Dhaka রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনকালে তথ্যে প্রবাহে গণমাধ্যমকে বাধা দেওয়া হবে না : তথ্য উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্বাচনের আগে, চলাকালীন ও পরে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার গুরুত্ব উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, এ দায়িত্ব পালনে কোনো গণমাধ্যমকে বাধা দেওয়া হবে না।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর তথ্য ভবনে ‘নির্বাচনে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ বিষয়ক মতবিনিময়সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সভায় অংশ নেন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রকাশক, সম্পাদক ও সাংবাদিকরা। সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অতীতের দুঃসহ অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তারা ভবিষ্যৎ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বিশেষ করে নির্বাচনকালে সংবাদকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।

এ সময় উপদেষ্টা মাহফুজ আলম অভিযোগ করেন, গত ১৫ বছরে গণমাধ্যম আস্থা হারিয়েছে। সেই আস্থা পুনরুদ্ধারে নির্বাচনকালীন সময়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের ওপর জোর দেন তিনি।

তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে। জনগণ ভোট দিতে গিয়ে সহিংসতার শিকার হবে না, সরকার সেই চিন্তা প্রতিষ্ঠা করবে। গণমাধ্যমও যেন এ চিন্তার বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখে।

তিনি আরো আহ্বান জানান, যদি কোনো সহিংসতা ঘটে, তবে গণমাধ্যম যেন তার মূল কারণ ও দায়দায়িত্ব খুঁজে বের করে প্রকাশ করে।

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, যদি কোনো সহিংসতা ঘটে, গণমাধ্যমের দায়িত্ব থাকবে তার মূল কারণ ও দায়দায়িত্ব খুঁজে বের করে জনগণকে জানানো।

নির্বাচনের সময় তথ্যের অবাধ প্রবাহ সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, নির্বাচনের মাঠে কী ঘটছে, কী ধরনের দুর্নীতি ও সহিংসতা হচ্ছে, সবকিছু জনগণকে জানাতে হবে। ইতঃপূর্বে নির্বাচনের সময় গণমাধ্যমে ওপর বাধা ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণমাধ্যমের ওপর কোনো বাধা থাকবে না।

মাহফুজ আলম বলেন, এবারে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক তরুণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তরুণ ভোটারদের মধ্যে আস্থা তৈরিতে গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এবারের নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ভোট দেবেন। কোন রাজনৈতিক দল কী ভূমিকা পালন করছে, তা প্রবাসীদের নিকট পৌঁছাতে গণমাধ্যমকে কাজ করতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে জনগণ যেন সহিংসতার শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করতে সরকার সব ব্যবস্থা নেবে। গণমাধ্যমকেও এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে হবে।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের সময় সাংবাদিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে। নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে কোনো অসংগতিপূর্ণ বিধি-নিষেধ থাকলে তা পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলেও উপদেষ্টা আশ্বাস দেন।

মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে সাংবাদিকগণ বলেন, নির্বাচনের সময় গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এর পাশাপাশি নির্বাচনকেন্দ্রে সংবাদ কাভারেজের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের বিধি-নিষেধ সংশোধন করতে হবে। নির্বাচনের সময় সাংবাদিকদের কার্ডের যেন কোনো অপব্যবহার না হয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাংবাদিকগণ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, অতিরিক্ত সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ, মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর-সংস্থার প্রধান এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক, প্রকাশক ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন প্রধান তথ্য অফিসার মো. নিজামূল কবীর।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

নির্বাচনকালে তথ্যে প্রবাহে গণমাধ্যমকে বাধা দেওয়া হবে না : তথ্য উপদেষ্টা

প্রকাশের সময় : ০৮:২৯:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্বাচনের আগে, চলাকালীন ও পরে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার গুরুত্ব উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, এ দায়িত্ব পালনে কোনো গণমাধ্যমকে বাধা দেওয়া হবে না।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর তথ্য ভবনে ‘নির্বাচনে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ বিষয়ক মতবিনিময়সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সভায় অংশ নেন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রকাশক, সম্পাদক ও সাংবাদিকরা। সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অতীতের দুঃসহ অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তারা ভবিষ্যৎ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বিশেষ করে নির্বাচনকালে সংবাদকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।

এ সময় উপদেষ্টা মাহফুজ আলম অভিযোগ করেন, গত ১৫ বছরে গণমাধ্যম আস্থা হারিয়েছে। সেই আস্থা পুনরুদ্ধারে নির্বাচনকালীন সময়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের ওপর জোর দেন তিনি।

তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে। জনগণ ভোট দিতে গিয়ে সহিংসতার শিকার হবে না, সরকার সেই চিন্তা প্রতিষ্ঠা করবে। গণমাধ্যমও যেন এ চিন্তার বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখে।

তিনি আরো আহ্বান জানান, যদি কোনো সহিংসতা ঘটে, তবে গণমাধ্যম যেন তার মূল কারণ ও দায়দায়িত্ব খুঁজে বের করে প্রকাশ করে।

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, যদি কোনো সহিংসতা ঘটে, গণমাধ্যমের দায়িত্ব থাকবে তার মূল কারণ ও দায়দায়িত্ব খুঁজে বের করে জনগণকে জানানো।

নির্বাচনের সময় তথ্যের অবাধ প্রবাহ সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, নির্বাচনের মাঠে কী ঘটছে, কী ধরনের দুর্নীতি ও সহিংসতা হচ্ছে, সবকিছু জনগণকে জানাতে হবে। ইতঃপূর্বে নির্বাচনের সময় গণমাধ্যমে ওপর বাধা ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণমাধ্যমের ওপর কোনো বাধা থাকবে না।

মাহফুজ আলম বলেন, এবারে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক তরুণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তরুণ ভোটারদের মধ্যে আস্থা তৈরিতে গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এবারের নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ভোট দেবেন। কোন রাজনৈতিক দল কী ভূমিকা পালন করছে, তা প্রবাসীদের নিকট পৌঁছাতে গণমাধ্যমকে কাজ করতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে জনগণ যেন সহিংসতার শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করতে সরকার সব ব্যবস্থা নেবে। গণমাধ্যমকেও এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে হবে।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের সময় সাংবাদিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে। নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে কোনো অসংগতিপূর্ণ বিধি-নিষেধ থাকলে তা পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলেও উপদেষ্টা আশ্বাস দেন।

মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে সাংবাদিকগণ বলেন, নির্বাচনের সময় গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এর পাশাপাশি নির্বাচনকেন্দ্রে সংবাদ কাভারেজের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের বিধি-নিষেধ সংশোধন করতে হবে। নির্বাচনের সময় সাংবাদিকদের কার্ডের যেন কোনো অপব্যবহার না হয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাংবাদিকগণ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, অতিরিক্ত সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ, মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর-সংস্থার প্রধান এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক, প্রকাশক ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন প্রধান তথ্য অফিসার মো. নিজামূল কবীর।