নিজস্ব প্রতিবেদক :
নির্বাচনের তারিখ দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক। না হলে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
রোববার (১৮ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের নবীন দলের উদ্যোগে দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই সরকারকে ক্ষমতায় বসানো হয়েছে সুন্দর একটি নির্বাচন দেওয়ার জন্য। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে, সরকার নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করছে। এটি কাউকে সুবিধা দেওয়ার জন্য করা হচ্ছে।
নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাড চেয়ে ফারুক বলেন, দ্রুত সময়ে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন। সময় মতো নির্বাচন না হলে আন্দোলন নিয়ে মাঠে নামব।
শিগগিরই নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়ে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, তারেক রহমান আমাদের ধৈর্য ধরতে বলেছেন, তাই আমরা ধৈর্য ধরে আছি। কিন্তু ধৈর্যের ফল যদি হয় বিলম্বিত নির্বাচন, তাহলে সেই বাঁধ আমরা ভেঙে ফেলব। দলের মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তখন যদি আমাদের থামতে বলে আমরা থামবো না। নির্বাচনের জন্য আমরা মাঠে নামবোই, যদি সময় মতো নির্বাচন দেওয়া না হয়।
তিনি বলেন, আপনি (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) একজন সম্মানিত ব্যক্তি। বিশ্বের দরবারে সম্মান অর্জন করেছেন। বাংলাদেশের মানুষ আপনাকে আপনজন ভেবে সরকারে বসিয়েছে। দেশের জনগণের সম্মানে আপনাকে এখনি, এই মুহূর্তে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে।
ফারুকের বলেন, একটা জিনিস স্পষ্ট হয়ে গেছে বর্তমান সরকার নয় মাসে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারে নাই। যে অধিকার, দাবির জন্য আমরা রাজপথে লড়াই করেছি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়েছি। সফলতা অর্জন করেছি সেই সফলতাকে ম্লান করে দিয়েছে সরকার।
দেশ থেকে ৯০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে—এমন সংবাদের তথ্য তুলে ধরে বিএনপি এই নেতা বলেন, এখন তো হাসিনা নাই, এগুলোকে পাচার করলো কে। আমরা তো প্রতিদিনই বলি হাসিনার দোসরদের আইনের আওতায় হোক।
সরকারের উদ্দেশে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আপনার কাছে পাওয়ার কিছুই নাই। সংসদ সদস্য, ঠিকাদারি, লুটের টাকার ভাগ চাই না। আমরা একটা জিনিসই চেয়েছি, যারা শেখ হাসিনার আমলে রক্ত দিয়েছে, জেল খেটেছে, আমার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিনা অপরাধে জেল খেটেছেন, আমাদের সবার দাবি এদেশের মানুষের জন্য সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের জন্য আপনাকে (ড. ইউনূস) সরকারে বসিয়েছে। কোন দিন নির্বাচন দেবেন তা বলে দিতে অসুবিধা কোথায়? আমার মনে হয়, সরকার নির্বাচন দিতে বিলম্বিত করছে কারও কারও শক্তি সমর্থন জোগাড় করার জন্য। এসব টালবাহানা এদেশে চলবে না। আমরা ভেসে আসি নাই।
তিনি বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান আমাদেরকে ধৈর্য ধরতে বলেছেন, তাই আমরা ধৈর্য ধরে আছি। কিন্তু এই ধৈর্যের ফল যদি হয় নির্বাচন বিলম্বিত, তাহলে সেই ধৈর্যের বাঁধ আমরা ভেঙে ফেলবো। মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তখন যদি আমাদেরকে থামতে বলেনর, আমরা থামবো না। নির্বাচনের জন্য আমরা মাঠে নামবোই যদি সময় মতো নির্বাচন দেওয়া না হয়।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ূন আহমেদ তালুকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আরিফা সুলতানা রুমাসহ প্রমুখ।