Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিরাপত্তা বিবেচনায় ধাপে ধাপে খোলা হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান : শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনা করে ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাত মন্ত্রী, চার সচিব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রশ্নে আমরা বারবার বলছি, জননিরাপত্তা সর্বাগ্রে। জননিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমরা সব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ধাপে ধাপে অবশ্যই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে চাই।

তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার জন্য যে বিদ্যালয়গুলো আছে, পরবর্তীতে মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো, নিরাপত্তা ঝুঁকি নিরূপণের মাধ্যমে (খুলে দেওয়ার বিষয়টি) নির্ধারণ করা হবে। নিরাপত্তা ঝুঁকি নির্ধারণ আমরা প্রতিদিন করছি। সেগুলো বিবেচনায় নিয়েই যথাসময়ে সেটা জানিয়ে দেব।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কোনো সময় বলবেন কি না- এ বিষয়ে তিনি বলেন, নিরাপত্তা ঝুঁকি যদি কমে, তখন আপনারা জানতে পারবেন, কখন খোলা হবে?

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যারা নিরপরাধ শিক্ষার্থী, যারা শান্তিপূর্ণভাবে এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছে, তারা কেউ যাতে কোন ধরনের হয়রানি, প্রশাসনিক কোন হয়রানি বা আইনগত কোনো জটিলতায় না পড়ে, এজন্য আমরা ঘোষণা দিয়েছি। কোন শিক্ষার্থী বা তাদের অভিভাবক যদি মনে করেন তারা নিরপরাধ সেক্ষেত্রে তারা অবশ্যই সেটা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা সরাসরি তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দিব। তবে সুনির্দিষ্টভাবে অবশ্যই বলা প্রয়োজন।

মন্ত্রী আরও বলেন, এ সভায় পুলিশ মহাপরিদর্শক মহোদয় বলেছেন, শিক্ষার্থীদের বিষয়ে যে সব অভিযোগ আসবে সেগুলোতে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিচ্ছেন তারা। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের শিক্ষার্থীদের যেখানে নেওয়া হয়েছে বা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হয়, সেখানে তারা সঠিক তথ্য দেবেন।

অনলাইনে ক্লাস করার বিষয়ে কিছু ভাবছেন কি না- এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেট যেহেতু সচল হয়েছে, সেটাও আমরা বিবেচনা করছি। ইতিমধ্যে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে আলোচনা করছি।

এইচএসসি পরীক্ষা কবে থেকে নেওয়া শুরু হবে সেটিও যথাসময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান মহিবুল হাসান চৌধুরী।

এর আগে, বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কারফিউ, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ, চলমান বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এ আলোচনায় বসেছে সরকারের সাত মন্ত্রী, চার সচিব এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানরা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থিত রয়েছেন।

বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব, বাণিজ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব এবং সুরক্ষা বিভাগের সচিব অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়া পুলিশপ্রধানসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা-সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে গত ১৯ জুলাই রাতে সারাদেশে কারফিউ জারি করে সেনা মোতায়েন করা হয়। পরে ২১ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। সহিংসতা দমনে সরকার অভিযান চালালে গত ২২ জুলাই থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। এরপর ক্রমেই বাড়ে কারফিউ শিথিলের সময়। ধীরে ধীরে খুলে দেওয়া হয় অফিস।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

নিরাপত্তা বিবেচনায় ধাপে ধাপে খোলা হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান : শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৩:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনা করে ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাত মন্ত্রী, চার সচিব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রশ্নে আমরা বারবার বলছি, জননিরাপত্তা সর্বাগ্রে। জননিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমরা সব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ধাপে ধাপে অবশ্যই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে চাই।

তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার জন্য যে বিদ্যালয়গুলো আছে, পরবর্তীতে মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো, নিরাপত্তা ঝুঁকি নিরূপণের মাধ্যমে (খুলে দেওয়ার বিষয়টি) নির্ধারণ করা হবে। নিরাপত্তা ঝুঁকি নির্ধারণ আমরা প্রতিদিন করছি। সেগুলো বিবেচনায় নিয়েই যথাসময়ে সেটা জানিয়ে দেব।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কোনো সময় বলবেন কি না- এ বিষয়ে তিনি বলেন, নিরাপত্তা ঝুঁকি যদি কমে, তখন আপনারা জানতে পারবেন, কখন খোলা হবে?

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যারা নিরপরাধ শিক্ষার্থী, যারা শান্তিপূর্ণভাবে এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছে, তারা কেউ যাতে কোন ধরনের হয়রানি, প্রশাসনিক কোন হয়রানি বা আইনগত কোনো জটিলতায় না পড়ে, এজন্য আমরা ঘোষণা দিয়েছি। কোন শিক্ষার্থী বা তাদের অভিভাবক যদি মনে করেন তারা নিরপরাধ সেক্ষেত্রে তারা অবশ্যই সেটা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা সরাসরি তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দিব। তবে সুনির্দিষ্টভাবে অবশ্যই বলা প্রয়োজন।

মন্ত্রী আরও বলেন, এ সভায় পুলিশ মহাপরিদর্শক মহোদয় বলেছেন, শিক্ষার্থীদের বিষয়ে যে সব অভিযোগ আসবে সেগুলোতে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিচ্ছেন তারা। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের শিক্ষার্থীদের যেখানে নেওয়া হয়েছে বা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হয়, সেখানে তারা সঠিক তথ্য দেবেন।

অনলাইনে ক্লাস করার বিষয়ে কিছু ভাবছেন কি না- এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেট যেহেতু সচল হয়েছে, সেটাও আমরা বিবেচনা করছি। ইতিমধ্যে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে আলোচনা করছি।

এইচএসসি পরীক্ষা কবে থেকে নেওয়া শুরু হবে সেটিও যথাসময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান মহিবুল হাসান চৌধুরী।

এর আগে, বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কারফিউ, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ, চলমান বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এ আলোচনায় বসেছে সরকারের সাত মন্ত্রী, চার সচিব এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানরা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থিত রয়েছেন।

বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব, বাণিজ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব এবং সুরক্ষা বিভাগের সচিব অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়া পুলিশপ্রধানসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা-সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে গত ১৯ জুলাই রাতে সারাদেশে কারফিউ জারি করে সেনা মোতায়েন করা হয়। পরে ২১ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। সহিংসতা দমনে সরকার অভিযান চালালে গত ২২ জুলাই থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। এরপর ক্রমেই বাড়ে কারফিউ শিথিলের সময়। ধীরে ধীরে খুলে দেওয়া হয় অফিস।