Dhaka সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্দলীয় সরকার ছাড়া আর কোনো নির্বাচন নয়: ফখরুল

বরিশাল জেলা প্রতিনিধি :

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্দলীয় সরকার ছাড়া বর্তমান সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন নয়। এখন দফা এক, দাবিও এক- হাসিনা সরকারের পতন।

শনিবার (২৪ জুন) বিকালে বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে আয়োজিত তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে কোন দিন সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। বিদেশীরাও বলে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে তা মানা হবে না। এজন্য র‌্যাবকে তারা স্যাংশন দিয়েছে। ফয়সালা হবে রাজপথে। তাই সামনের আন্দোলনকে তরুণদের এগিয়ে নিতে হবে। তরুণরা জেগে উঠুন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকারকে বিদায় করার জন্যই রোদ-বৃষ্টিতে আপনারা ভিজছেন। শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে নতুন একটা সংগ্রাম শুরু হয়েছে। আজ থেকে ১১ বছর আগে এক মায়ের ২ ছেলে গুম হয়ে গেছে। এরকম ৭০০ এর উপরে গুম হয়েছে। ফ্যাসিবাদী অবৈধ সরকার মায়েদের সন্তান হারা, স্ত্রীদের স্বামী হারা করিয়েছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এ সরকার ১৪ বছর ধরে জনগণের উপর চেপে বসে আছে।

তিনি বলেন, একটি নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকার আওয়ামী লীগের দাবি ছিল। ৪টি নির্বাচন হলো তত্বাবধায়কে, সবাই মেনেও নিলো। কিন্তু তারা এসে নিজেদের অধীনে নির্বাচন দিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দেশে অস্থিতিশীল অবস্থার সৃষ্টি করেছে আওয়ামী লীগ।

ফখরুল ইসলাম বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ১০টি আসনও পাবেনা। তাই তারা নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে চায় না। এই সরকার বৈধ নয়, তাই এই সরকারের অধীনে কোনো ভোট হতে পারে না।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলছি- এই সরকার বৈধ নয়। এই অবৈধ সরকারের অধীনে কোনো দিন সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। আর ভোট তো দিতেই পারবো না। তাই একে সরানো এখন ‘ফরজ’ হয়ে গেছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা নির্বাচন চাই, সুষ্ঠু-অবাধ নির্বাচন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, শেখ হাসিনার অধীনে নয়। সংসদ বিলুপ্ত করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে, নতুন পার্লামেন্ট গঠন করে জনগণের স্বপ্ন সুন্দরভাবে গড়তে হবে।

বিএনপির সাত শতাধিক নেতাকর্মী গুম হয়েছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ২০১২ সালে অর্থাৎ আজ থেকে ১১ বছর আগে এই হাসিনা সরকারের সাদা পোশাকধারী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ফিরোজ খান, মিরাজ খানকে তুলে

নিয়ে গেছে। শুরু এই দুজনই নয়, আমাদের ৭ শতাধিক নেতাকর্মীকে তারা গুম করেছে। আমাদের ইলিয়াস খান ২০১২ সালে যখন গুম হয়ে যায়, তার মেয়ের বয়স ছিল মাত্র ৬ বছর, এখন ১৭-১৮ বা তার বেশি বয়স হয়ে গেছে তার। কিন্তু এখনো সে দরজার দিকে তাকিয়ে থাকে- এই বুঝি তার বাবা ফেরত আসলো। এই ফ্যাসিবাদী অবৈধ সরকার আজ শিশুদের পিতৃহারা করেছে, মায়েদের সন্তান হারা করেছে, স্ত্রীকে স্বামী হারা করেছে।

অত্যাচার-নির্যাতনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আজ গোটা দেশে এই আওয়ামী লীগ, অবৈধ সরকার শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ১৪-১৫ বছর ধরে ভয়াবহ অত্যাচার নির্যাতন করে জনগণের ওপর চেপে বসে আছে। তারা লুট করবে, চুরি করবে, পাচার করবে বিদেশে এবং ক্ষমতাকেও পাকাপোক্ত করে রাখবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) নাকি নির্বাচন করে? তাদের অধীনে নাকি ভালো নির্বাচন হয়? কদিন আগে বরিশাল সিটি নির্বাচন হলো, আবার সেই একই ইভিএমকে ব্যবহার করলো আর আমাদের আলেম সাহেব, শ্রদ্ধেয় মানুষ, চরমোনাই পীর সাহেব, তাকে আঘাত করতে পর্যন্ত দ্বিধা করল না। আমরা ঘৃণা জানিয়েছি। অথচ ইলেকশন কমিশনার সাংবাদিকদের জিজ্ঞেস করেছে, তিনি কি ইন্তেকাল করেছেন? এমন ইলেকশন কমিশন বানিয়েছে এই শেখ হাসিনার সরকার, যিনি তার প্রধান নির্বাচন কমিশনার, তিনি মানুষ না মরলে শান্তি পান না। এরা আবার বলে আমাদের অধীনে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে! সংবিধানে বলা আছে, এই দেশের মালিক জনগণ, কিন্তু এই জনগণ কি ভোট দিতে পারে? গত দুইবার কি জনগণ ভোট দিতে পেরেছে? পারে নাই।

তিনি বলেন, আমরা ভোট দিয়ে একজন প্রতিনিধি নির্বাচন করি, যিনি পার্লামেন্টে গিয়ে আমাদের কথা বলবেন, আইন পাশ করবেন, দেশের মানুষ সুখে-সমৃদ্ধিতে থাকবে। আর এরা সবাইকে ভোট দেওয়া থেকে বিরত রেখে নিজেরা সিল ছাপ্পর মেরে, আগের রাতে ভোট করে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভোট করে বলে ভোট হয়ে গেছে, আমরা জিতে গেছি।

তারা এমনটা করে কেন জানেন? তারা জানে, সত্যিই যদি জনগণ ভোট দিতে পারে, নিজের ইচ্ছাকে প্রয়োগ করতে পারে, তাহলে তারা ১০টি আসনও পাবে না। সবাইকে পালাতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, কিছুদিন আগে দেখলাম সুইস ব্যাংকে নাকি বাংলাদেশের অনেক টাকা জমা হচ্ছে। আবার হঠাৎ করে দেখলাম, অবৈধ সরকারের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী যখন সুইজারল্যান্ড গেলেন, পত্রিকায় দেখলাম সেই সুইস ব্যাংক থেকে নাকি বাংলাদেশের টাকা উধাও হয়ে গেছে। আমি জানি না, এটার সঙ্গে কোনো যোগসূত্র আছে কিনা। আজ গোটা পৃথিবীর মানুষ জানে, এরা হচ্ছে চোর! শুধু ভোট চোর নয়, এরা আমাদের পকেটও কাটে। অর্থাৎ এরা পকেটমারও।

তিনি বলেন, এই বরিশালে আজ দেখলাম, পরপর চারবার বিদ্যুৎ চলে গেলো। এতো বিদ্যুৎ গেলো কোথায়? সেগুলো কী আপনারা গিলে ফেলেছেন। এই সরকারের একমাত্র লক্ষ্য চুরি করা, ডাকাতি করা। আর চুরি-ডাকাতি করে সেই টাকা বিদেশে পাচার করা।

মির্জা ফখরুল বলেন, কোনো কিছু আমাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নেই, যারা চুরি করে তাদের আছে। যারা টিনের ছাপড়ায় থাকতো, তারা এখন ১০ তলা বিল্ডিংয়ে থাকে। আর যারা সাইকেল চালাতো তারা বিরাট বিরাট গাড়িতে ঘোরে। এই সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন মানুষ শান্তিতে থাকবে না।

বিএনপি নেতা বলেন, আজ বেগম খালেদা জিয়াকে বেআইনিভাবে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে ৫ বছরের ওপর আটক করে রেখেছে। আজ আমাদের নেতা তারেক রহমানকেও মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাসিত করে রেখেছে। এটা অবিশ্বাস্য যে, একটি গণতান্ত্রিক দলের ৪০ লাখ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা রয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্দ্ধগতির কারণে মানুষ আজ প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারেনা। আজ তাদের (আওয়ামী লীগ) লোক আর টাকা ছাড়া কেউ চাকরি পায়না। অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বললে মামলার শিকার হতে হয়। এমন আর চলতে দেয়া যায় না। এই অবস্থাকে রুখে দিতে পারে এই তরুণ সমাজ। এই তরুণরাই আন্দোলন করে এই অবৈধ সরকারকে রুখে দেবে।

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির ৫ দফা দাবিতে ১৫ দিনের আলটিমেটাম (ভিডিও)

নির্দলীয় সরকার ছাড়া আর কোনো নির্বাচন নয়: ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৯:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুন ২০২৩

বরিশাল জেলা প্রতিনিধি :

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্দলীয় সরকার ছাড়া বর্তমান সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন নয়। এখন দফা এক, দাবিও এক- হাসিনা সরকারের পতন।

শনিবার (২৪ জুন) বিকালে বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে আয়োজিত তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে কোন দিন সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। বিদেশীরাও বলে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে তা মানা হবে না। এজন্য র‌্যাবকে তারা স্যাংশন দিয়েছে। ফয়সালা হবে রাজপথে। তাই সামনের আন্দোলনকে তরুণদের এগিয়ে নিতে হবে। তরুণরা জেগে উঠুন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকারকে বিদায় করার জন্যই রোদ-বৃষ্টিতে আপনারা ভিজছেন। শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে নতুন একটা সংগ্রাম শুরু হয়েছে। আজ থেকে ১১ বছর আগে এক মায়ের ২ ছেলে গুম হয়ে গেছে। এরকম ৭০০ এর উপরে গুম হয়েছে। ফ্যাসিবাদী অবৈধ সরকার মায়েদের সন্তান হারা, স্ত্রীদের স্বামী হারা করিয়েছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এ সরকার ১৪ বছর ধরে জনগণের উপর চেপে বসে আছে।

তিনি বলেন, একটি নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকার আওয়ামী লীগের দাবি ছিল। ৪টি নির্বাচন হলো তত্বাবধায়কে, সবাই মেনেও নিলো। কিন্তু তারা এসে নিজেদের অধীনে নির্বাচন দিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দেশে অস্থিতিশীল অবস্থার সৃষ্টি করেছে আওয়ামী লীগ।

ফখরুল ইসলাম বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ১০টি আসনও পাবেনা। তাই তারা নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে চায় না। এই সরকার বৈধ নয়, তাই এই সরকারের অধীনে কোনো ভোট হতে পারে না।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলছি- এই সরকার বৈধ নয়। এই অবৈধ সরকারের অধীনে কোনো দিন সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। আর ভোট তো দিতেই পারবো না। তাই একে সরানো এখন ‘ফরজ’ হয়ে গেছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা নির্বাচন চাই, সুষ্ঠু-অবাধ নির্বাচন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, শেখ হাসিনার অধীনে নয়। সংসদ বিলুপ্ত করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে, নতুন পার্লামেন্ট গঠন করে জনগণের স্বপ্ন সুন্দরভাবে গড়তে হবে।

বিএনপির সাত শতাধিক নেতাকর্মী গুম হয়েছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ২০১২ সালে অর্থাৎ আজ থেকে ১১ বছর আগে এই হাসিনা সরকারের সাদা পোশাকধারী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ফিরোজ খান, মিরাজ খানকে তুলে

নিয়ে গেছে। শুরু এই দুজনই নয়, আমাদের ৭ শতাধিক নেতাকর্মীকে তারা গুম করেছে। আমাদের ইলিয়াস খান ২০১২ সালে যখন গুম হয়ে যায়, তার মেয়ের বয়স ছিল মাত্র ৬ বছর, এখন ১৭-১৮ বা তার বেশি বয়স হয়ে গেছে তার। কিন্তু এখনো সে দরজার দিকে তাকিয়ে থাকে- এই বুঝি তার বাবা ফেরত আসলো। এই ফ্যাসিবাদী অবৈধ সরকার আজ শিশুদের পিতৃহারা করেছে, মায়েদের সন্তান হারা করেছে, স্ত্রীকে স্বামী হারা করেছে।

অত্যাচার-নির্যাতনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আজ গোটা দেশে এই আওয়ামী লীগ, অবৈধ সরকার শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ১৪-১৫ বছর ধরে ভয়াবহ অত্যাচার নির্যাতন করে জনগণের ওপর চেপে বসে আছে। তারা লুট করবে, চুরি করবে, পাচার করবে বিদেশে এবং ক্ষমতাকেও পাকাপোক্ত করে রাখবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) নাকি নির্বাচন করে? তাদের অধীনে নাকি ভালো নির্বাচন হয়? কদিন আগে বরিশাল সিটি নির্বাচন হলো, আবার সেই একই ইভিএমকে ব্যবহার করলো আর আমাদের আলেম সাহেব, শ্রদ্ধেয় মানুষ, চরমোনাই পীর সাহেব, তাকে আঘাত করতে পর্যন্ত দ্বিধা করল না। আমরা ঘৃণা জানিয়েছি। অথচ ইলেকশন কমিশনার সাংবাদিকদের জিজ্ঞেস করেছে, তিনি কি ইন্তেকাল করেছেন? এমন ইলেকশন কমিশন বানিয়েছে এই শেখ হাসিনার সরকার, যিনি তার প্রধান নির্বাচন কমিশনার, তিনি মানুষ না মরলে শান্তি পান না। এরা আবার বলে আমাদের অধীনে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে! সংবিধানে বলা আছে, এই দেশের মালিক জনগণ, কিন্তু এই জনগণ কি ভোট দিতে পারে? গত দুইবার কি জনগণ ভোট দিতে পেরেছে? পারে নাই।

তিনি বলেন, আমরা ভোট দিয়ে একজন প্রতিনিধি নির্বাচন করি, যিনি পার্লামেন্টে গিয়ে আমাদের কথা বলবেন, আইন পাশ করবেন, দেশের মানুষ সুখে-সমৃদ্ধিতে থাকবে। আর এরা সবাইকে ভোট দেওয়া থেকে বিরত রেখে নিজেরা সিল ছাপ্পর মেরে, আগের রাতে ভোট করে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভোট করে বলে ভোট হয়ে গেছে, আমরা জিতে গেছি।

তারা এমনটা করে কেন জানেন? তারা জানে, সত্যিই যদি জনগণ ভোট দিতে পারে, নিজের ইচ্ছাকে প্রয়োগ করতে পারে, তাহলে তারা ১০টি আসনও পাবে না। সবাইকে পালাতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, কিছুদিন আগে দেখলাম সুইস ব্যাংকে নাকি বাংলাদেশের অনেক টাকা জমা হচ্ছে। আবার হঠাৎ করে দেখলাম, অবৈধ সরকারের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী যখন সুইজারল্যান্ড গেলেন, পত্রিকায় দেখলাম সেই সুইস ব্যাংক থেকে নাকি বাংলাদেশের টাকা উধাও হয়ে গেছে। আমি জানি না, এটার সঙ্গে কোনো যোগসূত্র আছে কিনা। আজ গোটা পৃথিবীর মানুষ জানে, এরা হচ্ছে চোর! শুধু ভোট চোর নয়, এরা আমাদের পকেটও কাটে। অর্থাৎ এরা পকেটমারও।

তিনি বলেন, এই বরিশালে আজ দেখলাম, পরপর চারবার বিদ্যুৎ চলে গেলো। এতো বিদ্যুৎ গেলো কোথায়? সেগুলো কী আপনারা গিলে ফেলেছেন। এই সরকারের একমাত্র লক্ষ্য চুরি করা, ডাকাতি করা। আর চুরি-ডাকাতি করে সেই টাকা বিদেশে পাচার করা।

মির্জা ফখরুল বলেন, কোনো কিছু আমাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নেই, যারা চুরি করে তাদের আছে। যারা টিনের ছাপড়ায় থাকতো, তারা এখন ১০ তলা বিল্ডিংয়ে থাকে। আর যারা সাইকেল চালাতো তারা বিরাট বিরাট গাড়িতে ঘোরে। এই সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন মানুষ শান্তিতে থাকবে না।

বিএনপি নেতা বলেন, আজ বেগম খালেদা জিয়াকে বেআইনিভাবে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে ৫ বছরের ওপর আটক করে রেখেছে। আজ আমাদের নেতা তারেক রহমানকেও মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাসিত করে রেখেছে। এটা অবিশ্বাস্য যে, একটি গণতান্ত্রিক দলের ৪০ লাখ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা রয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্দ্ধগতির কারণে মানুষ আজ প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারেনা। আজ তাদের (আওয়ামী লীগ) লোক আর টাকা ছাড়া কেউ চাকরি পায়না। অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বললে মামলার শিকার হতে হয়। এমন আর চলতে দেয়া যায় না। এই অবস্থাকে রুখে দিতে পারে এই তরুণ সমাজ। এই তরুণরাই আন্দোলন করে এই অবৈধ সরকারকে রুখে দেবে।

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।