নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের সময় নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) কাউকে ওপর চাপ দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।
সোমবার (৫ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মাইকেল মিলার বলেন, ইইউ একটি আন্তর্জাতিক মানের অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচনী পরিবেশ তৈরিতে সহযোগিতা করতে চায়। জাতীয় নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে, তা একান্তই বাংলাদেশের জনগণ এবং সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত বিষয়। আমরা কারো ওপর কোনো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের চাপ দেব না।
রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, জাতীয় নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে, তা একান্তই বাংলাদেশের জনগণ এবং সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত বিষয়। আমরা কারও ওপর কোনো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের চাপ দিচ্ছি না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে কোনো তাড়াহুড়ো নেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের। গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরতে অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রয়োজনীয় সময় দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ইইউ বাংলাদেশর সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পক্ষে থাকবে। এই পটপরিবর্তনের একটি অর্জন দেশের জন্য। পর্যাপ্ত সংস্কার শেষে নির্বাচন হোক এটা ইইউ চায়। এটা একটা চ্যালেঞ্জ যে অনেকেই ভিসার জন্য সমস্যায় পড়ছেন। ছোট ভ্রমণ, শিক্ষা, সাংবাদিক ভিসা এগুলোর জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করার চেষ্টা চলছে।
মিলার বলেন, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের রিপোর্ট সমর্থন করে ইইউ। কেউ অপরাধ করলে এবং প্রমাণ হলে অবশ্যই শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে। তবে স্পষ্ট এবং স্বচ্ছ বিচার হতে হবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ভবিষ্যতে এর সুফল আনুক এমনটাই চায় ইইউ। বাংলাদেশ-ইইউর নিরাপদ পার্টনারশিপে বিশ্বাসী। মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা সহকারে প্রত্যাবাসনে ইইউর সমর্থন পাবে বাংলাদেশ।
সম্প্রতি আলোচিত জুলাই আন্দোলনে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড সম্পর্কেও স্পষ্ট বক্তব্য দেন মিলার। তিনি বলেন, জুলাই গণহত্যায় যারা অভিযুক্ত, তাদের বিচার অবশ্যই হতে হবে। তবে সেই বিচারপ্রক্রিয়া হতে হবে পুরোপুরি স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন।
মাইকেল মিলার বলেন, আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাঠামোগত সংস্কারকে সমর্থন করি। তবে বিচার ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত যে কোনো প্রক্রিয়ায় ন্যায্যতা এবং স্বচ্ছতা বজায় রাখা জরুরি।
বাংলাদেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, আইনশৃঙ্খলা এখনও বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আমরা ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখি যে, পরিস্থিতি উন্নতির পথে আছে।