Dhaka শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনে অংশ নেবে জাতীয় পার্টি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে এমন আশায় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় পার্টি (জাপা)।

বুধবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে মুজিবুল হক চন্নু সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই ঘোষণা দেন।

জাপা মহাসচিব বলেন, নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সবগুলো মাধ্যম থেকে আমরা আশ্বস্ত হয়েছি যে, নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে। ভোটাররা নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট মহল আমাদের এমনটিই আশ্বস্ত করেছে। তাদের প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস রেখে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পার্টি চেয়ারম্যানের নির্দেশে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে। আমি আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা করছি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, জাতীয় পার্টি কোনো জোটে যাবে না, ৩০০ আসনেই নির্বাচন করবে জাতীয় পার্টি। দুপুর পর্যন্ত আমাদের প্রায় ১৪০০ মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। প্রায় প্রতিটি আসনেই একাধিক আগ্রহী প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। আমরা আমাদের ঘোষণা অনুযায়ী এককভাবেই নির্বাচন করব। আমরা কারো সাথে আসন সমঝোতায় যাব না।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি স্বচ্ছ রাজনীতি করে, আমাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অপবাদ নেই। গত ৩৩ বছর দেশের মানুষ আমাদের শান্তিপ্রিয় রাজনীতি পছন্দ করেছে। আমরা আশা করছি, ৩০০ আসনেই আমরা শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারব।

এর আগে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে জাতীয় পার্টি জানিয়ে আসছে, তারা আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে কি না এ ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। নির্বাচনের পরিবেশ নেই বলেও দাবি করা হচ্ছিল দলটির পক্ষ থেকে। যদিও জাতীয় পার্টি তাদের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি ইতোমধ্যে শুরু করেছে।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বিএনপি বর্জন করায় প্রথমবার জাতীয় পার্টি সংসদের বিরোধী দলের মর্যাদা পায়। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি এলেও জাতীয় পার্টি সংসদের বিরোধী দলের মর্যাদা ধরে রাখে। যদিও সরকারি দল আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় পার্টি এই অবস্থান ধরে রেখেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে অবশ্য জাতীয় পার্টিও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক ছিল।

এদিকে জাতীয় পার্টি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেও বিএনপিসহ তাদের সমমনা দলগুলো নির্বাচনে না যাওয়ার ব্যাপারে অনড় অবস্থানে রয়েছে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দফায় দফায় হরতাল ও অবরোধের কর্মসূচি দিচ্ছে দলটি।

প্রসঙ্গত, বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। এদিন জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জানান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

জানা গেছে, সংসদ নির্বাচনের মনোনয়পত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১-৪ ডিসেম্বর। আপিল ৬-১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারী ২০২৪ সকাল ৮টা পর্যন্ত। ভোট গ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।

আবহাওয়া

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিএনপি : সালাহউদ্দিন

নির্বাচনে অংশ নেবে জাতীয় পার্টি

প্রকাশের সময় : ০৪:৩৭:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে এমন আশায় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় পার্টি (জাপা)।

বুধবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে মুজিবুল হক চন্নু সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই ঘোষণা দেন।

জাপা মহাসচিব বলেন, নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সবগুলো মাধ্যম থেকে আমরা আশ্বস্ত হয়েছি যে, নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে। ভোটাররা নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট মহল আমাদের এমনটিই আশ্বস্ত করেছে। তাদের প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস রেখে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পার্টি চেয়ারম্যানের নির্দেশে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে। আমি আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা করছি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, জাতীয় পার্টি কোনো জোটে যাবে না, ৩০০ আসনেই নির্বাচন করবে জাতীয় পার্টি। দুপুর পর্যন্ত আমাদের প্রায় ১৪০০ মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। প্রায় প্রতিটি আসনেই একাধিক আগ্রহী প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। আমরা আমাদের ঘোষণা অনুযায়ী এককভাবেই নির্বাচন করব। আমরা কারো সাথে আসন সমঝোতায় যাব না।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি স্বচ্ছ রাজনীতি করে, আমাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অপবাদ নেই। গত ৩৩ বছর দেশের মানুষ আমাদের শান্তিপ্রিয় রাজনীতি পছন্দ করেছে। আমরা আশা করছি, ৩০০ আসনেই আমরা শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারব।

এর আগে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে জাতীয় পার্টি জানিয়ে আসছে, তারা আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে কি না এ ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। নির্বাচনের পরিবেশ নেই বলেও দাবি করা হচ্ছিল দলটির পক্ষ থেকে। যদিও জাতীয় পার্টি তাদের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি ইতোমধ্যে শুরু করেছে।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বিএনপি বর্জন করায় প্রথমবার জাতীয় পার্টি সংসদের বিরোধী দলের মর্যাদা পায়। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি এলেও জাতীয় পার্টি সংসদের বিরোধী দলের মর্যাদা ধরে রাখে। যদিও সরকারি দল আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় পার্টি এই অবস্থান ধরে রেখেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে অবশ্য জাতীয় পার্টিও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক ছিল।

এদিকে জাতীয় পার্টি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেও বিএনপিসহ তাদের সমমনা দলগুলো নির্বাচনে না যাওয়ার ব্যাপারে অনড় অবস্থানে রয়েছে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দফায় দফায় হরতাল ও অবরোধের কর্মসূচি দিচ্ছে দলটি।

প্রসঙ্গত, বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। এদিন জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জানান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

জানা গেছে, সংসদ নির্বাচনের মনোনয়পত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১-৪ ডিসেম্বর। আপিল ৬-১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারী ২০২৪ সকাল ৮টা পর্যন্ত। ভোট গ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।