Dhaka সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করেছে, ভোট দিতে যায়নি : সেলিমা রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করেছে, ভোট দিতে যায়নি। তাই বিরোধী নেতাদের বন্দি করে নির্বাচন করেছে দলটি। সরকার ছাত্র নেতাদের হাতে অস্ত্র দিয়ে টেন্ডারবাজি করে শিক্ষাঙ্গনকে অস্থির করে তুলেছে বলেও অভিযোগ করেন সেলিমা রহমান।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্য বিএনপির এই নেত্রী বলেন, বিএনপি সন্ত্রাসী দল নয়, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দল। লাঠি, লগি, বৈঠা দিয়ে তারা মানুষ মারে। বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে আওয়ামী লীগের লোকজন। ছাত্রলীগের হাতে পিস্তল লাঠি দা তুলে দিয়েছে। তাই শিক্ষাঙ্গনে দেখা যায় একদিকে টেন্ডারবাজি চলছে, অন্যদিকে মারামারি। সারাদেশে খুন-গুম করে বেড়াচ্ছে ছাত্রলীগ যুবলীগের ক্যাডাররা।

সেলিমা রহমান বলেন, দেশের মানুষ আজকে কথা বলতে পারে না, প্রতিবাদও করতে পারে না। মহান ভাষা দিবসের মাসেও তারা কোনো কথা বলতে পারছে না। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে গিয়ে বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী কারাগারে গিয়েছেন। তারা এখনো কারাগারে নির্যাতন নিপীড়ন শিকার হচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, আজকে কোথাও আইনের বিচার নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ পদদলিত হয়েছে। আমরা সরকারের কাছে আর কোনো দাবি জানাব না। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে, এখন থেকে আমরা লড়াই করে খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দিকে মুক্ত করব। এই লড়াই আমাদের চলছে, আন্দোলনও চলছে, চলবে।

খালেদা জিয়াকে সরকার প্রতিহিংসার কারণে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি করে রেখেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, শুধু তাই নয়, খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে মারার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আজকে তিনি জীবন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। তবুও সরকারের কাছে মাথা নত করেননি। গৃহবন্দি থাকার পরও দেশনেত্রী বলছেন, দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, সামনে রমজান আসছে, জিনিসপত্রের দাম এখনই আগুন হয়ে গেছে। সরকার প্রতিদিন বলছে, দাম কমাবে, কিন্তু দাম কমবে না। এই সরকার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করবে না। কারণ এর সঙ্গে জড়িত সরকার দলীয় লোকজন।

বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক ও কৃষক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ইঞ্জি. মোফাজ্জল হোসেন হৃদয়ের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, নিপুন রায় চৌধুরী, কৃষকদলের সহ-সভাপতি আ ন ম খলিলুর রহমান ভিপি ইব্রাহিম, তাঁতীদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, যুব জাগপার মীর আমীর হোসেন আমু, কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আব্দুল্লাহ আল বাকী প্রমুখ।

আবহাওয়া

নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করেছে, ভোট দিতে যায়নি : সেলিমা রহমান

প্রকাশের সময় : ০৪:১২:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করেছে, ভোট দিতে যায়নি। তাই বিরোধী নেতাদের বন্দি করে নির্বাচন করেছে দলটি। সরকার ছাত্র নেতাদের হাতে অস্ত্র দিয়ে টেন্ডারবাজি করে শিক্ষাঙ্গনকে অস্থির করে তুলেছে বলেও অভিযোগ করেন সেলিমা রহমান।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্য বিএনপির এই নেত্রী বলেন, বিএনপি সন্ত্রাসী দল নয়, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দল। লাঠি, লগি, বৈঠা দিয়ে তারা মানুষ মারে। বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে আওয়ামী লীগের লোকজন। ছাত্রলীগের হাতে পিস্তল লাঠি দা তুলে দিয়েছে। তাই শিক্ষাঙ্গনে দেখা যায় একদিকে টেন্ডারবাজি চলছে, অন্যদিকে মারামারি। সারাদেশে খুন-গুম করে বেড়াচ্ছে ছাত্রলীগ যুবলীগের ক্যাডাররা।

সেলিমা রহমান বলেন, দেশের মানুষ আজকে কথা বলতে পারে না, প্রতিবাদও করতে পারে না। মহান ভাষা দিবসের মাসেও তারা কোনো কথা বলতে পারছে না। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে গিয়ে বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী কারাগারে গিয়েছেন। তারা এখনো কারাগারে নির্যাতন নিপীড়ন শিকার হচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, আজকে কোথাও আইনের বিচার নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ পদদলিত হয়েছে। আমরা সরকারের কাছে আর কোনো দাবি জানাব না। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে, এখন থেকে আমরা লড়াই করে খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দিকে মুক্ত করব। এই লড়াই আমাদের চলছে, আন্দোলনও চলছে, চলবে।

খালেদা জিয়াকে সরকার প্রতিহিংসার কারণে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি করে রেখেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, শুধু তাই নয়, খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে মারার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আজকে তিনি জীবন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। তবুও সরকারের কাছে মাথা নত করেননি। গৃহবন্দি থাকার পরও দেশনেত্রী বলছেন, দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, সামনে রমজান আসছে, জিনিসপত্রের দাম এখনই আগুন হয়ে গেছে। সরকার প্রতিদিন বলছে, দাম কমাবে, কিন্তু দাম কমবে না। এই সরকার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করবে না। কারণ এর সঙ্গে জড়িত সরকার দলীয় লোকজন।

বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক ও কৃষক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ইঞ্জি. মোফাজ্জল হোসেন হৃদয়ের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, নিপুন রায় চৌধুরী, কৃষকদলের সহ-সভাপতি আ ন ম খলিলুর রহমান ভিপি ইব্রাহিম, তাঁতীদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, যুব জাগপার মীর আমীর হোসেন আমু, কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আব্দুল্লাহ আল বাকী প্রমুখ।