বাচনগুলো এমন নির্বাচন…. তারা স্মরণ করবে— বাংলাদেশের নির্বাচনটা আমরা দেখেছিলাম। তারা নানা দেশে এটা বলবে…. এটা দৃষ্টান্ত হিসেবে নিয়ে যাবে। তাদের মাথায় বারে বারে বলবে, এই নির্বাচনের মতো নির্বাচন আমরা কখনো দেখিনি।

অতীতের ‘তামাশার নির্বাচন’ থেকে বেরিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপনের আহ্বান জানিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচন বলতেই আমরা অতীতের কিছু নির্বাচনের কথা মনে রাখি, চট করে মনে আসে। প্রহসনের নির্বাচন বলে, প্রতারণার নির্বাচন বলে, তামাশার নির্বাচন বলে। এগুলো হলো তাদের বিশেষণ। সেখান থেকে আমাদের চলে যেতে হবে। এই দূরত্বটুকু আমাদের অতিক্রম করতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটা সাধারণ কোনো নির্বাচন নয়। পাঁচ বছর পর পর একটা নির্বাচন হয়, দেশের সরকার পরিবর্তন হয়, এটা রুটিন একটা কাজ। এবারের নির্বাচনে যেটা আন্ডারলাইন করা বারে বারে দরকার— এটা হলো গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। গণঅভ্যুত্থানে যারা শরিক হয়েছিল, আমরা যারা এর সঙ্গে যুক্ত আছি, এটা তাদের আদর্শ, তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সেই কাজটা এই নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা করে যাবো।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সপ্তাহে বাংলাদেশের তিনটি ফ্লাইট যাবে পাকিস্তানে

নির্বাচনে পুলিশ কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ থাকার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

প্রকাশের সময় : ০২:০০:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুলিশ কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এই নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, এই নির্বাচন একটি সাধারণ নির্বাচন নয়, গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। তাই এটি শহীদদের আকাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ার নির্বাচন, এবং সেভাবেই পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে, তাই ধাত্রীর দায়িত্ব পালন করতে হবে পুলিশকে।

তিনি বলেন, তিনি কাপুরুষের মতো বসে থাকতে নয়, বরং শহীদদের স্বপ্ন পূরণে কাজ করতে চান।

এই পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ঐতিহাসিক নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য দৈবচয়নের মাধ্যমে ৬৪ জেলার পুলিশ কর্মকর্তা নির্বাচন করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ছিল কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব যেন না হয়। নিজের ওপর ছেড়ে দিলে অনেক সময় শত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও পক্ষপাতিত্ব ঢুকে পড়ে। দৈবচয়ন এসেছে যেন কারো মধ্যে কোনো রকমের পক্ষপাতিত্ব না ঢোকে।

তিনি বলেন, আপনারা সাধারণ দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এদিক থেকে সব হবে কিন্তু এটা একটা ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন। এটা ইতিহাস যেন স্মরণ করে। তার মধ্যে বাইরের যারা পরিদর্শন করবে, আসবে, পর্যবেক্ষক আসবে, তারা আমাদের খুঁত ধরার চেষ্টা করবে। আমাদের এটা হয়নি, ওটা এভাবে করলে ভালো হতো, বলবে। এবারের নির্বাচনগুলো এমন নির্বাচন…. তারা স্মরণ করবে— বাংলাদেশের নির্বাচনটা আমরা দেখেছিলাম। তারা নানা দেশে এটা বলবে…. এটা দৃষ্টান্ত হিসেবে নিয়ে যাবে। তাদের মাথায় বারে বারে বলবে, এই নির্বাচনের মতো নির্বাচন আমরা কখনো দেখিনি।

অতীতের ‘তামাশার নির্বাচন’ থেকে বেরিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপনের আহ্বান জানিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচন বলতেই আমরা অতীতের কিছু নির্বাচনের কথা মনে রাখি, চট করে মনে আসে। প্রহসনের নির্বাচন বলে, প্রতারণার নির্বাচন বলে, তামাশার নির্বাচন বলে। এগুলো হলো তাদের বিশেষণ। সেখান থেকে আমাদের চলে যেতে হবে। এই দূরত্বটুকু আমাদের অতিক্রম করতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটা সাধারণ কোনো নির্বাচন নয়। পাঁচ বছর পর পর একটা নির্বাচন হয়, দেশের সরকার পরিবর্তন হয়, এটা রুটিন একটা কাজ। এবারের নির্বাচনে যেটা আন্ডারলাইন করা বারে বারে দরকার— এটা হলো গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। গণঅভ্যুত্থানে যারা শরিক হয়েছিল, আমরা যারা এর সঙ্গে যুক্ত আছি, এটা তাদের আদর্শ, তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সেই কাজটা এই নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা করে যাবো।